এক.
অনেক দিন পর আবার এসেছি
সেই যমুনারি তীরে,
যেই তীরটি লালিত হয়েছে
আমার হৃদয় জুরে।
এটা কি সেই তীর!
যেথায় কেটেছে আমার ছেলেবেলা,
যেথায় পরম সোল্লাসে-
ঝাঁপাঝাঁপি করেছি সারাবেলা।
যেথায় হারিয়ে গেছে
আমার জীবনের ১৪টি পরম বছর,
আজ আবার এসেছি ফিরে
সেই ১৪টি পরম বছর পরে।
দুই.
এই তো সেদিন ঘাটে
দেখি আমার প্রদীপকে,
ঘাটে বসি করছে স্নান
অপলক চেয়ে আমারি দিকে!
তাহার সেই স্নান, চাহনী,
আর ছুটে চলার দৃশ্য
আজও ভেসে বেড়ায়,
মনে হয় এখনও ঐ তো
আমারি দিকে চেয়ে-
দাঁড়িয়ে আছে ঐ ডাঙ্গায়!
তিন.
এতগুলো বছর পর
তাহার সেই ছায়ামূর্তি,
আমার নেত্রে ভাসে,
থেকে থেকে কথা কয়,
দেয় উঁকি।
ঐ শুন,
তীরটির হাহাকার!
কি নিদারুণ ঝপাত শব্দে-
আমার বুকের ভিতর বেজে ওঠে
তাহার সেই করুণ চিৎকার।
চার.
‘বাঁচাও-বাঁচাও, আমারে কে যেন
নিয়ে যায় গহীন তলে! '
চেয়ে-চেয়ে দেখেছি শুধু
কোমল হাতটাও ডুবে যায় ঐ জলে!
এটা সেই তীর,
যেথায় আমি হারিয়েছি আমার জীবন-প্রদীপ,
যে প্রদীপ আজও আমার চোখের জলেই
করছে সদা মিটমিট।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem