বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে
এইচ টু ও মিশ্রিত সোডিয়াম ক্লোরা ইড এর দ্রবণ ঝরতে থাকে
কষ্ট হয় শুধু কষ্ট হয়
চাঁদনী রাতের কালজানি দুখখের স্রোত বয়ে আনে
...
এখন আমি ছাতা মাথায় দিয়ে হাঁটি
গ্রীষ্মের রোদ
কালো পিচের রাস্তায় মরিচিকা
কোনো আঁচল নেই
...
মা, ভোর কি?
লাশের পর লাশ
লাল রক্তের হোলি
নিষ্ঠুর ক্রুর হাসিতে ফেটে পড়া
...
আমি এখন ঘুমোবো
পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসা
বিরিয়ানির সুগন্ধে আমার জিভ ভিজবে না
উদাস রোদের অন্ধ হাতছানি উপেক্ষা করব
...
উত্তপ্ত সূর্যরশ্মি যখন ভুমিষ্ঠ শিশুর
চোখ খুলে দেয়
তখন সে প্রথমবার 'শ্লোগান 'দেয়
ঘাতকের বিষাক্ত ছুরি যখন মায়ের রক্তে লাল হয়
...
কিছু ভালো লাগে না বারান্দায় পড়ে থাকে শীতের রোদ/ জানালার কাচে লেগে থাকে বাতাসের কুচি/ ধুলোমাখা মন দরজা খোলেনা /আজ কিছু ভালো লাগে না / সে কি ভুলে গেছে /আবছা অন্ধাকারে কার ছায়া পড়ে/ কার ভাবনা ভাবে মন/ স্নাউতন্ত্রে বেজে ওঠে কার রিংটন /বিছানার চাদর ঝুলে গেছে/ কারো স্পর্শের কাতর অপেক্ষায়/ আলনায় রাখা কাপড় অগোছালো/ ঘুমভাঙ্গা কিশোরীর চুলের মত মন এলোমেলো / বিকেলের ঘুড়ির সুতো ছিড়ে যায় /ঝুপ করে নেমে আসে অন্ধকার/ তবু জোনাকির আলো জ্বলে না/ আজ কিছু ভালো লাগে না.
...
হুইসেলের পর স্টেশন ছেড়ে যায় ট্রেন / প্লাটফর্মে দাড়ানো কোনো স্মৃতি / ঝাপসা হয়ে আসে / জানলা দিয়ে হাত নাড়া..../ প্লাটফর্মটা হারিয়ে যাবার আগে / একটু দৌড়ে আসা / দুটি পা.... দুটি চোখ... একটি হৃদয়... মমতাময় / পাখিরা বাসায় ফেরে / জানি, একবার বাড়ি থেকে বেরোলে / আর ফেরা যায় না
...
তারপরের গল্পে আধখানা চাঁদ,
একটি পেঁচার সহাবস্থান
দীর্ঘরাত্রি অনিদ্রা চোখে
হেমলক পান।
...
আমি ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি
আমি ক্রমশ দ্বীপ হয়ে যাচ্ছি
চারপাশে অথৈ জল
চারপাশে চারটে দেয়াল
...
চোখের ভিতর গভীর পুকুর
দুপুর বেলায় সাঁতার কাটি
পুকুরঘাটের পিছল সিঁড়ি
পাড় থেকে থেকে তাই দুরন্ত ঝাঁপ
...
আজকাল সবাই মাথা নিচু করে হাঁটে
অথচ শব্দের ঘ্রাণ ওড়াওড়ি করে
রৌদ্রে রৌদ্রে।
...
Maya-Roog
বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে
এইচ টু ও মিশ্রিত সোডিয়াম ক্লোরা ইড এর দ্রবণ ঝরতে থাকে
কষ্ট হয় শুধু কষ্ট হয়
চাঁদনী রাতের কালজানি দুখখের স্রোত বয়ে আনে
হৃদয়ের উপর সেই স্রোত আছড়ে পড়ে,
আমার হৃদয় ছিড়ে যায়
আমার হৃদয় ছিড়ে যায়।
রক্তের লিম্ফো সাইট বার্থ হয়
দুরারোগ্য মায়া রোগ আকড়ে ধরে.