বাইয়াত কি?
বাইয়াত হওয়া কোরআনের হুকুমঃ
(বাইয়াত হওয়া ফরজ, কোরআনের দলিল দেখুন) ঃ
হানাফি, শাফি, মালেকী, ও হাম্বলী এ চার মাজহাব নিয়েই আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামাত
ইসলামের শুরু থেকে যুগ যুগ ধরে কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত বায়াতে রাসূলের প্রথা জারি আছে রাসূল পাক (সঃ)এর পবিত্র হাত মোবারকে হাত রেখে যতক্ষণ পর্যন্ত কেহ বায়াতে রাসূল(সঃ) গ্রহণ করেন নাই, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন ব্যাক্তি ইমানদার মুসলমান বা মোমেন হতে পারেন নাই।তাঁর অসংখ্য দলিল কোরআন সুন্না মোতাবেক মওজুদ আছে।
তাঁর একটি দৃষ্টান্ত পবিত্র কোরআনে বায়াতে রেদোয়ান দেখুন।
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺒَﺎﻳِﻌُﻮﻧَﻚَ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺒَﺎﻳِﻌُﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻮْﻕَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ
আল কোরআন, সূরা আল ফাতহ, আয়াত নং ১০।
অর্থাৎঃ হে রাসূল (সঃ) , নিশ্চয় যারা আপনার নিকট বাইয়াত হওয়ার জন্য আসে (মুরিদ হওয়ার জন্য আসে) , তাঁদেরকে আপনি বাইয়াত দান করুন (তাঁদের মুরিদ করুন) , নিশ্চয় তাঁদের ঈমান করতে হবে, তাঁরা আপনি রাসূলের নিকট বাইয়াত হচ্ছে না তাঁরা স্বয়ং আমি আল্লাহর নিকট বাইয়াত হচ্ছে। যদিও তাঁরা চর্ম চোখে দেখছে আপনি রাসূলের হাত তাঁদের হাতের উপর রয়েছে, কিন্তু তাঁদের ঈমান করতে হবে তাঁরা আমি আল্লাহর হাতে হাত রেখে বাইয়াত হচ্ছে।
"বাইয়াত" শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, "বাইয়ুন" শব্দ থেকে।
"বাইয়ুন" শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে "ক্রয়-বিক্রয়"
এখানে এই "ক্রয়-বিক্রয়" মানে হচ্ছে আমার আমিত্বকে আল্লাহর রাহে রাসূলের নিকট গিয়ে কোরবান করে দিলাম, বিলিন করে দিলাম, বিক্রি করে দিলাম।
আমার আমিত্ব, আমার যত অহংকার আছে, অহমিকা আছে, আমি আমি যত ভাব আছে সমস্তকিছু আল্লাহর রাসুলের কাছে গিয়ে আল্লাহর রাহে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করে দেয়া, কোরবান করে দেয়া, বিক্রি করে দেয়া এবং পক্ষান্তরে রাসূলের (সঃ) কাছ থেকে কোরআন সুন্না ভিত্তিক জীবন ব্যবস্থা খরিদ করে, সমস্ত উপাসনার মালিক আল্লাহ, সেজদার মালিক আল্লাহ, কুল্লু মুকলুকাতের মালিক আল্লাহ, এই দৃঢ় ঈমানে ঈমানদার হয়ে যাওয়া, এটাকেই বলা হয় বাইয়াত বা "ক্রয়-বিক্রয়" ।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, আল্লাহর রাসূল (সঃ)তো এখন আমাদের মাঝে জাহেরা অবস্থায় নাই, এখন আমাদের কি উপায় হবে, তাঁর সমাধান আল্লাহ কোরআন শরীফের মাধ্যমে দিয়েছেনঃ
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম""আতিওয়াল্লাহা আতিওয়া রাসূলা ওয়া ওলি লামরে মিনকুম" আল-কোরআন। অর্থঃ মোমেন বান্দারা, তোমরা আমি আল্লাহর তাবেদারি কর, তোমরা আমার রাসূলের তাবেদারি কর, এবং আমার আউলি-আল্লাহর তাবেদারি কর।
তরিকাপন্থির সব কিছু কেমন?
চলাফেরায়, কথাবার্তায়, কাজেকর্মে, উঠাবসায়, খানাপিনায় তরিকতপন্থি আলাদা রকমরের কারণ তার কদমবকদম সুন্নতের ভিতরে; একটু বেতিক্রম দেখলে ভাবেন সে ভেজালের মধ্যেই আছে। খাটি তরিকায় আর ছালেকে ছুন্নতের একচুল বেতিক্রম নেই। মুরিদ পীরকে কদম্বেকদম অনুসরণ করে আর পীর রাসুল সঃকে দেখে দেখে চলে।বেতিক্ক্রম ই ভেজাল।
ছালেকের/মুরিদের/তরিকাপন্থির পোশাকঃ
ক) কোর্তা লম্বায় হাঁটু ও গিরার মাঝামাঝি(নেছফেছাক) , গোলাকার আর কোণা বন্ধ, আস্তিন হাতের কব্জি পর্যন্ত, বোতামবিহীন গুটলিযুক্ত সাদা, হাল্কা আকাশী বা ছাই বা গিয়া রঙের।
খ) নিম্নাগের জন্য সেলাইবিহীন তফন যা দোপাট্টার মতো হাটুর নীচ পর্যন্ত একটা অন্তরবাস থাকবে/এটিই খাছ(তবে কেও কেও পাজামা পড়ে/চাকুরীজীবীরা/হুজুর কেবলাকে কখনো পাজামা পড়তে দেখিনি) ।
গ) তরিকতপন্থির চুল তিন কিছিমেরঃ জুম্মা/কানের লতি বরাবর, লিম্মা/কাঁধ ও কানের লতির মাঝা মাঝি, অফরা/কাধ ছুই ছুই! ছালামাবাদ আবাদ হুজুর মাঃ জিঃ, জুম্মা কিছিমের চুল রেখেছেন যা কানের লতি বরাবর আএ এটাই আমাদের সুন্নাহ।
ঘ) গোঁফ ছেঁটে এমন ছোট করা যেন মনে হবে চেছে ফেলা, দাঁড়ি ছেড়ে দেয়া, আর চুলে কখনো রঙ লাগানো ছাল্মাবাদ ছিলছিলার রীতিবিরুদ্ধ(সাদা চুল সাদাই থাকবে) ।
চ) অবশ্যই পাগড়ী পড়ে নামাজ পড়া, পাগড়ী ৭-১/২ হাত থেকে শুরু, ছালামাবাদ পন্থি সবুজ পাগড়ী পড়ে যা খাছছুন্নাত।পান, জরদ্দা, গুল এসব নিরুতশাহিতও করা হয়(যা পান জর্দা কেও কেও লুকিয়ে খান, ধুমপান নিষেদ। অসুন্দর অরুচিরকর সব কিছুই পরিত্যাজ্য এমনকি অনেক সুফি একধরনের রুমাল দিয়ে মাফলারের মতো ঘোমটা দিয়ে চলে যা আমাদের নিরুৎসাহিত করা হয়।
যে সব সুত্র থেকে সহায়তা নিয়েছিঃ
১। ছিরাজুছ ছালিকিন,
২। ছুন্নি পিডিয়া,
৩। এক অংশ হাস্কার শরিফুদ্দিন,
৪। গাউছিয়া হোসাইনীয়া রেজভীয়া সুন্নীয়া জামিআ' মাদ্রাসা, সুনামগঞ্জ।
৫। তরীকায়ে আহমদিয়া, আলহাজ সুফি আব্দুর রাজ্জাক প্রণীত।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem