প্রশ্ন: বলা হয়ে থাকে যে, শবে বারাত কোরান বা হাদীছের কোথাও নেই। কী বলবেন?
উত্তর: যদি শব্দদ্বয়ের দিক থেকে বলি তাহলে না থাকারি কথা।
কারণ এটি আরবী ও ফারসি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিভাষা যা দিয়ে আমাদের এশিয়াতে শাবানের পনের তারিখের রাতকে বুঝানো হয়।
যাকে আরবী ভাষাবাসীরা "লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান" বলে থাকে।
"শবে বারাত" এই পরিভাষাটি পবিত্র হাদীছের আলোকেই নির্ধারণ হয়েছে বলে মনে করি। যেমন হাদীছ শরিফে বর্ণিত হয়েছে: "এই রাতে আল্লাহ্ তায়ালার রহমতে মানুষ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাই" (ইমাম বাইহাকি, শোয়াবুল ইমান. হাদীছটি বর্ণনা করেছেন হযরত আয়েশা (রাঃ))
অর্থাত্ এইরাত হচ্ছে জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত আর শবে বরাত মানেও হচ্ছে মুক্তির রাত
এই ধরনের আরো অনেক ফারসি শব্দ আমরা নিত্যদিন ব্যবহার করি। যেমন: নামাজ, রোজা, খোদা ইত্যাদি। এগুলো কোরান-হাদীছে পাওয়া যাওয়ার কথা না। কারণ শব্দ গুলো ফার্সী। এই ধরনের প্রায় ৬০০০ শব্দ বাংলাতে আমরা ব্যবহার করি।
"শবে বারাত" কোরান-হাদীছের কোথাও নেই যারা বলে তাদের অধিকাংশই কোরান-হাদীছ এবং ক্লাসিক্যাল ইসলামিক সায়েন্সেসের ব্যপারে একেবারে অজ্ঞ। আর যারা এই কথাগুলো প্রচার করে সমাজে ফিতনার সৃষ্টি করছে তারা কতিপয় মুসলিম রাস্ট্র কতৃক নিয়োজিত। এই জন্য তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিভিন্ন সূযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। একটি মুসলিম দেশের সরকার গত ৬০/৭০ বছরে ৬৭ হাজার কৌটি টাকা খরচ করেছেন অন্যান্য মুসলিম দেশ গুলোতে। এই টাকা কোথায়, কাকে কী কারণে দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে না রিসার্চ সেন্টার। গঠনমূলক কোনকিছুই না। শুধু শিরক্-বেদাতের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য সেইলস্ ম্যন আর সেন্টার বানানো হয়েছে। আর এই ছোট ছোট বিষয়গুলো দিয়ে মুসলিম সমাজে, মসজিদে ফিতনার সৃস্টি করা হয়েছে।
তাই দেখবেন এই ধরনের কথা বলার লোকগুলো সবাই উগ্রবাদী না হলেও সমস্ত উগ্রপন্থী সন্ত্রাসিরা এই ধরনের আকিদারই লোক।
(সংগৃহীত))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem