১।"শয়তান আদম সন্তানের দিলের উপর হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকে।মানুষ যখন জিকির করে তখন সে পসচাদপদ হয়, আর যখন মানুষ গাফেল হয়ে পড়ে, সে তখন ওয়াছ্বাছা নিক্ষেপ করতে থাকে"।.
২।"নিশ্চয় শয়তান মানুষের শিরায় শিরায় বিচরণ করে" ।
৩।আদম সন্তানের জন্য শয়তান আর ফেরেস্তার স্পর্শ কার্যকর।শয়তান স্পর্শ করে বলে (অনুভুতি জাগায়)মন্দ কাজে লেগে যাও আর সত্য কে অবিশ্বাস করো; ফেরেস্তা স্পর্শ করে বলে ভালো কাজে লেগে যাও আর হক কে বিশ্বাস করো। শেষের অনুভূতিতে আলহামদুলিল্লাহ আর প্রথমটির অনুভুতি আসলে আয়ু'জুবিল্লাহি মানাশ শাইতোয়ানির র'য়াজিম পড়বে।
৪।কোন কোন লোকের নিকট শয়তান এসে বলে কে অমুক অমুক বস্তু পয়দা করেছে ইত্তাদি; অবশেষে বলে কে তোমার প্রভুকে পয়দা করেছে? অরূপ ভাব উদয় হলে আল্লাহ র কাছে আশ্রয় চাও আর তা থেকে দূরে সরে পড়।
৫।সকলের কাছেই জীনের একজন সঙ্গী আর ফেরেস্তার একজন সঙ্গী আছে। আমার কাছেও তা আছে; কিন্তু আল্লাহ তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করেছেন ফলে সে মুসলমান হয়ে গেছে; তাই আর সৎ কাজ ছাড়া কিছু আদেশ করে না।
৬।নিশ্চয় শয়তান মানুষের শিরায় শিরায় বিচরণ করে।
৭।প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্মের সাথে সাথে শয়তান তাকে স্পর্শ করে। তাই জনমের পর ই শিশুটি চিৎকার দিয়ে উথে।কেবল মাত্র হাজ্রত মারিয়াম আঃ আর হাজ্রত ঈসা আঃ এর বেতিক্রম ছিলেন।
৮।এক বেক্তি এসে বল্ল, ইয়া রাসুল আল্লাহ সঃ আমার দিলের মধ্যে এমন বস্তু/ওস্বয়াসা অনুভব করি যা মুখে উল্লেখ করার চেয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া অধিক ভালো।হুজুর সঃ বললেন শোকর আল্লাহ র তা কাজে পরিণত হয়নি।
৯।উস্মান রাঃ বলেন, হুজুর সঃ শয়তান আমার আর আমার নামাজ ও কোরআন পাঠের মধ্যে পর্দা হয়ে দাঁড়ায় তাতে নামাজের মধ্যে আমার সন্দেহ এসে যায়।হাজ্রত সঃ বললেন এই শয়তানের নাম খেনজেব।যখন এর অনুভব পাও তখন আল্লাহ র কাছে আস্রয় চাও আর বাম দিকে ৩ বার থু থু ফেলবে।
প্রতিয়মান হচ্ছে যে, শয়তান আছে আর তার প্রভাব মানুষের উপর পড়ছে। এর বিভিন্ন সমাধানও বলা আছে। এই সমাধান না মেনে নিজের খামখেয়ালে চলে নিজের নফস আর এক বড় শয়তান হয়ে দাঁড়ালে কে তোমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাবে? শয়তান থেকে বাঁচার সবচে উত্তম পথ হলও জিকির।আর জিকিরের ফায়েজ কামেল অলি ছাড়া কে দেবে? ফায়েজ হল নুরের ধারা যা কামেল অলি মুরিদের দিকে ছেড়ে দেয়। পীর তার তাওয়াজ্জু দ্বারা দিলের মধ্যে জীবনী শক্তি, আবেক ও স্পন্দন সৃষ্টি করে আল্লাহ র মহব্বত ও মারেফাত/ তত্ত্ব ও তথ্য অনুধাবনের শক্তি প্রবল খাহেস জাগায়! পীর মুরিদের অবস্থা অনুযায়ী জিকির, মোরাকাবা আর মোশাহাদা র ছবক দ্বারা বাতেন সংশোধন করে থাকেন। সহজ ও অল্প সময়ে আল্লাহ র নৈকট্য লাভ কামেল পীরের বায়াত ছাড়া একেবারেই অসম্ভব! রোগের চিকিৎসক ডাক্তার আর রুহানি / বাতেনি রোগের চিকিৎসক পীর (অবশ্যই তা শরিয়াত মানা হক পীর হতে হবে))যারা এসব মানে না বা বেঙ্গ করে তাদের বেপারেই বলা হয় তাদের পীর শয়তান কারন তারা শয়তান দারা কম বেশী চালিত হচ্ছে!
বইঃ দেখুন ছিরাজুছ ছালিকিন/পীর প্রফঃএমএখালেক/বি, বাড়িয়া, ছতুরা দরবার শরীফ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem