তোমাকে দেখলেই
খিদে খিদে ভাবটা আমার
মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।
ধূলিকণা সম দেহ নিয়ে
সমুদ্র সমান খিদে জাগে।
ইচ্ছে হয়
এখনই এফোঁড় ওফোঁড় করে দিই
সাজানো বাগান তোমার।
তাই বলে
আমাকে পেটুক তুমি ভেবো না।
তুমিই বলো,
কত তো মন্ডা মিঠাই
দই শরবত সাজিয়ে রাখে মা তোমার।
কই, সেগুলো তো আমি ছুঁই না!
কক্ষনো ছুঁই না।
আসলে কি জানো,
খিদেটা আমার একটু 'ইয়ে' টাইপের।
খালি পেটে খিদে পায় না।
কিন্তু তোমাকে হাসতে দেখেলেই
আমার হাইপোথ্যালামাস উন্মাদ হয়ে উঠে।
সেরিব্রাম কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে বলে
"মালবিকা চাই, মালবিকা চাই"।
মাইরি বলছি,
আমাকে পেটুক তুমি ভেবো না।
কত সুন্দর তো চা বানাও তুমি!
কিন্তু মন কি তাতে ভরে আমার?
ভরে না। কক্ষনো ভরে না।
আসলে কি জানো?
চা আমি খাই না।
চায়ের অজুহাতে,
চায়ের কাপে লেগে থাকা
তোমার স্পর্শ চেঁটে পুঁটে খাই।
আচ্ছা, মাঝে মাঝে
কাপে,
তোমার ঠোঁটের রঙ একটু গুলে দিতে পারো না?
প্লেটে,
তোমার চুলের সুগন্ধ একটু মেখে দিতে পারো না?
চায়ে চিনি না দিয়ে
তোমার বুকের সুগন্ধ একটু গুলে দিতে পারো না?
তাই বলে
আমাকে পেটুক তুমি ভেবো না।
কত তো কাবাব বিরিয়ানি এ জগতে
আম জামরুল এ ভূ ভারতে।
কই, সেগুলো তো আমি ছুঁই না!
কক্ষনো ছুঁই না।
অথচ দেখো,
আমার নেশা কেবল
তোমার জ্যোৎস্না হাসিতে!
তোমার সদ্য কুসুমিত পুষ্পের
অনাঘ্রাত মধুতে!
ইচ্ছে হয়
লন্ড ভন্ড করে তছনছ করি
সাজানো বাগান তোমার।
এঁড়ে গরু সেজে
চষে ফেলি আবৃত ক্ষেত তোমার!
তবুও
আমাকে এঁড়ে গরু তুমি ভেবো না।
কত তো সবুজ এ জগতে।
সেগুলো তো আমি চাই না!
কক্ষনো চাই না।
অথচ কি আশ্চর্য্য বলো,
আমার নেশা কেবল
তোমারই সদ্য সবুজ ক্ষেতে!
তোমারই উপচে পড়া উন্মত্ত নদীতে!
তাই বলে
আমাকে এঁড়ে গরু তুমি ভেবো না।
আসলে আমার নেশা কেবল
তোমারই আগুনে।
তোমার কাজল চোখের
অতৃপ্ত আগুনে।
© অরুণ মাজী
Painting: Andrew Atroshenko
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem