এ যেন শত কি সহস্র দিনের প্রতীক্ষা
সত্যের বিপরীতে যাত্রা
হাজারো অপ্রাপ্তি আর দুঃখে বোঝাই নৌকো
শামুকের গতি-মাত্রা,
নিরানন্দে কেটে যাবে সকল দিনগুলি, যেন-
হাড়কাঁপানো উষ্ণ শীতে
শুকিয়ে গেছে সময়, বেহাল মাঝির
হাল ধরার সনাতন গীতে।
তারা সবাই ঘোরে আচ্ছন্ন-
পলাতক, জীবনের স্বপ্নে বিভোর
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘৃণ্য সৌন্দর্য
ক্রমাগত গিলে চলেছে প্রাণের প্রহর।
এ যেন শত কি সহস্র দিনের প্রতীক্ষা
কখন যৌবন হবে জীবিত,
ঐশ্বরিক অহমিকা ঢাকা পড়ে যাবে
যা কিছু কুৎসিত আর অসার,
সে প্রতীক্ষা যেন আর ফুরোয় না
ভুলের কাফেলায় ঢুকে পড়ে ভুল
অহং আর যত অন্ধকার।
এ নয় কোনো ছায়া, কোনো বিভ্রম
ফিরে গেছে সূর্যালোক
আবছা আলোয় ফিকে ভ্যুলোক,
শত সৈনিক মার্চ করে চলে
স্বর্ণ-রৌদ্রের খোঁজে অবিরাম,
গগনবিদারী আস্ফালনে প্রকম্পিত
আর হতাশায় আচ্ছন্ন তামাম।
এ যেন শত কি সহস্র দিনের প্রতীক্ষা
পরিধিবিহীন নিষ্ঠুর বৃত্তের কথা
ঘুমকাতুরে কিশোরের শেষ নিদ্রা,
অলৌকিকতা জেঁকে বসেছে তাই-
কালিগোলা আঁধারে ভীরু পায়ে
গন্তব্য অনুসন্ধান করা,
ফের উজ্জ্বল দু'চোখ মুদে-
সেই আঁধারেই আত্মারে সঁপে দেওয়া।
আমি ও আমিত্বের বেজায় গোল
যেন সহায়ের অসহায়ত্বের দোহাই
পরাধীনতার মাকড়জালে ফেঁসে
ধ্বসে গেছে তার ছদ্মবেশের খোল।
এ যেন শত কি সহস্র দিনের প্রতীক্ষা
উত্তপ্ত বালুর মরু পেরােয়-
যে উন্মোচক,
এ ভ্রমণ তার নয়;
এখানে ধুকে ধুকে বেঁচে আছে
একপাল নবীন হৃদয়-
প্রাণী হয়েও যারা নিষ্প্রাণ;
মৃত্যুকে আপন করে নেয়-
যে রহস্যভেদী মানব,
এ যাত্রা তার নয়;
রোমাঞ্চ বঞ্চিত এই ভূমি
সত্যকে আশ্রয় দেয় না, কিংবা-
অলৌকিকতার মুখোশ উপড়ে
সত্যের পিছনে ধায় না।
শত কি সহস্র দিন পরে
এখানে পুনর্জীবিত জন-মনেরা
জড়ো হয়ে হেসে উঠবে,
শত কি সহস্র দিন পরে
প্রতীক্ষার অবসানে তারা জাগবে
সনাতন সত্যের উদ্ভবে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem