.
মাঝে মাঝে
কৈশোরে,
দুপুরটা লম্বা লাগতো দুপুরের চেয়ে
সেদিন ছুটে চলা চৈত্রের দামাল বাতাস
আটকা পড়েছিল দূরের কোনো বিচ্ছিন্ন গাঁয়ে
জানলার ওপাশে শান্ত বন্দে আলো আধারির রেস্,
শুধু আমি একা নই,
দেখেছে জাবরকাটা অলস গরু,
ক্লান্ত মেঠো শালিক,
আর প্রায় দূর আকাশে মিলিয়ে যাওয়া ভ্রাম্যমান চিল
ছায়া পড়তো কখনো সবুজে
কখনো ধূসরে
পথভ্রষ্ট হাওয়ায় হটাৎ দুলে ওঠতো
তৃপ্ত সবুজ ভরা মাঠ,
তাল পাতায় বাবুইয়ের চতুর্থ মাত্রার স্পাইরাল ঘর
অবলীলায় তন্দ্রাকে ছুঁয়ে যেত
রহস্যময় অচেতন তন্দ্রা স্বপ্ন
ধরণীর মায়াবী কোল ঘেঁষে
নেমে আসতো আয়তকার দীর্ঘ ছায়া,
যেখানে মহাবিশ্বের ঘড়ির কাটা থেমে থাকতো
প্রিয়তমার মহাজাগতিক চুম্বনের অপেক্ষায়
প্রান্তের পথ-
অনুসরণ করতে থাকতো
জ্যামিতিক দিগন্তকে
অন্ধকারে পড়ে থাকতো
একটা নির্লিপ্ত অপার্থিব তন্দ্রাচ্ছন্ন স্বপ্ন
যা নিশ্চিত- অনিশ্চিয়তার যাত্রায়
মাঝে মাঝে
স্বপ্নের চেয়ে দীর্ঘ মনে হয়
@মুশফিক উস সালেহীন
৯ই নভেম্বর, ২০১৭
চলনবিল, সিরাজগঞ্জ
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem