আয়ারল্যান্ডের মহাদুর্ভিক্ষে খলিফা প্রথম আবদুল মজিদের উপর্যুপরি ত্রাণ
১৮৪৭ সাল। ১০ বছর ধরে মুসলিম বিশ্বের খলিফা সুলতান আবদুল মজিদ। ৯৮% ক্যাথলিক খ্রিস্টানের দেশ আয়ারল্যান্ডে আলুর উৎপাদনে লাগে মহা মড়ক। আলু নির্ভর খাদ্য ব্যবস্থার কারণে ধ্বসে পড়ে আইরিশদের জীবনযাত্রা। পথে পথে শুকিয়ে কাঠ হওয়া আইরিশদের মিছিল। যেন জোম্বি।
আবদুল মজিদ সে সময়ে ১০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড সহায়তা পাঠানোর বন্দোবস্ত করলেন। প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব প্রত্যেক মানুষের সেবা করা। তা সে মুসলিম হোক বা না হোক। তা সে নিজ দেশের হোক বা না হোক। রাসূল দ. বলেছেন একজন মুসলিমের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হল ত্বোআম- ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান।
ওই সময়ে ১০ হাজার পাউন্ড ছিল অচিন্তনীয় সম্পদ।
খোদ ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়া তখন রাজত্ব করছেন। তিনি মুসলিমদের আলোকিত জানছেন, আরবি অক্ষর লেখা শিখছেন, কুরআনের কথা জানছেন। আবদুল মজিদ মুসলিমদের পরিচয় দিলেন।
কিন্তু বাধ সাধল ব্রিটিশ কূটনীতিকরা।
রানি যা দিচ্ছেন, তারচে বেশি দেয়া বা তার সমান সহায়তা দেয়া রানির সম্মানের পক্ষে ‘অসৌজন্যমূলক' হবে। রানি কত দিচ্ছেন? ২ হাজার পাউন্ড। তাহলে খিলাফাত কত দিতে পারবে? তার অর্ধেকের বেশি নয়। সুতরাং ১ হাজার পাউন্ড।
খলিফা চাপাচাপি করলেন না। তার তো সুনাম প্রয়োজন নয়। ১ হাজার পাউন্ডই দিলেন তিনি। এরপর, গোপনে পরপর অন্তত ৫ টা জাহাজভর্তি খাদ্য ও সহায়তা পাঠালেন খলিফা আয়ারল্যান্ডে।
ড্রোহিডার বন্দরে আজো ইসলামের চিহ্ন, চাঁদ ও তারা শোভা পায়। অথচ সেখানে কোনও মুসলিম ছিল না ৫০ বছর আগেও। কেন? গোপনে যখন আবদুল মজিদ এই জাহাজগুলো পাঠান, ব্রিটিশরা সেগুলো আটকে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। সূর্য না ডোবার সাম্রাজ্যের মূল ভূমিতে মুসলিম খলিফা খাবার সহায়তা পাঠাচ্ছে, কেমন না বিষয়টা?
আয়ারল্যান্ডের মানুষ কিন্তু ইসলামের খলিফাকে চিরতরে লিখে রাখলো, ‘ভাল, মানবিক, মমত্ববোধসম্পণ্ণ মানুষ' হিসাবে। ঠিক এইটা হওয়াই প্রত্যেক মুসলিমের উপর ঈমানী ফরজ। ভাল, মানবিক ও মমত্ববোধসম্পণ্ণ মানুষ হওয়া।
মুসলিমরা কল্যাণকর কিছু করেনি। মুসলিমরা কল্যাণকর কিছু করতে জানে না। মুসলিমরা তাদের নীতিগতভাবেই অকল্যাণকর, পশ্চাতপদ, সম্প্রদায়বিদ্বেষী, সহাবস্থানবিরোধী? ইতিহাসে মুসলিমদের মানবিক রাষ্ট্রের উদাহরণ নেই?
থাকলে সেসব চেঁছে তুলে ফেলা হবে। কোনও পাঠ্যক্রমে তা জায়গা পাবে না। মুসলিমদের উগ্র ও অসহমর্মী রূপে দেখাতে পারলেই যে আখেরে লাভ!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem