●
.
হতভাগা নিহত বালক, সমবেতদের মতো পথিপার্শ্বে
দাঁড়িয়ে থাকা;একটা ফুলের পক্ষে ওটা কি কোনও ভঙ্গিমা,
দেবতাদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানানোর
ওটা কি কোনও উপায়? বর্ণিল
সব হৃদপিণ্ডে শাদা, ওসব ফুল
তোমার চারপাশে দুলছে, অন্য বালকেরা,
হিমেল বসন্তে, বেগুনি পুষ্পদলের মতো উন্মোচিত হচ্ছে।
.
২.
অতিপ্রাচীনে ফ্যাকাসে, সম্পূর্ণ কল্পিত বালকের দেহগুলো ছাড়া
কোনও ফুল ছিলো না।
কাজেই দেবতাগণ ব্যাকুল আকাঙ্ক্ষায় মানবাকৃতির ভাবনায় বিভোর ছিলেন।
খোলামাঠে, উইলো তরুর কুঞ্জবনে,
অ্যাপোলো তার সভাসদগণকে প্রেরণ করলেন।
.
৩.
এবং জখমীর ক্ষতস্থানের রক্ত থেকে
উদ্ভাসিত হলো একটা ফুল, লিলির মতো, শিরোস্ত্রাণের
অরূণাভার চেয়েও অধিক উজ্জ্বল।
তখন কেঁদে উঠলেন সেই দেবতা: তার শোকের তীব্রতা
প্লাবিত করলো পৃথিবীকে।
.
৪.
মাধুর্যের মৃত্যু ঘটে: সেটাই
সৃজনের উৎস। সভাসদগণ শুনতে পেলেন
বৃক্ষাদির বলয় ছাড়িয়ে
ঘুঘুদের ডাক ছড়িয়ে দিচ্ছে
তাদের ঐকতান, তাদের জন্মগত বিষাদ—
উইলোদের মর্মর-ধ্বনির ভেতর দাঁড়িয়েম তারা শুনতে থাকলেন।
এ কি ঈশ্বরের বিলাপ?
সতর্কতার সাথে শুনলেন তারা। এবং স্বল্পকাল
সব শব্দই করুণ শোনালো।
.
৫.
অন্যকোনও অমরত্ব নেই:
হিমেল বসন্তে, বেগুনি পুষ্পাদী উদ্ভাসিত হচ্ছে।
আর এখনও, হৃৎপিণ্ড কৃষ্ণমলিন,
ওখানে তার হিংস্রতা অকপটে প্রকটিত।
কিংবা কেন্দ্রস্থলের ওই ব্যাপারটা হৃৎপিণ্ড নয়
বরং অন্যকোনও শব্দে প্রকাশযোগ্য?
আর এখন কেউ একজন ওদের উপর উবু হচ্ছে
অর্থাৎ চয়ন করছে ওদের—
.
৬.
নির্বাসনে চিরতরে
অপেক্ষা করতে পারেনি ওরা।
ঝলমলে তরুশ্রেণির ভিতর দিয়ে
পাখিদের কলকাকলির চেয়েও উচ্চস্বরে
নিজেদের সঙ্গীগণের নাম ধরে ডাকতে ডাকতে
উইলো গাছগুলোর অকারণ বিষণ্নতাকে ছাপিয়ে,
ছুটছিলেন সভাসদগণ।
রাত্রির অভ্যন্তরে কুয়া হয়ে কাঁদলেন তারা,
কাদের স্বচ্ছ অশ্রু
জাগতিক কোনও রং বদলে দিলো না।
.
.
* লুইজ ক্লুখ [২২ এপ্রিল ১৯৪৩ - ]:
২০২০ সালে কবিতার জন্য নোবেলজয়ী মার্কিন কবি।
.
●
#বাঙলায়ন: #রহমানহেনরী; #Bengalized by #RahmanHenry
.
.
#LouiseGlückPoems
.
** জার্মান ভাষায় এ কবির নাম: লুইজ এলিসাবেট ক্লুখ
.