আল কুরআনে অনেক জায়গায় মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সময়ে মিশরের তৎকালীন অত্যাচারী বাদশাহ ফেরআউনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে "হামান" র নাম উল্লেখ আছে
কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে তাওরাত বা ইন্জিলে অথবা পূর্ববর্তী কোন ধর্মগ্রন্থেই ফেরআউনের কথা উল্লেখ থাকলেও হামানের কথা কোথাও উল্লেখ নেই
ফ্রান্সের একজন বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলি এই বিষয়টি নিয়ে গবেষনা শুরু করলেন
তাওরাত ও ইন্জিলে কোথাও ফেরআউনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হামানের নাম উল্লেখ নেই
কিন্তু আল কুরআন সবার শেষে এসে সেই ধারাবাহিকতা থেকে বের হয়ে এল কেন?
কুরআন কোথা থেকে পেল যে ফেরআউনের প্রধানমন্ত্রীর নাম ছিল হামান?
তিনি একজন প্রাচীন মিশরীয় লেখা বিশারদ (hieroglyphic writing)এর শরনাপন্ন হলেন
তাঁকে গিয়ে বললেন, "দেখেন তো প্রাচীন মিশরীয় হেইরোগ্লিফিক ইতিহাসে ফেরআউনের মন্ত্রী হিসেবে কোন হামান নামক লোকের উল্লেখ আছে কি না"
ঐ লেখা বিশেষজ্ঞ সকল প্রাচীন মিশরীয় ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে বের করলেন, "হ্যাঁ ছিল।
হামান নামে ফেরআউনের এক মন্ত্রী ছিলেন
হাঙ্গেরীর রাজধানী ভিয়েনার যাদুঘরে একটি প্রাচীন মিশরীয় হেইরোগ্লিফিক লেখা সংরক্ষিত আছে যাতে হামান নামে এক মন্ত্রীর উল্লেখ পাওয়া যায়
ড. মরিস বুকাইলী বললেন,
"আমি যদি আপনাকে বলি যে, ১৪০০ বছর পূর্বে আরবের মরুভূমিতে জন্ম নেয়া ইসলামর নবী মুহাম্মাদ ﷺ কর্তৃক আনিত কুরআনে ফেরআউনের মন্ত্রী হিসেবে "হামান" নামক লোকের উল্লেখ আছে তবে কি তা আপনি বিশ্বাস করবেন? "
ঐ হেইরোগ্লিফিক লেখা বিশেষজ্ঞ তার চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং চীৎকার করে বললেন,
"অসম্ভব। হাঙ্গেরীর রাজধানী ভিয়েনার যাদুঘরে সংরক্ষিত ঐ প্রাচীন মিশরীয় হেইরোগ্লিফিক লেখাটি পাওয়া গেছে ১৮৮৭ সালে
আর ঐ লেখা কোন হেইরোগ্লিফিক লেখা বিশেষজ্ঞ ছাড়া আর কেউ পড়তে পারবেন না
সেখানে আরবের ৬ষ্ঠ খ্রীষ্টিয় শতকের কোন মানুষের পক্ষে তা জানা অসম্ভব, যখন তাদের অধিকাংশ লোক তাদের নিজের ভাষা আরবীই পড়তে পারত না, হেইরোগ্লিফিক লেখা তারা কোথা থেকে জানবে? "
তখন ড. মরিস বুকাইলি তাঁকে সূরা ক্বাসাসের নিচের আয়াতখানা দেখালেন,
وَقَالَ فِرْعَوْنُ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ مَا عَلِمْتُ لَكُم مِّنْ إِلَٰهٍ غَيْرِي فَأَوْقِدْ لِي يَا هَامَانُ عَلَى الطِّينِ فَاجْعَل لِّي صَرْحًا لَّعَلِّي أَطَّلِعُ إِلَىٰ إِلَٰهِ مُوسَىٰ وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ مِنَ الْكَاذِبِينَ
"ফেরাউন বলল, হে পরিষদবর্গ, আমি জানি না যে, আমি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য আছে। হে হামান, তুমি ইট পোড়াও, অতঃপর আমার জন্যে একটি প্রাসাদ নির্মাণ কর, যাতে আমি মূসার উপাস্যকে উকি মেরে দেখতে পারি। আমার তো ধারণা এই যে, সে একজন মিথ্যাবাদী।" (সূরা ক্বাসাস, সূরা নং - ২৮, আয়াত নং-৩৮)
পরবর্তীতে ড. মরিস বুকাইলি খোঁজে বের করলেন যে,
বিজ্ঞানীরা এই নিশ্চিত সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন যে,
পিরামিডের মধ্যে যে পাথরগুলো ব্যবহৃত হয়েছে আসলে সেগুলো প্রাকৃতিক কোন পাথর নয়
এগুলো মাটিকে বিশেষভাবে পুড়িয়ে তৈরী করা।
পিরামিডের বয়স এবং তাতে ব্যবহৃত ইটগুলোর বয়স সমান
এতে নিশ্চিতভাবে প্রমানিত হয় যে, কায়রোর নিকটবর্তী গীজার গ্রেট পিরামিডই সেই প্রাসাদ যা মুসা (আ :)এঁর সময়কার ফেরআউন তৈরী করতে বলেছিল তার মন্ত্রী হামানকে ইট পুড়িয়ে।
এরপরও কি অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করবে না যে আল-ক্বুরআন মনুষ্যসৃষ্ট কোন গ্রন্থ নয়, বরং তা আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে অবতীর্ন এক মহাগ্রন্থ?
((মুল সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আল -আজহারি))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem