জেগে উঠি কাঁচা অন্ধকারে বারবার
রক্তক্ষতময় নদীআত্মার গভীর থেকে দেখেছি অক্ষের
চারপাশে ঘুরে ঘুরে রোজ ক্ষয়ে গিয়েছে সময়
শিমুল নদীর বুকে ভাঙা রৌদ্রপাতে
হলুদ প্রান্তর
ডুবে ইতিহাস তৈরী হয়
বৃদ্ধ ঠাকুরদা শাল গায়ে
হাঁটতে হাঁটতে আদিস্রোতে মিশে গিয়ে
ছুঁতে চেয়েছিল এক নিবিড় হৃদয়...
আত্মজের দেহ স্পর্শ করে
নিজের জন্মকে
সার্থক করেছে ক্লান্ত পায়ে;
তারপর মৃদু শান্ত জলে
দেখেছে, ভেসেছে মধ্যরাতের দুর্বোধ্য পশ্চিমের প্রতিবিম্ব—
পরপারে আত্মতাড়িতেরা অবেলার অন্ধকারে
জীবন চেয়েছে তীব্র- প্রাচীন রূপসী পৃথিবীতে
চেতনার টানে
ঝিঁঝিঁ ডাকা শীতে
সন্ধ্যার যে গ্রাম ওতপ্রোত ছিলো বুকের ভেতর
অতর্কিতে আজ তাকে অচেনা ধূসর লাগে হাড়ের ভেতর
নির্বাসিত প্রত্নছায়া পথে
পুরোনো রাস্তার ধূলো অতীতের শূন্যতাকে ঘিরে
পাথরে পাঁজর ভাঙে- প্রাচীন কর্পূর চন্দনের গন্ধ ডাকে
প্রথম সূর্যের লোভে পৃথিবীর আকাশের প্রাণ
হলুদ প্রান্তর ছুঁয়ে তৈরী করে মাটি
আর মানুষের ইতিহাস
এইসব রহস্যের ভেতর দেখেছি-
অক্ষম আলোতে
প্রপিতামহের নিঃসঙ্গ দুঃখের ছায়া
অনন্ত রোদ্দুর খুঁজেছে জন্মের টানে
এইভাবে চেতনার স্রোতে রাত পাখিরা শূন্যের থেকে মুখ
ফিরিয়ে জোৎস্নার মৃদু জলে আবার নিজেকে দেখে...
আদিম যে আত্মা গুলি ভাসতে ভাসতে
সন্ধ্যা হয়েছিল
তারা ভালোবেসে
আলিঙ্গনে জীবনের নিহিত যন্ত্রণা
নিঃশব্দে পুড়িয়ে
ফেলেছে কখন
হলুদ প্রান্তরে ভাসমান
সন্ধ্যার আকাশ
মৃত্যুকে ছাপিয়ে
সামনের আর পিছনের
যুগের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে
দুর্দিনে আলোতে
মুখর হয়েছে আদি স্রোতে মিশে গিয়ে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
তবু প্রথম সূর্যের লোভে আকাশের তারা পৃথিবীর মাটি চুমে ইতিহাস তৈরী করে হলুদ প্রান্তরে এসে../// সুন্দর-প্রাঞ্জল লিখনি; উপভোগ্য কবিতা, অবিরাম শব্দমালার গাঁথুনি