হনহন করে হেঁটে গেলো সে।
তাকে দেখিনি।
দেখেছি। কিন্তু তেমন করে দেখিনি।
কতক্ষণ ধরে কত গভীর করে
দেখা হলে
উপচে পড়া বুকের অষ্টাদশী এক যুবতীকে
একটু "দেখা" বলে?
দেখেছি।
কিন্তু তেমন করে দেখিনি।
ধক ধক করলো বুকটা
আয় ঠায় করলো মনটা!
দেখিনি। কেন তাকে
আর একটু গভীর করে দেখিনি?
ফাঁকা রাস্তা শেষে, সবুজ অরণ্য।
পৃথিবীকে তার শেষ রঙ দিয়ে
সূর্যটা মিলিয়ে যাচ্ছে যেন।
উদ্ভিন্ন যৌবনা অষ্টাদশী সেই মেয়েটাও
দিগন্তে ছোট হতে হতে
মিলিয়ে গেলো যেন।
হটাৎই দার্শনিকের মতো জিজ্ঞেস করলাম-
"আলো একসময়মিলিয়ে যায় কেন? "
তখনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমি।
ধীরে ধীরে আঁধার নেমে এলো।
চৈতন্য ফিরে পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম-
এ কোথায় আমি?
এ তো আমার বাস স্টপ নয়!
আমার স্টপেজ তো তিন স্টপ আগে!
কাকে দেখে, কি দেখে
অজান্তে এখানে এলাম?
তাকে দেখিনি।
দেখেছি। কিন্তু তেমন করে দেখিনি।
হায় ঈশ্বর!
আবার কখনও কি দেখবো তাকে?
কে জানে! হয়তো তার তরে
অজান্তে আবার প্রতীক্ষা করবো!
কিন্তু কতদিন?
একদিন? দুদিন?
অথবা অনন্তকাল?
© অরুণ মাজী
Painting: Remzi Taskira
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem