দৃশ্যটা উত্তরাঞ্চলের কার্যতঃ
সহস্র লি বরফে প্লাবিত,
দশ হাজার লি তুষারে আবৃত।
মহাপ্রাচীরের ভিতর আর বাইরে,
মনে হয় কেবলই তুন্দ্রা সর্বত্র।
হুয়াংহো নদীর উপর কিংবা নিচ
এ যেন জমাটবদ্ধ জলাধারারের পিচ।
রুপালি সাপের ন্যায় পর্বত যেন নাচছে,
গজদন্ত হাতির ন্যায় লাফিয়ে উচ্চে,
জেড সম্রাটের সাথে যেন উড়তে পাল্লা দিচ্ছে।
কোন এক রোদ্রৌজ্জ্বল দিনে,
শুভ্র প্রকৃতি যেন হঠাৎ লালশাড়ি পরনে,
বিমোহিত করে ডাকে প্রবল আকর্ষণে।
সৌন্দর্যমন্ডিত এই জনপদ
অসংখ্য বীরেদের প্রতি হয়েছে শ্রদ্ধাবনত।
সম্রাট ছিন শি হুয়াং আর হান য়ু-কে জানাই করুণা,
সাহিত্যের প্রতি যাদের না ছিল প্রেরণা।
তাং জং আর সাং জু সম্রাটও ছিলেন এমনকি,
কাব্যের প্রতি তারাও না ছিলেন অনুরাগী।
এক প্রজন্মের গর্ব-চির মহান,
সাহসী লড়াকু চেঙ্গিস খান,
ঈগল শিকার জানতেন ভালোই ধনু বাঁকিয়ে।
আজ সবই স্মৃতি,
নামীদামী চরিত্রগুলোরও নেই বিস্তৃতি,
বর্তমান সময়টাতে কেবল আমরা পড়ে রয়েছি।