কেউ কেউ এ পৃথিবীতে
'ফাউ' হয়ে জন্মায়।
সুখ সুন্দরীর উঁচু বুকের সুবাস
তাদের জন্য নয়।
যখন ছোট্ট ছিলাম আমি-
সত্যবাদী এক টিকটিকি
কপালে মুতে দিয়েছিলো আমার।
সেদিনই বুঝেছিলাম আমি-
জীবন আমার-
গোলাপ শয্যা হবে না,
হবে-
বিষ্ঠা-মুত্রময় আঁতুড়ঘর।
ক্লাস সিক্সে যখন পড়ি-
বই কেনার টাকার জন্য
গ্রামের মেলাতে,
ঘুগনি বেচেছিলাম আমি।
এক বাবু পয়সা না দিয়ে চম্পট মারলে
তার কাঁছা ধরে টেনেছিলাম আমি।
বাবু তখন
গরম ঘুগনির প্লেট
সপাটে মেরেছিলো মুখে।
তবুও আমি/ কাঁছা ছাড়ি নি।
ক্লাস থ্রিতে যখন পড়ি,
বাবার শরীর খুব খারাপ,
উনি মরমর।
সবাই যখন কাঁদছে,
আমি তখন
দোকান থেকে কাগজ কিনে
ঠোঙা বানাতে ব্যস্ত।
বুকে নীরব প্রতিজ্ঞা আমার-
'বাবা যদি মরেও যায়
মাকে মরতে দেবো না'!
কাঁদবো কেন? কাঁদবো কেন?
ফাউ হয়ে জন্মানো মানুষদের
কান্নার এতো সময় কোথায়?
আমাকে বুকে জড়িয়ে
মা সেদিন,
তারা কান্নার মধ্যেও
তৃপ্তির এক হাসি হেসেছিলো।
পিঠ চাপড়ে মা বলেছিলো
অমল, বীরপুরুষ তুই।
বীরপুরুষ আমি।
ভাগ্য কপালে মুতলেও
তাকে কখনো গালি দিই নি আমি।
জীবন আমাকে ঠকালেও
মানুষকে ভালোবাসতে ভুলি নি।
কষ্ট হলে
হয়তো একটু কাঁদি,
কিন্তু তখনই চোখের সামনে ভেসে উঠে
এক অনিবর্চ্চনীয় দৃশ্য!
ঈশ্বর যখন মানুষকে পৃথিবীতে পাঠাচ্ছিলেন-
আমি তখন
ঈশ্বরের পায়ের সামনে
হ্যাংলার মতো দাঁড়িয়ে।
ঈশ্বর
আমার কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলেন-
'কিরে, তুইও যাবি পৃথিবীতে? '
ঘাড় নেড়ে বলেছিলাম আমি-
হ্যাঁ, যাবো।
যন্ত্রণাকে,
বুকে গ্রহণ করতে
স্ব ইচ্ছায় জন্মেছি আমি।
জীবনে
অভিযোগ করতে নয়
ভিক্ষা করতে নয়
হিংসা হানাহানি করতে নয়।
অনেক
বুকে অনেক সুগন্ধ আমার।
সেই সুগন্ধ
পৃথিবীকে দিতে জন্ম আমার।
ঈশ্বর নামের বীরের পুত্র আমি,
আমি বীরপুরুষ।
© অরুণ মাজী
Painting: Andrew Atroshenko
A wonderful poem expressing revolutionary spirit. He is the Real hero who is ready to face every tough situation, thanks for sharing such a beautiful poem.
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
Blistering poem by Arun Da. The poor frustrated like me should get rea inspiration from it.