তিনটি ছেলের পর যখন মেয়েটি ভূমিষ্ঠ হ’ল
আমি ওঁকেঅবহেলা করেছিলাম
তারওপর ও যখন দশমাসে পা দিল
আমার বড় ছেলেটি মারা গেল
চিকিৎসার ভুল, আমাদের যত্নের অজ্ঞতা ভুলে গিয়ে
আমি মেয়েটিকে অভিযুক্ত করেছি
আমার ছেলে সন্তান হারানোর দায় ওঁর ঘাড়েই চাপিয়েছি
আমি ওকে অপয়া বলেছি
মেয়েটি যত বড় হয়েছে আমর অবহেলার মাত্রাও বেড়েছে
মাছের বড় টুকরোটা কখনো ওর পাতে দিইনি
সব সেরাটা আমি ছেলেদেরই দিয়েছি
এমনকি অসুখ হ’লে ছেলেদের জন্য ডাক্তার ডেকেছি
আর মেয়েটির বেলায় টোটকার ব্যবস্থা করেছি
যা কিছু সম্পদ ছিল সবই ছেলেদের দিয়েছি
কিন্তু যখন
মেয়েটি তার প্রথম মাইনের টাকাটা আমার হাতে দিয়ে বলে
‘এর সবটাই তোমার হাত খরচ মা’
যখন বলে ‘চলো মা তোমাকে নিয়ে শ্রীক্ষেত্রে যাই’
‘চলো মা এবার দোলে নবদ্বীপে যাই’
অবাক হই –
এমন বেহিসেবী তো আমার জীবিত ছেলেরাও হয়নি
চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়
গাল শক্ত হয়ে গলার কাছটা কেমন দলা পাকিয়ে ওঠে
বলতে চাই ‘তোর ভা হোক তোর মতো কেউ নয়
কিন্তু ভাষা বের হয় না, চোখ তুলে তাকাতে পারিনা
লজ্জায় শরমে ভাবি আমারি তো সন্তান ও
কি ধাতুতে গড়া!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem