তরিকা কি আর এর দরকারই বা কি ৭।।? (Torika Ki Ar Er Dorkari Ba Ki ৭।।?)) Poem by Rhymer Rhymer

তরিকা কি আর এর দরকারই বা কি ৭।।? (Torika Ki Ar Er Dorkari Ba Ki ৭।।?))

অন্তর পাকসাফ কি ভাবে হবে?
উন্তর পাক্সাফ করতে গেলে বস্তু বা বিষয়ের জাহের ও বাতেন এর জ্ঞান থাকতে হবে। ইবাদত করতে গেলে এ দু'টুই পাস সাফ না থাকলে খুলুসিয়াত অর্জন হবে না। খালেস দিল ছাড়া ইবাদত করে নেকি অর্জন হবে না। আপনি অন্তর কে একা একা সংশোধন করতে পারেন না । বাতেন একমাত্র কামেল পীরের সোহবত নিয়ে পরিছন্ন করতে হবে। পীর তার তাওয়াজ্জু দ্বারা দিলের মধ্যে জীবনী শক্তি, আবেক ও স্পন্দন সৃষ্টি করে আল্লাহ র মহব্বত ও মারেফাত/ তত্ত্ব ও তথ্য অনুধাবনের শক্তি প্রবল খাহেস জাগায়! পীর মুরিদের অবস্থা অনুযায়ী জিকির, মোরাকাবা আর মোশাহাদা র ছবক দ্বারা বাতেন সংশোধন করে থাকেন। সহজ ও অল্প সময়ে আল্লাহ র নৈকট্য লাভ কামেল পীরের বায়াত ছাড়া একেবারেই অসম্ভব!
অন্তর পাকসাফে কি কি বিষয় আছে?
অথবা লতিফা কি?
মানুষ যখন তার অন্তরের ঐশ্বর্য্ সমপর্কে অবগত হয়-তখন একদিকে সে দেহকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে, দেহের জৈবিক ক্ষুধাকে বশে আনতে শেখে, অন্যদিকে তার দেহের মধ্যেই অনেকগুলো অদৃশ্য বন্দরে বাতি জ্বলে ওঠে। দেহের এই বন্দর গুলোকেই তরিকতের ভাষায় লতিফা বলে।(কপি)
লতিফা কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ সালামাবাদ ছিলছিলায় মোট ১১ টি লতিফা ধরা হয়ঃ ক্কালব বাম স্তনের দুই আঙ্গুল নীচে হলদে রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। রুহ ডান স্তনের দুই আঙ্গুল নীচে লাল রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। ছির বুকের কড়ায় দুই দুধের মাঝখানে সাদা রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। খফি সেজদার জায়গায় কপালের মাঝখানে কালো রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। আখফা মাথার তালুতে সবুজ রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। নফস নাভি মূলে রংহীন বিশুদ্ধ হওয়ার পর উজ্জ্বল তারকার মতো নুরের গোস্তের টুকরা। আব সর্ব শরীররে পানির মতো জলীয় অংশ।আতশ সর্ব শরীরে তাপের/আগুনের অংশ। খাক সারা দেহে মাটির অংশ।বাদ বাতাসের অংশ।খালা সমস্ত শরীরের শূন্য জায়গা।
লতিফা পাকসাফ হলে কি কি সৎ গুণ আসে?
উত্তরঃ
* কাল ব লতিফা পাক সাফ হলে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তি খুলে যায়। এ লতিফায়
হাজ্রত আদম আঃ এর কদম মুবারক থেকে তাউবাহ ফায়েজ অর্জিত হবে। তাউবাহ ফায়েজ অর্জিত হলে সকল গুনাহ মাফ হবে, গুপ্ত গুনাহ গুপ্ত ভাবেই মাফ হবে। এর থেকে সুন্দর পাবার আর কি আছে।
* রুহ লতিফা পরিছন্ন হলে খুলুছিয়াত অর্জিত হবে। খুলুছিয়াত ছাড়া সকল ইবাদত ই তো মাটি। ইব্রাহিম আঃ ও নুহ আঃ ুণ অর্জিত হবে। তুমি খালেছ ভাবে আল্লাহ পথে অগ্রসর হবে । কোন বাধা তাকে ফেরাতে পারবে না।
* ছির লতিফা জিকিরে পাক সাফ করলে আসবে জহদের ফায়েজ। দুনিয়ার খাহেসাত উঠে িয়ে সকল নিষিদ্ধ বস্তু থেকে চিরতরে পরহেজ। জাহেদ বান্দাহ আল্লহ র মুহব্বতে ফানা হয়ে সংসারে থেকেও সন্সারহীন ক জবর আধ্যাত্মিকখেলা চলে!
* খফি লতিফা পাক্সাফ হলে আসে অরার ফায়েজ। সে হয় আলাদা দরোজার পহেজগার। মাক্রুহ মুবাহ এমন কি হালাল জিনিসে সন্দেহ থাক্লেও তা সে পরিহার করে।
* আখফা লতিফাপাক সাফ হলে আসে শোকরের ফায়েজ।আল্লাহ শাকের বান্দাহ
বান্দাহ হওয়া ক বিশাল অরজন। সকল নিয়ামত ও এহসানেরজন্য বিনয়াবনত হওয়া ুজুর পাক সঃ র এক বিশেষ গুন যা বান্দার অর্জন হবে।
* নফস লতিফা পাক পবিত্র হলে আসবে তাওয়াককুলের ফায়েজ। আম্মারা হালে নফস চরম বদমাশ থাকে। জিকির করতে করতে তা লাওয়ামা হয়ে যায়। এ অবস্থায়ও সে মাঝে মাঝে কবিরা গুনাহ করে ফেলে নিজেকে ধিক্কার দেয়। এটি আল্লাহ র কাছে পছন্দনীয় তাই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। নফসের চরম সংশোধন ে বলে মুত্মাআইন্না হাল। এটাই প্রশান্ত আত্তা।
*আব লতিফা পাক সাফ হলে কানায়াতের গুন। কানায়াত মানে অল্পে তুষ্ট হওয়া। আল্লাহ যা দিয়েছে তা নিয়ে তুষ্ট থাকা।
* আতশ লতিফা ঠিক বা পরিশকার বা পাক পবিত্র করলে আসবে তাছলিমের গুণ।
সকল মুছিবত সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেওয়া। রিয়া, অহংকার, ধনের গৌরব, ফখর, বংশ গৌরব এ সবই উঠে যাবে। আত্মসমর্পণের শক্তি আসবে।
* খাক লতিফায় আসে রিজার গুণ। রিজা মানে রাজী থাকা। কোন অবস্থাতে না রাজি নেই যেনও মাটির মানুষ।
* খলা লতিফায় পরিছন্নতা আসলে তাওয়াজ্জুর গুন আসবে। এ গুণ আপনার মধ্যে এনে দিবে নম্রতা, ভদ্রতা, আর শালীনতা। আধুনিক যুগে এ গুন টার খুব প্রয়োজন।
কাল্বকে দেহের রাজা বলে কেনও?
মন/হ্রিদয়/ক্বাল্ব ঃ
"বস্তুত চক্ষুতো অন্ধ হয় না কিন্তু ঐ ক্বলব অন্ধ হয় যে ক্বলব হলো বুকের মধ্যে।" (সুরা হজ্ব ৪৬)
"নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের শরীর বা আকৃতির দিকে তাকান না, বরং তিনি তোমাদের ক্বলবের (মন বা অন্তর) দিকেই তাকান। (মুস্লিম শরীফ)
""ক্বলব হলো সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গেঁর বাদশা।" (মেরকাত শরীফ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৬২)
‘‘তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ পড়ে গেছে। ফলে তারা বুঝে না।" (সুরা তওবা, আয়াত-৮৭)
"আমি তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ মেরে দিয়েছি। ফলে তারা শুনতে পায় না।" (সুরা আ'রাফ-১০০)
সেদিন (কিয়ামতের দিন) কোন অর্থ সম্পদ এবং সন্তান সন্ততি কোন কাজে আসবে না; সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সুস্হ বা পরিচ্ছন্ন ক্বলব নিয়ে আল্লাহর কাছে আসব। (সুরা শু'আরা ৮৮-৮৯)
যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার ক্বলবে(অন্তর বা মন) সৎপথ প্রদর্শন করেন। (সুরা-আত তাগাবুন-১১)
তাদের ক্বলবে(অন্তর বা মন) আল্লাহ ঈমানকে নির্ধারিত দিয়েছেন। (সুরা মুজাদালাহ-২২) উত্তরঃক্বলব শব্দের অর্থ অন্তর বা মন। এটি একটি মাংশের টুকরা। । পবিত্র কোরআনে ক্বলবের অবস্থান সম্পর্কে এরশাদ হচ্ছে: "বস্তুত চক্ষুতো অন্ধ হয় না কিন্তু ঐ ক্বলব অন্ধ হয় যে ক্বলব হলো বুকের মধ্যে।" (সুরা হজ্ব ৪৬) রাসুল (সাঃ) ফরমান: "নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের শরীর বা আকৃতির দিকে তাকান না, বরং তিনি তোমাদের ক্বলবের (মন বা অন্তর) দিকেই তাকান।" অতপর রাসুল (সাঃ) ক্বলবকে দেখানোর জন্য স্বীয় আঙ্গুল দ্বারা নিজের বুকের দিকে ইশারা করলেন। (মুসলিম শরীফ) ক্বলব সম্পর্কে রাসুল পাক (সাঃ) আরো বলেন: "ক্বলব হলো সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গেঁর বাদশা।" (মেরকাত শরীফ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৬২) অর্থাৎ একটি দেশের বাদশাহ ভাল হলে দেশের প্রজারাও যেমন ভাল হতে বাধ্য হয়, তদপ্রু একটি মানুষের ক্বলব বা অন্তর ভাল হলে নিজের কাজ কমর্ও ভাল হয়ে যায়।
অপর দিকে একটি মানুষের ক্বলব খারাপ হলে তার কর্মকান্ডও খারাপ হয়ে যায়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছ: ‘‘তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ পড়ে গেছে। ফলে তারা বুঝে না।" (সুরা তওবা, আয়াত-৮৭) পবিত্র কোরআনে অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে: "আমি তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ মেরে দিয়েছি। ফলে তারা শুনতে পায় না।" (সুরা আ'রাফ-১০০)। সেদিন (কিয়ামতের দিন) কোন অর্থ সম্পদ এবং সন্তান সন্ততি কোন কাজে আসবে না; সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সুস্হ বা পরিচ্ছন্ন ক্বলব নিয়ে আল্লাহর কাছে আসব। (সুরা শু'আরা ৮৮-৮৯) যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার ক্বলবে(অন্তর বা মন) সৎপথ প্রদর্শন করেন। (সুরা-আত তাগাবুন-১১) তাদের ক্বলবে(অন্তর বা মন) আল্লাহ ঈমানকে নির্ধারিত দিয়েছেন। (সুরা মুজাদালাহ-২২)
আল্লাহ তায়ালার আদেশ নিষেধ না মেনে চললে এবং অ-ইসলামিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে একবারমানুষের মন অসুস্হ ও কলুষিত হলে তখন তার আল্লাহর আদেশ নিষেধের ব্যাপারে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তখন সে তার নফসের খায়েস বা মনের আকাংখা পূরনের জন্যই সব কাজ করে থাকে । মুরশিদ ই হলেন সুফি সাধকের পথ প্রদর্শক। তিনি পীর বা জ্ঞানবৃদ্ধ। ইসলামী আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে পীর হলেন বাস্তব বা বাহ্যিক এবং আত্মিক বা অভ্যান্তরীণ জ্ঞান ও অনুভূতির শিক্ষক। সুতরাং মুরশিদ বা পীরের অনুসরণের মাধ্যমেই সেই পরম প্রকাশিত সুন্দর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্কে লাভ করা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন- ইয়া আইয়্যুহাল্লাজীনা আমানু আম্ব্রি উল্লাহা অআতী উর রাসূলা আউলিল আম্ব্রিª মিনকুম (৪ঃ৫৯)। অর্থ ঃ তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ্ র এবং আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাদের যারা তোমাদের মধ্যে প্রাজ্ঞ নেতা ।
পবিত্র হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে "জেনে রেখ, মানুষের দেহের মধ্যে এক খন্ড মাংশ পিন্ড আছে, যখন তাহা সংশোধিত হয়, তখন সমগ্র দেহ সংশোধিত হয়ে যায়। আর যখন তা দুষিত হয় তখনসমগ্র দেহটাই ত দুষিত হয়ে যায়। মনে রেখ ওটাই ক্বলব"(বোখারী ও মুসলিম শরীফ) তাই সেই পরম প্রকাশিত সুন্দর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র দিদার লাভ করতে হলে মুরশীদের নিকট আনুগত্তের বিকল্প নেই বললেই চলে। পরিশেষে বলতে চাই দুনিয়ার লোভ ত্যাগ করে ওলী-আল্লাহ গনের সাহচর্যে থেকে নিজের চরিত্র ঠিক করে রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর নীতি অনুযায়ী চললে দুনিয়াতে শান্তি আখেরাতেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।কারন ওলী-আল্লাহ গনের সান্নিধ্য ছাড়া চরিত্র ঠিক করা সম্ভব না কেও কখনো পারে নাই পারবেও না সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আমাদের ক্বলব বা মন সুস্থ হয়ে যায়। আল্লাহ পাক তখন ইচ্ছা করলে এই ক্বলবের মধ্যেই এক জ্ঞান দান করেন। এই জ্ঞান কোন বই পত্র পড়ে বা শুনে অর্জন করা সম্ভব নয় । এই জন্য এই জ্ঞানকে ক্বলবী জ্ঞান বা আত্বিক জ্ঞান বলা হয় ।।


যে সব সুত্র থেকে সহায়তা নিয়েছিঃ
১। ছিরাজুছ ছালিকিন,
২। ছুন্নি পিডিয়া,
৩। এক অংশ হাস্কার শরিফুদ্দিন,
৪। গাউছিয়া হোসাইনীয়া রেজভীয়া সুন্নীয়া জামিআ' মাদ্রাসা, সুনামগঞ্জ।
৫। তরীকায়ে আহমদিয়া, আলহাজ সুফি আব্দুর রাজ্জাক প্রণীত।

Monday, April 2, 2018
Topic(s) of this poem: philosophy
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Rhymer Rhymer

Rhymer Rhymer

DHAKA Tangail, BANGLADESH
Close
Error Success