জীবনের অবশ্যম্ভাবী দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে,
আরও অনেক কিছুর মতো
মানুষ রাজনীতিও আবিষ্কার করেছিলো।
উদ্দেশ্য ছিলো-
মানুষ তার সংঘবদ্ধ জীবনে
একটু হাসি হাসবে।
কিন্তু মানুষ কি হাসছে?
আজ মানুষের সেবায় রাজনীতি নয়
আজ রাজনীতির সেবায় মানুষ।
তাই রাজনীতির কারনে-
দরিদ্র্য আরও দুর্বল আর রুগ্ন হচ্ছে,
নারী ধর্ষিত হচ্ছে,
বিধবা লাঞ্ছিত হচ্ছে,
দেশে রক্তের স্রোত বইছে।
কিন্তু
এমন তো হওয়ার কথা ছিলো না!
ভুল তাহলে কোথায়?
এমন দেশও তো আছে-
তারা সুস্থ রাজনীতি করে
তাদের দেশ আর মানুষকে, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আমরা কেন তা পারছি না?
লাল যাচ্ছে, সবুজ আসছে।
সবুজ যাচ্ছে, গেরুয়া আসছে।
কিন্তু মানুষের
যন্ত্রণার লাঘব হওয়া তো দূরের কথা;
তাদের যন্ত্রণা তো উত্তরোত্তর বাড়ছে।
মানুষ-
সিংহাসন থেকে চোরকে হটাচ্ছে,
তো ডাকাত আসছে।
অকর্মণ্যকে হটাচ্ছে,
তো ধর্ষক খুনী আসছে।
মানুষের যন্ত্রণার মুক্তি তবে কোথায়?
শেয়াল দেশে শেয়াল রাজা হয়
সিংহ দেশে সিংহ রাজা হয়।
তোমরা ছারপোকা হয়ে
সিংহ রাজার আশা করো কি করে?
তোমাদেরই মতো কিছু মানূষ-
নিজ স্বার্থে অন্ধ হয়ে,
যারা মানুষের জন্য লড়াই করতে চায়-
তাদেরকে গালি দিয়ে
মিথ্যে অপবাদ দিয়ে দাবিয়ে দিতে চায়।
ভদ্র কিছু মানুষ-
তারা এতোই নিরীহ আর ভদ্র যে-
তারা অন্যায় দেখেও দেখে না।
আজকাল মানুষ-
সত্যের প্রতিবাদকেও,
রাজনীতির রঙিন চশমায় দেখছে;
আর সেই সংগ্রামীকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
তোমরাই বলো
তাহলে
মানুষের যন্ত্রণা মুক্তি হবে কি করে?
হে ভাই,
একটু তো সৎ আর সাহসী হও।
কতদিন আর
নির্লজ্জ, পা চাঁটা, পাছা চাঁটা পরজীবী-
কৃমির মতো জীবন যাপন করবে?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem