ছিলাম ভালো একটি ঘরে মায়ের গর্ভে, ছিল না দায়, ছিল না দায়িত্ব ছিল না আলো । নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে কাটালাম কিছুটাকাল
একদিন মাকে দেখার তাড়ণায় আলো দেখার বাসনায়, এলাম এক ঘরে, থাকি মায়ের সাথে, মায়ের কোলটাই আমার ঘর আমার ভূবন। কিছুদিন পর আমার ঘর বদল হ'লো বড় হয়েছি এঘরে থেকে আমাকে পড়াশুনা করতে হবে এটা আমার পড়ার ঘর- study.
সময়ের সাথে সাথে যৌবন কড়া নাড়ল বলা হ'ল ‘করতে হবে ঘর বদল' যেতে হবে শশুরবাড়ি, ' এলাম শশুরবাড়ি
বলা হ'লো এটাই নাকি আমার আসল ঘর - ভাবলাম -যাক বাবা এখন আর এঘর বদল করতে হবে না কোনোদিন।কিন্তু অবাক কান্ড-দেশের তাবড় বড়বড় নেতাদের এক কলমের খোঁচায় দেশটা নাকি আমার পরদেশ হয়ে গেছে আর আমি হয়েছি বিদেশী। আবার ঘর বদল করে দেশ বদল করে এই বাড়িতে এলাম স্বদেশী হয়ে। নুতনদেশে স্বদেশী হয়ে ঘর বাঁধলাম।
৬৭ বছসর এঘরে বসত হ'লো আমার । ঘরোয়া মেয়ে আমি ঘরেই কাটালাম জীবনটা । এ ঘরটা আমার প্রানের আরাম আত্মার শান্তি। এঘরেই ছিল আমার যত আনন্দ, ছিল দুঃখ, ছিল মান অভিমান ছিল বিরহ মিলন। এঘরেই আমার নিজস্বতা। সব্বাইকে আড়াল করে আমার কবিতা লেখা।
সব কিছুর স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকা এখন আমার, এঘরটাই এখন আমার পৃথিবী। এ ঘরে না শুলে আমার ঘুমই হতো না। না বাপের বাড়িতেও থাকতে চাইতাম না-শেষের দিকে।
এই ৯২-এর চৌকাঠে দাঁড়িয়ে আমার জীবনের সবচাইতে উজ্জ্বল রত্ন যাকে ভেবেছি সে নোটিস দিল ‘এ ঘর তোমার ছাড়তে হবে মা, তোমার ঘর বদল হবে।‘তোমাকে আমি আর রাখতে পারবো না' । ঘর তো বদলে যায় কিন্তু -
এক জীবনে আর কতবার ঘর বদল হবে আমার?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem