সাগরের নিচে ডুব না দিলে মুক্তা মিলে না/ No Pearl Unless You Go Under The Sea Poem by Rhymer Rhymer

সাগরের নিচে ডুব না দিলে মুক্তা মিলে না/ No Pearl Unless You Go Under The Sea

আসামীকে ছাড়াইয়া আনার জন্য যেমন উকিলের সুপারিশের প্রয়োজন হয়: -
দুনিয়ার আদালতে হাকীমের নিকট থেকে আসামীকে ছাড়াইয়া আনার জন্য যেমন উকিলের সুপারিশের প্রয়োজন হয়, তেমনি আখেরাতে রাসূলের শাফায়াত পাওয়ার জন্য আল্লাহ এবং রাসুলেরবন্ধুর(উকিল)সুপ ারিশ প্রয়োজন হয় ।এক জন কামেল পীর বা মুর্শিদই আল্লাহ এবং রাসুলের বন্ধু । আল কোরআন কি বলে?
সূরা মায়েদা: আয়াত-৩৪ (ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিন া আমানুত্তাকুল্লাহা ওয়াবতাগু ইলায়হিল ওয়াসিলাতা ওয়াজাহিদু ফি সাবিলিহি লা আল্লাকুম তুফলিহুন)।
অর্থ্: হে বিশ্বাসীগণ আল্লাহকে ভয় কর, যারা আল্লাহকে পাইতে চাও একটি মাধ্যম (ওসিলা)ধরে তালাশ কর এবং আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করিতে থাক, ইহাতে পূর্ণ্ সফল হইবে।
সূরা নিছা: আয়াত-৫৯ (ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানু আতিউল্লাহা ওয়া আতিউর রসূলা ওয়া উলিল আমরি মিন কুম)।
অর্থ্: হে বিশ্বাসীগণ তোমরা অনুগত্যকর আল্লাহর এবং রাসূলের আর তোমাদের মধ্যে যাহারা কামেল (উপরস্ত) তাহাদেরও আনগত্য কর । ভাই সব এখন কাহারা কামেল (উপরস্ত)তা আপনারা বিবেচনা করুন।
সূরা ফাতহ: আয়াত-১০ (ইন্নাল্লাযিনা ইয়্যুবায়িউনাকা ইন্নামা ইয়্যুবায়িউনাল্ল াহ, ইয়াদুল্লাহি ফাওক্ব আয়দি হিম)।
অর্থ্: নিশ্চয় যাহারা তোমার বাইয়াত গ্রহণ করিয়াছে, তাহারা আল্লাহরই বাইয়াত গ্রহণ করিয়াছে আল্লাহর হাত তাহাদের হস্তের উপর ।
এই টুকুর ব্যাখ্যা: আল্লাহর রাসুলের নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা আর আল্লাহর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা একই কথা। আল্লাহ তা আলাই রাসূল রুপে এবং কামেল মুর্শিদ রুপে সর্ব্ যুগে বিরাজ করেন।সুতারং আল্লাহ এবং রাসুল কে পৃথক ধারনা করা ভূল এবং কুফরী। সেইজন্য রাসুলের হাতকে আল্লাহর হাত বলা হয়েছে ।
সূরা কাহাফ: আয়াত-১৭ (ওয়া মাইয়্যুদলিল ফালান তাজিদালাহু ওয়ালিইয়াম মুর্শিদা)।
অর্থ্: আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথ প্রাপ্ত হয় এবং তিনি (আল্লাহ)যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তার জন্য কোন পথ পথপ্রদর্শনকারী(অলি-মুর্শিদ)পাব ে না।
সূরা ইউনূস: আয়াত-৬২-৬৩ (আলা ইন্না আউলিয়া-আল্লাহি লা খাওফুর আলায়হিম ওয়ালাহুম ইয়াহযানুন। আল্লাযিনা আমানু ওয়া কানু ইয়াত্বাকূন। লাহুমুলবুশর ফিল হা ইয়াতিদদুনিয়া ওয়াফিল আখির।লাতাবদিলা লিকালিমাতিল্লাহ খালিকা হুওয়াল ফাওযুল আজিম ।
অর্থ্: সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর অলিগণের কোন ভয় নাই, এবং তারা কোন বিষয়ে চিন্তিতও নহে।তাঁদের জন্য আছে সু সংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্ত্ন হয় না ।উহাই মহা সাফল্য । স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম) নেতা সহ আহ্বান করব।।
বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭১ । মুমিন পুরুষ ও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেক কতেকের বন্ধু ।
সুরা: তাওবাহ, আয়াত: ৭১ । তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে ।
সুরা: আল-ইম্রান, আয়াত: ৭১ । অনুস্মরণ কর তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত ।
সুরা: ইমায়িন, আয়াত: ২১ । যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছে তাঁর পথ অনুস্মরণ কর -
সুরা: লোকমান, আয়াত: ১৫। জিকির সম্বন্ধে তোমাদের জানা না থাকলে জিনি জানেন তাঁর নিকট হতে জেনে নাও ।
সুরা: আম্বিয়া, আয়াত: ৭ মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (ছাদেকিন)সত্যবাদী গণের সঙ্গী হয়ে যাও।
সুরা: তাওবাহ, আয়াতঃ ১১৯ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকের রহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী ।
সুরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ৫৬ ।
আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনুল করীমে সুরা বাকারা আয়াত ১৩২ নং এরশাদ করেছেন: - "ফালাতামতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মোসলেমুন।" অর্থ- তোমরা মোসলমান না হয়ে কবরে আসিও না। এখন প্রশ্ন আমরা তো মোসলমান আছি। আল্লাহ পাক আবার মোসলমান হওয়ার কথা বলছেন কেন?
আল্লাহ পাক পুনরায় মোসলমান কি জন্য হতে বলেছেন তা দেখুন। যেমন আমার বাবা মোসলমান, আমি ও মোসলমান। আমার বাবা যদি হিন্দু হতেন তাহলে আমিও হিন্দু হতাম। আমার বাবা যদি বৌদ্ধ হতেন তাহলে আমিও বৌদ্ধ হতাম। আমার বাবা যদি খ্রীষ্টান হতেন তাহলে আমিও খ্রীষ্টান হতাম। আমরা বাবার সাইন বোর্ড কাধে নিয়ে মোসলমান দাবী করছি। যে বা যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান থেকে মোসলমান বলে দাবী করতে পারে যে তারা মোসলমান। আমরা মোসলমান বলে দাবী করি বাবার সাইন বোর্ড কাধে নিয়ে।
এজন্য আল্লাহ পাক বলেছেন: - " তোমরা মোসলমান না হয়ে কবরে আসিও না।" তাই আমাদেরকে নতুন করে মোসলমান হতে হবে।
নতুন করে মোসলমান হতে হলে আমাদের কি করতে হবে? আমাদেরকে কামেল মুর্শিদের হাতে বায়াত গ্রহণ করতে হবে। বায়াত গ্রহণ করলেই আমরা তখন মোসলমান বলে দাবী করতে পারবো। কারণ মুর্শিদের হাত রাসুলের হাত।
রাসুলের হাত আল্লাহর হাত। ফানাফিস শেখ, ফানাফির রাসুল। ফানাফির রাসুল ফানা ফিল্লাহ। অর্থাৎ মুর্শিদের সাথে মিশলে রাসুলের সাথে মেশা হল। রাসুলের সাথে মেশা হলে আল্লাহ পাকের সাথে মেশা হলো।
কারণ মানুষ তিনবার মৃ্ত্যু বরণ করে। প্রথম মৃ্ত্যূ হল যখন সে ঘুম আসে। দ্বিতীয় মৃ্ত্যূ হল যখন সে বায়াত হয়। তৃতীয় এবং শেষ মৃ্ত্যূ হল যখন তার জান কবয হয়। যখন কোন লোক পীরের নিকট বায়াত হয় তখন সে নতুন মোসলমান হয়।
হাদীসে আছে: "মউতু কাবলা আনতা মউতু " অর্থ- মরার আগে মরিয়ে যাও।এজন্যই আল্লাহ পাক বলেছেন- মোসলমান না হয়ে কবরে আসিও না। পীরের নিকট বায়াত গ্রহণ করলেই সে নতুন মোসলমান হয়ে গেল। তখন কবরে গেলে কোন ভয় থাকবে না। কারণ আল্লাহ পাকের হুকুম পালন করা ফরয।
বায়াত অর্থ কি? বায়াত অর্থ আত্ন বিক্রয় করা বা অংগীকার করা। অর্থাৎ নিজেকে সমর্পণ করা। এখন কথা হলো কেন বায়াত হতে হবে?
তার কারণ এই যে এলেম দুই প্রকার। যথা হাদীছে আছে: - "মিনহা জাহেরুন ওয়া মিনহা বাতেনুন"। এছাড়া হাদীছ শরীফে আরো আছে - "আল এলমো এলমুল লেছানে ওয়া এলমো কালব"। জাহের এলম তো বাজারে কিনতে পাওয়া যায় কিন্ত্তু বাতেন এলম তো আর বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। এটা পেতে হলে যার নিকট বাতেনী এলম আছে তার নিকট বায়াত হতে হবে।যা আহলে বাইয়াতের নিকট হতে সিনায় সিনায় পীরের নিকট হতে চলে আসছে।
যেমন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহুআলাহে ওয়া সাল্লাম) কে জিব্রাইল (আ :) তিনবার সিনায় সিনায় চাপ দেন। এই বাতেনী বিদ্যা হাছেল করার জন্যই বায়াতের প্রয়োজন। এখনও যদি বলেন বায়াতের প্রয়োজন নেই। তাহলে অামি বলবো যে, বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র :) ছাহেব মার্তৃ গর্ভে থেকে ১৮ পারা কোআন শরীফে হাফেজ হয়ে দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। জাহেরী এলেমও শিক্ষা করেছেন।
তিনি কেন হযরত শেখ আবু ছাইদ মাখজুমী (রহ :) নিকট বায়াত হয়েছেন?
এছাড়া হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মঈন উদ্দিন চিশতী (র :) হযরত খাজা ওসমান হারুনী (র :) - এর নিকট
হযরত খাজা বখতিয়ার কাকী (র: হযরত খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী (র :) নিকট,
গযরত খাজা শেখ ফরীদ (র :) হযরত খাজা বখতিয়ার কাকী (র :) - এর নিকট,
হযরত খাজা নিজাম উদ্দিন চিশতী (র :) হযরত খাজা শেখ ফরীদ (র :) - এর নিকট কেন বায়াত গ্রহণ করেছেন?
এছাড়া হযরত খাজা শাহ জালাল (রহ :) হযরত খাজা সৈয়দ আহমদ কবীর সাহেবের নিকট,
হযরত খাজা বায়েজীদ বুস্তামী হযরত খাজা আবু আলী সিন্দি (র :) সাহেবের নিকট,
হযরত খাজা মোজাদ্দেদ আল ফেসানী (র :) হযরত খাজা বাকী বিল্লাহ(র :) নিকট,
হযরত খাজা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া (র :) হযরত খাজা আমীর সৈয়দ কুনান বুখারীর(র :) নিকট,
হযরত ইমাম গাজ্জালী (র :) হযরত শেখ আবু আলী ফারমাবাদী (র :) - এর নিকট
এমন কি জগৎ বিখ্যাত মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী (র :) - এর নিকট বায়াত গ্রহণ করেছেন?
এখনও যদি বলেন যে বায়াতের প্রয়োজন নেই কোরআন হাদীস পড়লেই চলবে আমি বলবো যে, আপনারা কি এইসব অলী আল্লাহদের থেকে ও বড় হয়ে গেলেন? ? (নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক)।
পৃথিবীতে এমন কোন অলি আল্লাহ বা পীর নেই যিনি বায়াত গ্রহণ ছাড়া কামেল অলি হয়েছেন।
এমন কি শেখ ফরিদ উদ্দিন চিশতী (র :) ৩৬ বৎসর এবাদত বন্দেগী করেও হযরত খাজা বখতিয়ার কাকী (রহ :) এর নিকট বায়াত গ্রহণ পূর্বক ২৪ বৎসর তার খেদমত করে কামেল অলি হয়েছেন।
যদি বায়াত গ্রহণ ছাড়া চলতো তবে তার মতো লোকের তো আর পীর ধরার দরকার ছিল না। কাজেই বায়াত গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
এজন্য জগত শ্রেষ্ঠ মাওলানা রুমী (রহ :) বলেছেন: - " এক জামানা ছোহবতে বা আউলিয়া বেহেতর ছদসালে তায়াতে বেরিয়া"।
অর্থাৎ কিছুকাল কোন অলির সহিত বসা ১০০ বৎসর বেরিয়া এবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
তিনি আরো বলেছেন যে আমি যত বড় পুথিগত বিদ্যা হই না কেন যে পর্যন্ত শামশের তাবরেজী (রহ :) এর কম্বলের নীচে না গিয়েছি সে পর্যন্ত আমি জ্ঞান অর্জন করতে পারি নাই।
কম্বলের নিচে যাওয়া মানে বায়াত গ্রহণ করা। "
সিয়ারুল আসরার" কিতাবে হযরত বড়পীর (রহ :) সাহেব লিখেছেন-
"কলব জিন্দা করার জন্য পীর বা আহলুত তালকীন অন্বেষণ করা ফরয।
হযরত মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (র :) বলেছেন-"আল ফেকাউ লে ছালাহির জাহেরে আল তাসাউফ লে এছলাছির বাতেনে"।
অর্থাৎ ফেকাহ শাস্ত্র মানুষের শরীয়তকে শুদ্ধ করে আর তাসাউফ মানুষের অন্তরকে পরিস্কার করে। মাওলানা রুমী (রহ :) বলেছেন -
"কোনবীয়ে ওয়াক্ত খেসাশত আয় মুরিদ তাকে নুরে নবী আমাপদীদ" অর্থাৎ তোমার পীরকে জামানার পথপদরসক মনে কর।
তিনি আরো বলেছেন: " খোদ-ব- খোদ কামেল না-শোদ মাওলানায়ে রুম- তা-গোলামে শামসের তাবরেজী না- শোদ" অর্থাৎ আমি কখনো নিজে কামেল হতে পারি নাই যতক্ষণ না আমি শামশের তাবরেজীর গোলাম হয়েছি।
হযরত হাফেজ সিরাজী (রহ :) বলেছেন-" বকোয়ে এশক সানেহ বে-দলীল রাহকদম কেমান বখশ নমুদাম ছদ এহতেশাম না- শোদ" অর্থাৎ পথ প্রদর্শক পীর ছাড়া এশকের গলীতে পা রেখো না কারণ আমি শত চেষ্টা করেও কিছুই হইনি। হাফেজ (র :) বহুকাল নিজে নিজে বহু চেষ্টা করেও কিছুই হাছেল করতে পারেননি। অবশেষে পীরের ওছিলায় দুই বৎসর সাধনায় মারফতের অশেষ দান লাভ করেন।
এলমে জাহের ও এলমে বাতেন উভয়ের মধ্যে এরুপ সমন্ধ যেমন একটি দেহ ও অপরটি রুহ। রুহ ছাড়া যেমন দেহ বাচে না তেমনি দেহ ছাড়া রুহ খাকে না। কোনো শয়ের বলেছেন: -

" একভি আগর তরকহো তুজছে হাবীব! তো উঠে শাহেশর মে আমা বে নছীব" অর্থাৎ শরীয়ত এ মারেফত এই দুইটি এলমের একটিও যদি ত্যাগ কর তবে কেয়ামতের দিন অন্ধ হয়ে উঠবে। মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী (রহ :)



((হেল্প ফ্রম Gawsia Hossainia Darbar Sharif Complex, Bangladesh))

Wednesday, May 2, 2018
Topic(s) of this poem: thinking
COMMENTS OF THE POEM
???? ??????? ????? 05 June 2018

তরিকায়ে চিসতীয়া

0 0 Reply
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Rhymer Rhymer

Rhymer Rhymer

DHAKA Tangail, BANGLADESH
Close
Error Success