●
.
চাঁদ নয়, বলছি তোমাকে।
এই ফুলগুলোই
রোশনাই ছড়াচ্ছে উঠানটাতে।
ওদের ঘৃণা করি।
আমি ওদের ঘৃণা করি যেমন ঘৃণা করি রতিক্রিয়াকে,
পুরুষটির মুখ
গ্রাস করছে আমার মুখটাকে, লোকটার
অবশ শরীর—
আর সেই রোদনকে যা সর্বদাই লুকিয়ে ফেলে নিজেকে,
হীন, অমর্যাদাকর
একত্রবাসের ভূমিকা—
আজ রাতে আমার অন্তরের ভেতর
শুনতে পাচ্ছি সেই প্রশ্নটি আর অনুগামী জবাব
একটা শব্দের মধ্যে মিলেমিশে একাকার
উচ্চকিত হচ্ছে এবং আরও উচ্চকিত হচ্ছে আর তারপর
চুরমার হয়ে ঢুকে পড়ছে পুরনো নিজস্বতার ভেতর,
সেই ক্লান্তিকর বৈপরীত্য। দেখতে পাচ্ছো?
বোকা বনে গিয়েছিলাম আমরা।
আর মৃদুমন্দ বাতাসে
জুঁইকমলার সুবাস ঢুকছে জানালা পথে।
কী করে শান্ত থাকতে পারি?
কোন প্রসাদে তুষ্ট হতে পারি
যখন বিশ্বময় অবিচল
ছড়িয়ে আছে সেই সুগন্ধী?
.
[নোট: মূল কবিতায় Mock Orange এর কথা বলা হয়েছে। এটি Philaselphus গোত্রের ফুল। ফুলটিকে দেখতে, প্রথম দর্শনেই কমলাফুল বা লেবুফুল মনে হয়; তবে এর ঘ্রাণে জুঁই ও কমলা উভয় ফুলের মিশ্রিত সুবাস রয়েছে। মক অরেঞ্জ ফুলের বাঙলা কোনও নাম এখন অব্দি নেই। ফলে, জুঁইকমলা ফুল নামে কবিতাটির শিরোনাম করা হলো।]
.
* লুইস গ্লুক [২২ এপ্রিল ১৯৪৩ - ]:
২০২০ সালে কবিতার জন্য নোবেলজয়ী মার্কিন কবি। পুরোনাম: লুইস এলিসাবেথ গ্লুক। নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণকারী গ্লুক [জন্মসূত্রে মার্কিনী] পিতৃপুরুষসূত্রে হাঙ্গেরিয়ান ইহুদি-বংশোদ্ভুত এবং মায়ের দিক থেক রুশিয়ান ইহুদি। পড়াশুনা করেছেন সারাহ লরেন্স কলেজ ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষা অংশের অধ্যাপক এবং আবাসিক লেখক। গ্লুক ১৯৯৩ সালে কবিতার জন্য পুলিৎজার পান এবং ২০১৪ সালে পান যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল বুক এওয়ার্ড'। অবশ্য, ২০০২-২০০৩ মেয়াদে তিনি মার্কিন পোয়েট লরিয়েট হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এখন অব্দি তার কবিতাগ্রন্থ ১৪টি; ২টি চ্যাপবুক এবং ২টি কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম কাব্য, ফার্স্টবর্ন প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। উল্লেখযোগ্য কবিতাগ্রন্থ: দ্য ট্রুয়াম্ফ অব আকিলিস [১৯৮৫] এবং দ্য ওয়াইল্ড আইরিস [১৯৯২]। তার কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ: প্রুফস এন্ড থিয়োরিস [১৯৯৪] এবং আমেরিকার অরিজিন্যালিটি [২০১৭], গ্রন্থ দুটিতেও মৌলিক ভাবনার স্ফূরণ ঘটেছে।
.
●
#বাঙলায়ন: #রহমানহেনরী; #Bengalized by #RahmanHenry
.
.
#LouiseGlückPoems
.
** জার্মান ভাষায় এ কবির নাম: লুইজ এলিসাবেথ গ্লিক
.
.
.
*
.
কী করে শান্ত থাকতে পারি? কোন প্রসাদে তুষ্ট হতে পারি যখন বিশ্বময় অবিচল ছড়িয়ে আছে সেই সুগন্ধী? .....জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ সবি ঐ প্রেমময়ী সুগন্ধে যা অন্তরাত্মাকে আন্দোলিত করে //ভালো লেগেছে আপনার সাবলীল অনুবাদ