হৃদয়ের পথে খুঁজো : : মাধবী বন্দ্যোপাধ্যায়
সীমানা লঙ্ঘনের দায় নিয়ে ফেলেছে সে
ঘোরতর অন্যায় করা হয়েছে- এ রায় ঘরের সে সকল সদস্যদের
যারা কিনা ঘরের গন্ডির বাইরের জগত সম্বন্ধে অজ্ঞই বলা যেতে পারে।
অবশ্য এ কাজের একটাই উদ্দেশ্য ছিল
একগুচ্ছ মহিলা শাসক কূলের থেকে শিশুটিকে মুক্ত করা
এবং ওর টুপীর রং-এর একটি সুস্বাদু আইস ক্যান্ডি খাওয়ানো।
এবং এ কাজে সে সফলও হয়েছে।
অবশ্য সফল হয়েছে কারণ শিশুটির পিতা কাজের কারণে আজ বাইরে গেছে।
হলেও বা সে একটি শিশুমাত্র কিন্তু সে তো পুরুষও বটে
পুরুষদের তো অনেক রিস্ক নিতে হয় জীবনে।
আর সে কিনা পরিচালিত হচ্ছে একগুচ্ছ মহিলাদ্বারা!
কাজটি যখন করাই হয়ে গেছে -শিশুটি তো মহাখুশী
ওর নির্মল হাসিতে প্রান ভরে যায়
কিন্তু ওর এ হাসির মর্ম ঐ শাসককূল বুঝবে তবে তো।
এখন হাড়িকাঠে গলাটি যখন দেওয়াই হয়েছে, কোপ পড়ছে মুহুর্মুহু।
‘জামাইবাবু এ আপনি কি করলেন? ' বুদ্ধিমতী শ্যালিকা।
‘এ তুমি কি করলে বাবা! ' শাশুরী মাতা ঠাকুরণ,
সবচাইতে কঠিন ঘরের দিদিমনিটি
এরফলে প্রিয় বোনেদের কাছে তার নোবেল মাথাটি নাকি একেবারে হেট হয়ে গেছে
‘তোমাকে নিয়ে তো আর পারা যাচ্ছে না' কেঁদে ফেলে আর কি
‘এ পাগলামীর কোনো মানে হয়? '
কিন্তু মহিলা বিচারকবৃন্দারা কি নির্মল নিষ্পাপ হাসিটির
মূল্য দিতে জানবে কোনোদিন?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem