ইদানিং আমার না ভীষণ লজ্জা করে
যখন আমি আমার দেশের নেতা-মন্ত্রীদের বত্তৃতা শুনতে যাই
তখন আমার লজ্জা করে,
মনে হয় কেন এতো মিথ্যুকদের মাঝে এলাম
সম্বোধন থেকে নমস্কার সবই তো মিথ্যে কথা।।
যখন আমি নদীর পাড়ে নদীর হাওয়া খেতে যাই
তখন আমার লজ্জা করে
নদীর পাড়ে ঠান্ডায় উদোম গায়ে খালি পায়ে
শিশুগুলো আমার কাছে হাত পেতে পয়সা চায় ।।
নারী দিবসে যখন নারীদের সম্বন্ধে লম্বা-চওড়া বক্তৃতা দেই
তখন আমার লজ্জা করে
কারণ যখন দেখি -যে মেয়েটি পুরোপুরি নারী হয়ে উঠলোই না
তার আগেই ধর্ষিতা হয়ে জীবন দিল। নাম হলো দামিনী।।
তখন আমার লজ্জা করে
যখন দেখি একটি তরতাজা যুবক
এই সমাজটাকে পরিবর্তন করার স্বপ্ন দেখে
আর প্রশাসকের হাতেই শহিদ হয়!
আমি অরণ্যের সৌন্দ্যোর্য উপভোগ করতে অরণ্যে যাই
তখন আমার লজ্জা করে
যখন দেখি বড় বড় গাছ কেটে গাছের গুড়িগুলো ফেলে রেখেছে।।
আমার ভীষণ লজ্জা করে
অফিসে যখন ফলস্ ভাউচারগুলো আমাকে দিয়ে বলে,
‘টাকাগুলো দিয়ে দেবেন দিদি'।।
তখন আমার লজ্জা করে
যখন দেখি অফিসের বস এ্যাটাচ্ টয়লেটে যায়
আর G.R নিতে আসা মহিলারা সর্ব সমক্ষে বাইরের ভাঙ্গা টয়লেটে
কিংবা বাড়িটার আড়ালে যায়।।
উপনিষদে আছে ‘শব্দ ব্রহ্ম', সঠিক শব্দ উচ্চারণে ও শ্রবণে
অমৃত লাভ হয়।
হতোহস্মি! যখন দেখি সমাজের এক নম্বর নেতা-মন্ত্রীরা
অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করে আর সাধারণে তা শ্রবণ করে
তখন আমার খুব লজ্জা করে।।
এতো সব দেখেও, এতো সব মানবাধিকার হরণ করেও
তোমাদের মতো নেতা-মন্ত্রীদের কেন লজ্জা হয় না
সেটা ভেবে আমার আরো বেশি লজ্জা করে।।
লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ
তবে এ ভূষণ আমার গর্বের নয় কলঙ্কের
কারণ এ দেশ আমার।।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem