কারবালায় ইমাম হুসাইন রা.'র শাহাদাত বিষয়ক একটা ঠাট্টা মশকরা
তখন মোবাইলে জাকির নায়েকের অডিও নিয়ে ঘুরঘুর করি
সময় পেলেই কানে লাগিয়ে শুনি
পজ দিই
কথাবার্তা বলি
তারপর আবার পজ ছেড়ে শুনতে থাকি
এত গভীর আগ্রহ
যারা একটু আধটু জাকির নায়েক বিরোধী কথা বলে তাদের মনে করতাম প্রথাগত গোঁড়া মোল্লা।
সেই সময়ে জাকির নায়েকের একটা অত্যন্ত পুরনো অডিও শুনি
সেখানে সে বলছে,
এক খ্রিস্টান পাদ্রী এসে এক আলিমকে জিগ্যেস করলেন,
ইমাম হুসাইন রা.'র কতল যখন কারবালায় হয়, তখন রাসূল দ. কোথায় ছিলেন?
জান্নাতে, আল্লাহর কাছে জবাব দেন আলিম
তারপর তিনি প্রশ্ন করেন,
যদি ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর পুত্র হয়ে থাকেন
তবে ঈসা আলাইহিস সালামকে খ্রিস্টমতে শূলে চড়ানোর সময় আল্লাহ্ কোথায় ছিলেন?
এই জোকটা করার সময় জাকির নায়িককে খুবই রসিক এবং একই সাথে খুবই নিষ্ঠুর লাগছিল
বিশেষ করে কারবালার বিষয়ে তার কথাগুলো পরে বহুবার ভেবে দেখেছি, খুব বিঁধছিল।
এসব বিষয় থেকে মূলত খটকার শুরু হয়
‘নেহি মানতে' বনাম ‘নেহি মাঙতে']
‘আজকে দিনমে তো হাম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেভি নেহি মানতে।'
এই কথাটা শেলের মত বিঁধেছিল।
এই অতি ভঙ্গুর হিন্দি বা উর্দু না বোঝার কোন কারণ নেই।
আজকের দিনে তারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও মানে না।
পরবর্তীতে এটাকে ‘মাঙতে' বা চায় না করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
আসলে এমন অগুণতি উদাহরণ দেখা যাবে সব ধর্মে
সব ধর্মেই কিছু ফির্কার উদ্ভব হয় যেসব ফির্কা তাদের ধর্ম প্রণেতার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে।
উদাহরণস্বরূপ, বৌদ্ধ ধর্মে এমন একটা মত উদ্ভব হয়েছিল, যদি গৌতম বুদ্ধও আসে, এবং সে-ও তোমাদেরকে বলে, আমাকে অনুসরণ করো, তবে আমরা তাকেও হত্যা করব এটাই একটা বৌদ্ধ সেক্টের কাছে সহীহ্ বুদ্ধিজম রূপে দেখা দিয়েছিল
ঠিক তেমনি কিছু ধার্মিক ইহুদি আছে যারা মূসা আলাইহিস সালামের ভুলভ্রান্তি নিয়ে কথা বলে, মূসা আলাইহিস সালামের সমালোচনা করে এবং বিশেষ করে তাঁর শরঈ বিধানগুলোর প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা পোষণ করে।
((সিরিয়াল চলবে।। গোলাম দস্তগীর লিসানী এর লেখা থেকে এডিট))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem