ওয়াছিলা র প্রমাণ / Wasila As Per Holy Aiyats Poem by Rhymer Rhymer

ওয়াছিলা র প্রমাণ / Wasila As Per Holy Aiyats

** ওয়াছিলার আয়াতঃ**
১। সূরা মায়েদা: আয়াত-৩৪(ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানুত্তাকুল্লাহা ওয়াবতাগু ইলায়হিল ওয়াসিলাতা ওয়াজাহিদু ফি সাবিলিহি লা আল্লাকুম তুফলিহুন) ।

অর্থ্: হে বিশ্বাসীগণ আল্লাহকে ভয় কর, যারা আল্লাহকে পাইতে চাও একটি মাধ্যম(ওসিলা) ধরে তালাশ কর এবং আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করিতে থাক, ইহাতে পূর্ণ্ সফল হইবে।

২। সূরা নিছা: আয়াত-৫৯ (ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানু আতিউল্লাহা ওয়া আতিউর রসূলা ওয়া উলিল আমরি মিন কুম) ।

অর্থ্: হে বিশ্বাসীগণ তোমরা অনুগত্যকর আল্লাহর এবং রাসূলের আর তোমাদের মধ্যে যাহারা কামেল (উপরস্ত)তাহাদেরও আনগত্য কর ।

৩। সূরা ফাতহ: আয়াত-১০ (ইন্নাল্লাযিনা ইয়্যুবায়িউনাকা ইন্নামা ইয়্যুবায়িউনাল্ল াহ, ইয়াদুল্লাহি ফাওক্ব আয়দি হিম) ।

অর্থ্: নিশ্চয় যাহারা তোমার বাইয়াত গ্রহণ করিয়াছে, তাহারা আল্লাহরই বাইয়াত গ্রহণ করিয়াছে আল্লাহর হাত তাহাদের হস্তের উপর।

৪। সূরা কাহাফ: আয়াত-১৭ (ওয়া মাইয়্যুদলিল ফালান তাজিদালাহু ওয়ালিইয়াম মুর্শিদা) ।

অর্থ্: আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথ প্রাপ্ত হয় এবং তিনি (আল্লাহ) যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তার জন্য কোন পথ পথ প্রদর্শনকারী(অলি-মুর্শিদ) পাবেনা।

৫। সূরা ইউনূস: আয়াত-৬২-৬৩ (আলা ইন্না আউলিয়া-আল্লাহি লা খাওফুর আলায়হিম ওয়ালাহুম ইয়াহযানুন। আল্লাযিনা আমানু ওয়া কানু ইয়াত্বাকূন। লাহুমুলবুশর ফিল হা ইয়াতিদদুনিয়া ওয়াফিল আখির।লাতাবদিলা লিকালিমাতিল্লাহ খালিকা হুওয়াল ফাওযুল আজিম ।

অর্থ্: সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর অলিগণের কোন ভয় নাই, এবং তারা কোন বিষয়ে চিন্তিতও নহে।তাঁদের জন্য আছে সু সংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্ত্ন হয় না ।উহাই মহা সাফল্য । স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম)নেতা সহ আহ্বান করব।।

৬। বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭১ । মুমিন পুরুষ ও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেক কতেকের বন্ধু ।

৭। সুরা: তাওবাহ, আয়াত: ৭১ । তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে ।

৮। সুরা: আল-ইম্রান, আয়াত: ৭১ । অনুস্মরণ কর তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত ।

৯। সুরা: ইমায়িন, আয়াত: ২১ । যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছে তাঁর পথ অনুস্মরণ কর।

১০। সুরা: লোকমান, আয়াত: ১৫। জিকির সম্বন্ধে তোমাদের জানা না থাকলে জিনি জানেন তাঁর নিকট হতে জেনে নাও ।

১১। সুরা: আম্বিয়া, আয়াত: ৭ মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (ছাদেকিন) সত্যবাদী গণের সঙ্গী হয়ে যাও।

১২। সুরা: তাওবাহ, আয়াতঃ ১১৯ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকের রহমত (মুহসিনিন)আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী ।

সুরা বাকারা আয়াত ১৩২: - "ফালাতামতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মোসলেমুন।" অর্থ- তোমরা মোসলমান না হয়ে কবরে আসিও না।

** তোমরা মোসলমান না হয়ে কবরে আসিও না**
"ফালাতামতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মোসলেমুন।"
(বাকারা আয়াত ১৩২)

এখন প্রশ্ন আমরা তো মোসলমান আছি।
আল্লাহ পাক আবার মোসলমান হওয়ার কথা বলছেন কেন?
আল্লাহ পাক পুনরায় মোসলমান কি জন্য হতে বলেছেন তা দেখুন।
যেমন আমার বাবা মোসলমান, আমি ও মোসলমান। আমার বাবা যদি হিন্দু হতেন তাহলে আমিও হিন্দু হতাম। আমার বাবা যদি বৌদ্ধ হতেন তাহলে আমিও বৌদ্ধ হতাম। আমার বাবা যদি খ্রীষ্টান হতেন তাহলে আমিও খ্রীষ্টান হতাম।
আমরা বাবার সাইন বোর্ড কাধে নিয়ে মোসলমান দাবী করছি। যে বা যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান থেকে মোসলমান বলে দাবী করতে পারে যে তারা মোসলমান। আমরা মোসলমান বলে দাবী করি বাবার সাইন বোর্ড কাধে নিয়ে। এজন্য আল্লাহ পাক বলেছেন: -"তোমরা মোসলমান না হয়ে কবরে আসিও না।" তাই আমাদেরকে নতুন করে মোসলমান হতে হবে।

নতুন করে মোসলমান হতে হলে আমাদের কি করতে হবে?
আমাদেরকে কামেল মুর্শিদের হাতে বায়াত গ্রহণ করতে হবে।
বায়াত গ্রহণ করলেই আমরা তখন মোসলমান বলে দাবী করতে পারবো। কারণ মুর্শিদের হাত রাসুলের হাত।
রাসুলের হাত আল্লাহর হাত।
ফানাফিস শেখ, ফানাফির রাসুল।
ফানাফির রাসুল ফানা ফিল্লাহ।
অর্থাৎ মুর্শিদের সাথে মিশলে রাসুলের সাথে মেশা হল।
রাসুলের সাথে মেশা হলে আল্লাহ পাকের সাথে মেশা হলো।
কারণ মানুষ তিনবার মৃ্ত্যু বরণ করে। প্রথম মৃ্ত্যূ হল যখন সে ঘুম আসে। দ্বিতীয় মৃ্ত্যূ হল যখন সে বায়াত হয়। তৃতীয় এবং শেষ মৃ্ত্যূ হল যখন তার জান কবয হয়। যখন কোন লোক পীরের নিকট বায়াত হয় তখন সে নতুন মোসলমান হয়।

হাদীসে আছে: "মউতু কাবলা আনতা মউতু "
অর্থ- মরার আগে মরিয়ে যাও।
এজন্যই আল্লাহ পাক বলেছেন- মোসলমান না হয়ে কবরে আসিও না। পীরের নিকট বায়াত গ্রহণ করলেই সে নতুন মোসলমান হয়ে গেল।
তখন কবরে গেলে কোন ভয় থাকবে না। কারণ আল্লাহ পাকের হুকুম পালন করা ফরয।

বায়াত অর্থ কি? বায়াত অর্থ আত্ন বিক্রয় করা বা অংগীকার করা।
অর্থাৎ নিজেকে সমর্পণ করা। এখন কথা হলো কেন বায়াত হতে হবে?
তার কারণ এই যে এলেম দুই প্রকার। যথা হাদীছে আছে: - "মিনহা জাহেরুন ওয়া মিনহা বাতেনুন"।
এছাড়া হাদীছ শরীফে আরো আছে -
"আল এলমো এলমুল লেছানে ওয়া এলমো কালব"।
জাহের এলম তো বাজারে কিনতে পাওয়া যায় কিন্ত্তু বাতেন এলম তো আর বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না।
এটা পেতে হলে যার নিকট বাতেনী এলম আছে তার নিকট বায়াত হতে হবে।
যা আহলে বাইয়াতের নিকট হতে সিনায় সিনায় পীরের নিকট হতে চলে আসছে।

যেমন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহুআলাহে ওয়া সাল্লাম)কে জিব্রাইল (আ :)তিনবার সিনায় সিনায় চাপ দেন।
এই বাতেনী বিদ্যা হাছেল করার জন্যই বায়াতের প্রয়োজন।
এখনও যদি বলেন বায়াতের প্রয়োজন নেই।
তাহলে অামি বলবো যে, বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র :)ছাহেব মার্তৃ গর্ভে থেকে ১৮ পারা কোআন শরীফে হাফেজ হয়ে দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন।
জাহেরী এলেমও শিক্ষা করেছেন।
তিনি কেন হযরত শেখ আবু ছাইদ মাখজুমী (রহ :)নিকট বায়াত হয়েছেন?
আপনি কি তারথেকেও বড় মাপের? ? ?



(collected))

Thursday, May 3, 2018
Topic(s) of this poem: thinking
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Rhymer Rhymer

Rhymer Rhymer

DHAKA Tangail, BANGLADESH
Close
Error Success