একবার আগুন সেজেছিলাম আমি।
অন্যকে ঝলসে পুড়িয়ে দিয়ে
পরিতৃপ্তির
হিংস্র হাসি হেসেছিলাম আমি।
অথচ লক্ষ্য করি নি
অন্যকে পুড়াতে গিয়ে
নিজেও কবে
পুড়ে ছাই হয়ে গেছি আমি।
তারপর
রুক্ষ এক মরুভূমি সেজেছিলাম আমি।
অপরকে মরীচিকার মরণ যন্ত্রণা দিয়ে
আকর্ণ বিস্তৃত
শয়তানের হাসি হেসেছিলাম আমি।
পরে দেখি, অন্যকে ঠকাতে গিয়ে
নিজেকেই ভুলে গেছি আমি।
পৃথিবী আর মানুষকে শত্রু ভেবে
তাদেরকে প্রতিহিংসার বাণে জর্জরিত করতে
জীবনে অনেক কিছু সেজেছি আমি।
অথচ পরে দেখি,
অন্যকে বিষ পান করাতে গিয়ে
আপন কণ্ঠেই
বিষ ঢেলে বসে আছি আমি।
অবশেষে ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে
মাটির পথ হয়েছি আমি।
অন্যকে
তাদের স্বপ্নের গন্তব্যে পৌঁছে দেবো বলে,
আজ
সামান্য এক পথ হয়েছি আমি।
রাজপথ নয়
উঁচু নীচু এবড়ো থেবড়ো
মেঠো এক পথ।
বিন্দী বুড়ী
আমার বুকের উপর বসে
নিঃশব্দে তার চোখের জল ভাগ করে।
নগেন মাস্টার
মাতলামো করতে করতে
আমার বুকের উপর হোঁচট খেয়ে পড়লে
আমাকে গালি করে।
সে সব দুঃখ যন্ত্রণা
তখনই আমি ভুলে যাই-
যখন বটু বাগদি
আমার বুকের উপর হাঁটতে হাঁটতে
আমাকে
বাঁশির সুর শুনিয়ে যায়।
© অরুণ মাজী
Painting: Malcolm farley
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem