আল্লাহ ওয়ালার ইবাদত কেমন (Allahwaalar Ibadot Kemon) Poem by Rhymer Rhymer

আল্লাহ ওয়ালার ইবাদত কেমন (Allahwaalar Ibadot Kemon)



Worship-ইবাদত-
28 October 2017 ·
1.ইবাদত কি?
ইবাদত হল (যা ইংরাজিতে worship)আল্লাহ তা'আলার আদেশসমূহ পালন আর নিষেদসমুহ কে বর্জন বুঝায়।

2.কেন ইবাদত করতে হবে?
আল্লাহ তা'আলা ইন্সান কে একমাত্র ইবাদতের উদ্দেশেই তইরি করেছেন। " আমি জীন ও ইন্সাঙ্কে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য তইরি করেছি "

3.সকল সৃষ্টিই কি ইবাদত করে?
আসমান জমিনের সকল সৃষ্টি নিজ নিজ ভাষায় আল্লাহ র তাসবিহ পড়ে গুন গান করে থাকে। কেহই আল্লাহ র জিকির থেকে গাফেল নয়। একমাত্র মানব জাতী ও জীন এর বেতিক্রম।

4.মানব ও জীন ইবাদতে শিথিল কেন?
মানব ও জীন কাজে কর্মে স্বাধীন ইচ্ছা সক্তির অধীন। তাই তার অপপ্রয়োগ করে।
এমনও মানুষ আছে যারা মোটেই ইবাদতের ধার ধারে না। তারা আল্লাহতে বিশ্বাস রাখে না। কিছু লোক গাফিলতির মধ্যে ইবাদত করে থাকে। শুধু মাত্র আল্লাহ র পেয়ারা মকবুল বান্দারাই সর্বক্ষণ আল্লাহ র জিকিরে মগ্ন থাকে। অন্য কোন জিনিস তাদের মনকে টলাতে পারে না। " যারা আসমানে আছে এবং জমিনে আছে, আর যারা আল্লাহ র নৈকট্য লাভ করেছে, তারা সবাই তার ইবাদত করতে কখনো অহংকার বা লজ্জা বোধ করে না অথবা ক্লান্তিও বোধ করে না। তারা সারা রাত ও সারা দিন জুড়ে আল্লাহ র তাসবিহ পড়ে আর তা কখনো বন্ধ করে না"।

5.ইবাদতের জন্য কোরআন পাকের হুঁশিয়ারি কি?
কোরআন পাকে নাফরমানির শাস্তির কথা বলা আছে যা কেও রদ করতে পারবে না। কোরআন পাকে সকল হালে আল্লাহ র স্মরণ আর গভীর চিন্তা করাকে বুদ্ধিমানের কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ র কাছে ধ্যান খেয়ালি লোকেরাই সঠিক পথিক।
"পরহেজগাররাই আল্লাহ র কাছে বেশী সম্মানি" সম্মানে আল্লাহ র কোন জাত ধর্ম নেই। যে বেশী আল্লাহ ওয়ালা সেই সম্মানী। আল্লাহ মানুষ কে দুনিয়ার পিছনে দৌড়াতে নিষেদ করেছেন। আর বলেছেন শান্তি একমাত্র আল্লাহ র স্মরণেঃ."আ'লা বিজিক্রিল্লাহি তয়াত মাইনুল ক্কুলুব" প্রকৃত শান্তি আর সম্মান আল্লাহ র কাছে পরহেজগারি আর জিকিরের মধ্যে।

6.ইবাদত আর হেদায়েত কি?
দ্বীনের পথ খুঁজে নিতে হয়। তা হেঁটে আসে না। যে চায় সে পায়। যে চায় না সে পায় না। আর না চাইলেই আর গভীর গর্তের মধ্যে তরিখানা ডুুবে যায়। ঈমানের পথে চালু লোকদের কাফের রা বেইমান আর বোকা ভাবে। আল্লাহর আদেশ আর নিষেদ ভুলে যারা শয়তান আর নফসের গোলামী করে শেষ বেলায় তারা হতাশ আর কষ্টে দিন কাটায়। সত্য পথ বন্ধ হয়ে বিবেকের দরোজায় তালা ঝুলে গেলে আল্লাহ র পথ চির তরে হারিয়ে যায়। যারা হেদায়েতের পথে অহংকার করে হাটে না, তারা কি সকল গানের আধার হয়ে যায়? সকল তত্তের মীমাংসা পেয়ে যায়?

7.ইবাদত ই কি পথ?
কি কারণে আগুন ইব্রাহিম আঃ পুড়ে না আর মুসা আঃ কে পানি ডুবিয়ে না মেরে চলতি ধারনার বিপরীত কাজ করলো? বস্তু জগতও সেই শক্তির কথায় চলতে বিন্দু মাত্র বেতিক্রম করে না। তিনি সেই মহান আল্লাহ যার কোন মেছাল নাই, শরিক নাই আর নাই কোন কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তোমার আছে বিবেক বুদ্ধি তাই শ্রেষ্ঠত্ব আসবে ইবাদতের ভিতর দিয়েঃ "ওয়ামা খালাক্তুল জিন্না ওয়াল ইন্সা ইল্লা লিয়া'বুদুন"

8.ইবাদতই কি কি দিবে?
আমার সকল কর্মকাণ্ড আল্লাহ ও তার রসুল সঃ এর নির্দেশ মতো চালাবো এটাই ইবাদ। ইবাদত আল্লাহর সান্নিধ্য দিবে, অন্তর বিশুদ্ধ করবে, বাতেনিইন্দ্রিয় গুলোকে সুস্থ ও সবল করে সদগুনের বিকাশ করবে। ইব্দত আল্লাহ আর বান্দার গভীর সম্পর্ক।বান্দা আল্লাহ র প্রতি আর আল্লাহ বান্দার প্রতি রাজী অ খুশী।এখানেই ইন্সাআন কামিল হবে আর তদের জন্যই সুসংবাদ। ইবাদত দিবে আল্লাহ কে চেনা ও জানার শক্তি।

9.নিয়ামতের শুক্রিয়াও কি ইবাদত?
ইন্সাআনের শরীরে আছে অনেক জাহের ও াতেনি নিয়ামত। হাত, পা, চোখ, কান, নাক, জিহবা, বুদ্ধি, এসব কি অস্বীকার করা যাবে? চোখ কি একটা ওবাক করা নিয়ামত নয়? এর শুক্রিয়া আদায় না করলে কঠোর শাস্তি আছে। শুধু চোখ েন সকল নিয়ামতের ই শুক্রিয়া আছে। সকল নিয়ামত কে আল্লাহ র হুকুম মতো ালানই তো শুক্রিয়া। শুক্রিয়া এক প্রকার ইবাদত আর ইবাদত ও শুক্রিয়া।তামাম আসমান জমিন মানুষের বেবহারের জন্য আল্লাহ ঢেলে িয়েছেন। এইসকল নিয়ামত আর কুদ্রত মানুশের দিল বিগলিত করার জন্য তবে শুক্রিয়া করবে না? আল্লাহ র পেয়ারা বান্দারা তাই বলেঃ আল্লাহ তুমি এসব ইছক পয়দা করনি। তুমি আমাদের কেও দোজখের আগুনে জালিওনা।

10.ইবাদতের বাধা নফস ওশয়তান কে?
মানুষের আমিত্ব হচ্ছে নফস আর কুমন্ত্রনা দানকারী জীন হচ্ছে শয়তান।মানুষ নিজের খেয়াল খুশী মত চলে নফসের দাস হয়ে তার ইবাদত করছে যা একটা শিরক।
আবার শয়তানের ওয়াছওয়াছা মেনে তার দাসত্ব করছে।ইবাদত শুরুতে খুব কষ্টের াজ। বাবা আদম আঃ একটা মাত্র ভুলের জন্য ৩৫০ বছর কেঁদে েঁদে ইবাদত করেছেন। এই দুনিয়ায় হুঁশে চলতে হবে। ইন্সাআন মানে শ্রেষ্ঠ মাখলুক। তাকে তার শরাফতি বজায় রেখে চলতে গেলে এলেম ও মল দুই অর্জন করতে হবে। না হলে নফস আর শয়তান চেনা যাবে না।

11.এলেম অরজন কি একটা ইবাদত?
এলেম দ্বারা আল্লাহ র আহকাম, হারাম, হালাল, ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল, মারুহ, মুস্তাহাব, এসব জেনে ইবাদত করা যায়। আর জেনে বুঝে আমল করলেই জ্ঞানের চশমা (নহর)খুলে যাবে।আর সেই খাছ রহমত সঙ্গি হলে শয়তান আর নফস ধোঁকা দিতে পারবে না। যারা পরহেজগার শয়তান তাদের স্পর্শ করলেই জ্ঞানের দরোজা খুলে যায়।

12.জাহান্নাম কাদের জন্য?
যারা আল্লাহ র হুকুম অমান্য করে জ্ঞানের দরোজা বন্ধ করে রাখল তাদের জন্য জাহান্নাম। আর বহু জীন ও ইন্ছান জাহান্নামের জন্য তৈরি হয়ে আছে। এদের দিল আছে কিন্তু বন্ধ, চোখ আছে কিন্তু অন্ধ, কান আছে কিন্তু আরকালা। এরাই জানোয়ার সদৃশ যারা শয়তান ও নফছের পূজারী। দুষ্ট নফছ ও শয়তানের প্ররোচনায় কত যে খোদা তৈরি করেছে তার কোন শেষ নাই। লোকদেখানো কাজ আর দুনিয়ার ভোগ বিলাশে মত্ত এই শ্রেণীটা বংশ গৌরব, আধিপত্য বিস্তার, বিদেশ বিভুই ভ্রমণ, আহার নিদ্রা, পোশাক পরিচ্ছদ, বেহুদা আলাপে মগ্ন। আল্লাহ র ইবাদত তো চোখ, কা্‌ন আর দিলের বিষয়। এর বেতিক্রম বা কমতি ই হল গল্মাল ভুল আর নফছানিয়াত। এরা ইবাদতের মজ্জায় যেতে পারে না, উপলব্দি করতে পারে না এর মিষ্টতা আর এরাই নিকৃষ্ট জানয়াররুপি মাটির মানুষ। এরা ইঞ্ছান ই কামিল নয়। আর শেষ বিদায়ে আফসোস করে বলেঃ আল্লাহ আমাকে আবার সময় দাও, ভাল হয়ে ফিরে আসি।"

13.ইবাদত আর আল্লহ র বিরোধিতা কি?
তোমার ইবাদত হবে আকল দ্বারা। এ দুনিয়া আখিরাতের শস্য ক্ষেত্র। বীজ যেভাবে বুনবে ফসল তেম্নিতর মিলবে। সকল নিয়ামত ই তো আল্লার তবে তোমার কি সমস্যা যে তার নিয়ামতে পুষ্ট্ হয়ে তারই বিরোধিতা করে শয়তান আর নফসের গোলামী করছও? তাদের কাছে যাও যাদের গোলামি করছ আমার জান্নাত তোমার জন্য নয়। এই দুনিয়া কাওকে পূর্ণ সুখ দিতে পারবে না। ইবাদত না করলে সুদীর্ঘ বাসনাই শুধু হবে দীর্ঘতর। আশা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা মিটে না। আর শয়তান তো পিছে ঘুর ঘুর করছে তোমাকে মিথ্যে আশায় ফেলে প্রতারিত করবে। শয়তান সরাও সঠিক ইবাদত দিয়ে। শয়ান আর নফসকে পরিহার করে আল্লার গোলাম যারা হয়েছে তাদের অনুসরণ করো।
14. ইবাদত নষ্টের শয়তান্দয় কিকি?
ইবাদত নষ্টের দুইটি শয়তান আছে। একটা হলও মানুষরুপী আর অপরটা হলও জিন্রুপি। কি কারনে শয়তান জোঁকের মতো তোমার সাথে লেগে আছে তার জ্ঞান তোমার আছে কি। নাই কারন এগুলুকে তুমি শতানের খোরাক মনে করো না। তোমার হিংসা, ঘ্রিনা, চোগলখুরী, লোভ, রিয়া, হাসাদ এসব নিয়ে ভাবো না। আবার আছে নফসে আম্মারার প্রবল ঝোঁক যার বাইরে একদম তুমি চলতে পারনা । তুমি দুই জনার দাস তথা আল্লাহ কে বাদ দিয়ে নফস আর শয়তানের পুজা করছও। তোমার ইবাদত হচ্ছে না তাই দোয়া বিফলে যাচ্ছে। তুমি সামান্য বিড়ি খাওয়া ছাড়তে পারনা। গুনাহ করে এসে গা ধুয়ে মানুষকে দেখাচ্ছ কত বড় ভাল মানুষ। তোমার বদ নফস তোমাকে দিয়ে কি না করাচ্ছে। তোমার খারাপ লাগে না। তুমি অন্ধ। এই দুই শত্রু কে দমন করা না গেলে তোমার ইবাদত বন্দিগি সব বৃথা। তোমার দরকার কোঠর রিয়াজত আর পথ নির্দেশক। শয়তানকে আর নফস্কে চিনে জেনে ইবাদত করো নইলে শুন্য হাড়ি চুলায় জালিওনা লাভ হবে না।


Some people think they can find satisfaction in good food, fine clothes, lively music, and pleasures. However, when they have all these things, they are not satisfied. They realize happiness is not simply having their material needs met. Thus, society has set up a system of rewards that go beyond material goods.These include titles, social recognition, status, and political power, all wrapped up in a package called self-fulfillment. Attracted by these prizes and goaded on by social pressure, people spend their short lives tiring body and mind to chase after these goals. Perhaps this gives them the feeling that they have achieved something in their lives, but in reality they have sacrificed a lot in life.They can no longer see, hear, act, feel, or think from their hearts. Everything they do is dictated by whether it can get them social gains. In the end, they've spent their lives following other people's demands and never lived a life of their own. How different is this from the life of a slave or a prisoner?

সহায়কঃ
1.Abdulmujib Attijjeniy Usman
2.১। ছিরাজুছ ছালিকিন,
২। ছুন্নি পিডিয়া,
3। গাউছিয়া হোসাইনীয়া রেজভীয়া সুন্নীয়া জামিআ' মাদ্রাসা, সুনামগঞ্জ।
৫। তরীকায়ে আহমদিয়া, আলহাজ সুফি আব্দুর রাজ্জাক প্রণীত।

Monday, April 2, 2018
Topic(s) of this poem: mysterious,mystical philosophy,worship
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Rhymer Rhymer

Rhymer Rhymer

DHAKA Tangail, BANGLADESH
Close
Error Success