স্কুল মাঠে পৌঁছে দেখি, কয়েকজন অল্পবয়সী ছেলে, বল নিয়ে খেলতে নেমেছে। সাইকেল দুটো মাঠের বাইরে শুইয়ে দিয়ে, মাঠের ধারে বসে পড়লাম আমরা। বসে বসে ওদের খেলা দেখছি, এমন সময় ওদের একজন আমার দিকে এগিয়ে এলো। তারপর আমার উদ্দেশে বললো-
'তোমাকে চিনি আমরা। তুমি তো অমলদা।'
ছেলেটির উৎসাহ দেখে, হাসলাম আমি। ওকে জিজ্ঞেস করলাম-
তোমাদের সাথে কি খেলতে পারি?
গালভরা হাসি হাসলো ছেলেটি। তারপর বললো-
'নিশ্চয়। চলে এসো।'
কাকু আমার দিকে চেয়ে হাসলেন। কিন্তু কিছু বললেন না। জুতো আর জামা খুলে, খালি পায়ে মাঠে নামলাম আমি।
আমি নামতেই, কাকুও উশখুশ করতে শুরু করলেন। তা দেখে কাকুকে আমি বললাম-
আপনিও নেমে পড়ুন, কাকু।
কাকুও জুতো জামা খুলে, মাঠে নেমে পড়লেন।
এই পৃথিবীর সবকিছুই অন্য কিছুকে আবিষ্ট করতে পারে। ঠিক ম্যাগনেটের মতো। গোলাপের স্পর্শে যে থাকে, সে গোলাপের সুগন্ধযুক্ত হয়ে উঠে। মহানদের স্পর্শে যে থাকে, সে মহান হয়ে উঠে। শিশুদের স্পর্শে যে থাকে, সে শিশু সুলভ সরল হয়ে উঠে। কিশোরদের স্পর্শে যে থাকে, সে কিশোরদের মতো সদা উচ্ছ্বল হয়ে উঠে। আবার দুর্গন্ধের স্পর্শে যে থাকে, সে দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে উঠে। অবসাদগ্রস্তের সাথে যে থাকে, সে অবসাদগ্রস্ত হয়ে উঠে. এজন্যই, কোন জিনিসের স্পর্শে মানুষ থাকবে, সে ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
কিশোর বয়সী ছেলেদের খেলা দেখতে দেখতে, কাকুর মধ্যেও কিশোর হওয়ার বাসনা জাগলো। কাকুও তাই মাঠে নেমে পড়লেন।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem