এবং, তাঁতিরা জানতে চাইলো, 'পোশাকের ব্যাপারে কিছু বলো আমাদের।'
আর জবাবে, বলতে লাগলো, সে:
পোশাক-পরিচ্ছদ তোমাদের অনেক সৌন্দর্যই আড়াল করে, যদিও তোমাদের অসুন্দরগুলোকে ঢাকতে পারে না।
যদিও সেগুলোর কাছে তোমাদের গোপনীয়তার সুরক্ষা চাও তোমরা, খেয়াল করলে দেখলেও দেখতে পারো, ওর ভেতরে রয়েছে ঘোড়া সামলানোর লাগাম আর ওসব প্রাণীরই বর্মভূষণ।
বরং এমনটাই ঘটুক যে, রোদ ও হাওয়াকে তোমরা বেশি বেশি স্পর্শ করো গায়ের খোলা চামড়া দিয়ে, আর জামাকাপড় দিয়ে যতটা পারা যায়, কম কম।
কেননা, জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাস বলতেই তো রোদ আর জীবনের সবচেয়ে দরকারী অঙ্গ যে বাহু দুটো, তারাই তো বাতাস!
তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে থাকে, ' উত্তরা-বাতাসই তো সেই, যে পরিধেয়গুলো বুনিয়েছে।'
অথচ তোমরা জানো কি? লজ্জাই ছিলো তার তাঁত, আর পেশীতন্তুর কমনীয়তা ছিলো সেই বয়নের আঁশ।
আর, যখন সারা হলো তার কাপড়-বোনা, হাসতে লাগলো সে, দূর অরণ্যের ভেতরে।
তোমরা বিস্মৃত হয়ো না যে, যে কারুর অস্বচ্ছ-দৃষ্টির সামনে ঢালের মত শক্ত একটা আবরণ তুলে দেবার জন্যই জন্ম নিয়েছে বিনয়।
আর যখন দৃষ্টির অস্বচ্ছতা দূর হয়, ভাবো তো, কী অর্থ থাকে বিনয়ের? বেড়ির মত একটা প্রতিবন্ধকতা আর মনের নোংরামী বৈ তো, তাকে, তখন আর কিছুই মনে হয় না!
আর এও ভুলে যেও না যে, তোমাদের খালি পাগুলোর স্পর্শ অনুভব ক'রে আনন্দিত হয় পৃথিবীর মাটি আর বাতাস সর্বদাই লালায়িত থাকে তোমাদের এলোকেশ নিয়ে খেলবে ব'লে।
* Bengalized by Rahman Henry
* Original:
Clothes Chapter X- Poem by Khalil Jibran
তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে থাকে, ' উত্তরা-বাতাসই তো সেই, যে পরিধেয়গুলো বুনিয়েছে।' অথচ তোমরা জানো কি? লজ্জাই ছিলো তার তাঁত, আর পেশীতন্তুর কমনীয়তা ছিলো সেই বয়নের আঁশ। আর, যখন সারা হলো তার কাপড়-বোনা, হাসতে লাগলো সে, দূর অরণ্যের ভেতরে। /// beautiful translation; thanks for translation into Bengali