আজকাল আর স্বপ্ন দেখি না।
এতো রঙ
পৃথিবীটা তবুও ফ্যাকাশে হয়ে আসছে।
ফুলের সুগন্ধ ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে
কেঁচো রক্তে রাঙা মাটির গর্ভ যন্ত্রণা।
তিন্নির সুগন্ধী ঠোঁটের নীচে হাসছে
বারো বয়সে তার ধর্ষণের বেদনা।
সকলেই সেজে বসে থাকে।
নগেন মাস্টার রামাবলী গায়ে সেজে বসে থাকে
ঈশ্বরের অপেক্ষায়।
অনামিকা ফুল চন্দন মেখে সেজে বসে থাকে
কল্পনার রাজপুত্তরের অপেক্ষায়।
চামেলী খোলা বুকে আতর মেখে সেজে বসে থাকে
তিন পয়সার অপেক্ষায়।
চোখে স্বপ্ন না এলেও
কেউ কেউ স্বপ্নালু সাজতে চায়।
গত তিনদিন যে ঘুমোয় নি
সেও স্বপ্নের ফেরিওয়ালা সাজতে চায়।
হাতে যার রক্তের দাগ
সেও ঈশ্বরের সুপুত্র সাজতে চায়।
সোনাগাছির নীল রাত যার চিরস্থায়ী ঠিকানা
সেও আদর্শ পিতা সাজতে চায়।
ওহে মাতা ধরিত্রী
কি সাজে সেজে জেগে বসে আছো তুমি?
অথচ আমার নিদ্রা নেই
স্বপ্নও আমি দেখি না।
ইচ্ছে হয় আমিও সেজে বসে থাকি
কোন সৌভাগ্যের প্রতীক্ষায়।
কিন্তু কিসের সৌভাগ্য?
গাড়ি বাড়ি রাজপ্রাসাদ?
ঈশ্বরের স্নেহ ধন্য আশ্রয়?
মালবিকার ওষ্ঠের একটুকরো চুমু?
সুন্দরী কোন কলগার্লের
নরম গরম বুকের দুষ্টু মিষ্টি ছোঁয়া?
হায় ভগবান!
চল্লিশটা বসন্ত পার করে দিলাম
তবুও ঠাহর হলো না
কোন ভাগ্যকে সৌভাগ্য বলে!
ওহে নগেন মাস্টার
বলতে পারো, কোন ভাগ্যকে সৌভাগ্য বলে?
আপনি ঘোড়ার ডিম জানেন মাস্টার!
আপনি যদি তাই জানবেন
তবে চিরকাল বিজ্ঞান পড়িয়ে
রামাবলী গায়ে
আজকে আপনি ঈশ্বরের অপেক্ষায় কেন?
ঘেঁটে ঘ এ সাধের পৃথিবী।
মালবিকা রাতদিন আমার ঊরুর উত্তাপ চায়;
সেই সঙ্গে সে
রাশি রাশি টাকাকড়ি গয়নাগাটিও চায়!
ওহে মালবিকা
তোমার নদীতে রাতদিন যদি সাঁতারই কাটবো
রোজগার তাহলে করবো কখন?
কিচ্ছু ভালো লাগে না-
ঘুমে ঘুম আসে না
স্বপ্নে স্বপ্ন আসে না
সকালে সকাল আসে না।
অথচ এদের সবার আসার কথা ছিলো।
ঠিক ঠিক এরা আসবে বলেই না
এতো রাতজেগে পরিশ্রম!
অথচ পোড়া কপাল আমার
আমি জানি না
আমি ঠিক কতখানি ঘেঁটে ঘ!
ওহে মাতা ধরিত্রী তুমি কি জানো
আমি ঠিক কতখানি ঘেঁটে ঘ?
© অরুণ মাজী
Painting: Edwin Long
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
8013201297