তরিকত জ্ঞান অর্জনের বিশাল পথ খুলে রেখেছে।
আর এই তরিকত ই ধ্যান খেয়াল আর দরশন্দারি শেখায়। আর তরিকার বাইরে যারা তারা সবাই কথায় ফাকা বুলি ছোড়ে কিন্তু কোন বিষয়ের ই হাকিকত জানেও না দেখেও না বুঝেও না। ছেলে ইংরাজি এসকুলে পড়ে ধান রচনা মুখুস্ত করে লিখে দেখালও আর গ্রামের বাড়ি দাদাজান যে খড়ের আটি শুকিয়ে রেখেছেন তাকে ঘাসের আঁটি ভেবে ধান গাছ চিনতে চায়। আবার এক জাতীয় জ্ঞানী বুঝার আগেই বুঝে নিয়ে ডাক্তার জাকির মার্কা চিন্তাবিদ সেজেছে। এই দুই দল ই ধর্মের উপরে সাঁতার কাটে কিন্তু ধর্ম, গরু রচনার মতো করে বুঝে। আবার যদি বাংলায় লেখা হয় তবে খুশি। ইংরাজি হলে স্মার্ট আর আরবি বা ফারসি হল সকল ধরনের অপছন্দ। পড়ার আগেই লাইক দেয় মানে খুশী করায়। যাক ওসব।
ধ্যান খেয়াল যা মোরাকাবা আর দর্শনদারী হল মোশাহাদা। ধ্যান স্থির আর গভীর হলে তা মোশাহাদায় পরিণত বা উন্নত হয়। এই রিসার্চে চঞ্চল মন স্থির হয়ে সকল দিক থেকে এক দিকে কেন্দ্রিভুত হয়। এই কেন্দ্রিভুতি নাই বলেই ছালাত হুজুরি ক্কাল্বে হয় না। ক্কুলুবুল মুমিনা আরশাল্লাহ করতে গেলে শয়তান দূর করে জিকির করে আল্লাহর আসন পাকাপোক্ত করতে হবে আর তা আমাকেই করতে হবে।আচছা ইমাম সাহেব আপনার কাল্বে কি আল্লাহর আরশ হয়েছে বা রয়েছে? কোন বস্তুর উপর গভীর মনঃসংযোগে দৃষ্টির স্থিরতাই মোরাকাবা আর দর্শনদারী হল মোশাহাদা। আল্লাহর আরশ যদি আমার ক্কাল্ব হয় তবে আজ হোক আর কাল হোক দেখা আমার হবেই। মোশাহাদা যেনও মুসা আঃ তাজাল্লি দর্শনের মতো। প্রথম প্রথম তাজ্জালি দর্শনে সবাই বেহুশ হয়ে যায় আর পরে আস্তে আস্তে সুফি রা তা সয়ে নেন। মুসা আঃ তাজাল্লিই দর্শন করেছেন পর্বতে আর সুফি সাহেবরা তা দর্শন করেন নিজের বুকের ভিতর বা কাল্বে।কারন কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত নিজেই বলেছেন দৃঢ় বিশ্বাসীর তাঁর নিজের ভিতরে যে নিদর্শন রয়েছে তা তার অন্তঃকরণ। আর সুফি সাধকরা তাঁর নিজের অন্তরে ধ্যান করে যা ধ্যান খেয়াল যা মোরাকাবা আর দর্শনদারী হল মোশাহাদা য় আল্লাহ কে দেখে থাকে।
কি বলা আছে? "কুলুবুল মুউমিনা আরশাল্লাহ" আর "কুলুবুল মুমিনা মিরাতুল্লাহ"! !
আর আল্লাহর আরশ আর দর্পণ যদি হয়ে থাকে তবে যাদের যোগ্যতা আছে তারা আল্লাহকে পাবে না কেনও? ?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem