গপ গপ করে
কত আর গিলবে অমল বোস?
দেখছো না
হাড় গিল গিলে শিশুটা
তোমার দরজায় দাঁড়িয়ে?
কথা কি তবে ছিলো না
এ পৃথিবী সবার হবে?
তবে সোনাগাছির চামেলী
সেজে গুঁজে বুকে আতর মেখে
এখনো কেন আঁধারে দাঁড়িয়ে?
অশীতিপর বৃন্দাবনী কেন
কৌটো হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে?
তোমাদের মানুষ নাকি
আজ আলো সভ্যতার যাত্রী?
চাঁদের বুকে
সাতরঙা পতাকা পুঁতে দিচ্ছে!
মঙ্গল বুকে
ইমারতের নকশা আঁকছে!
বন্ধ্যা নারী গর্ভে
জ্যান্ত শিশুর জন্ম দিচ্ছে!
নর্দমা থেকে কুড়িয়ে
যে শিশুটা মাছের কাঁটা চিবোচ্ছে
সে তবে কে?
চিনতে পারো? চিনতো পারো তাকে
হে শুয়োরের বাচ্চা অমল বোস?
চিনতে আর পারবে কি করে?
তোমরা তো শালা
আপন মাকে চিনতে পারো না!
মাকে বেচে
বৌয়ের জন্য ক-ভরি সোনা কিনলে অমল বোস?
তুমি নাকি
বাপকে মরণ শয্যায় কথা দিয়েছিলে-
মাথা নীচু তুমি করবে না!
গতকাল যার মসৃন পশ্চৎদেশ তুমি চাঁটছিলে
সে তবে কে?
আয়নায় কখনো দেখেছো নিজেকে?
দেখেছো
কত বড় ফেতি কুত্তা হয়েছো তুমি?
চাঁটতেই যদি জন্মেছো
তবে দু পায়ে হাঁটো কেন?
কুত্তার মতো চার পায়ে হাঁটতে পারো না?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem