What Is Kwalb_অন্তর/হৃদয় কি? Poem by Rhymer Rhymer

What Is Kwalb_অন্তর/হৃদয় কি?

ভুমিকাঃ
আলেম অনালেম, গরীব ধনী, নারী পুরুষ, ভাল মন্দ, দ্বীনদার দীনহীন, দেশী বিদেশী সকলের কাল্বেই শয়তান বসেথেকে কুপরামর্শ বা অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে। কিন্তু এই কাল্বতো ইমানের জায়গা, পরিশুদ্ধ মন নিয়ে ইবাদত করা আর আল্লাহ ওয়ালা হওয়ার কথা তা হয়না কেন?
মূল কারণ শয়তান। সে চায় আমরা তার মতো হই। ইমান নষ্ট করি, কুপথে চলি, আল্লাহ কে ভুলে গিয়ে জাহান্নামী হই। যেহেতু আমাদের সকল কর্ম কাণ্ড মন নিয়ন্ত্রণ করে, তাই সে মনকে/ কাল্বকে পুরাপুরি দখলে রাখতে চায়। এই বদজিন শয়তান এর অবস্থান জেনে শুনে তাকে উচ্ছেদ করে ইবাদতের স্বাদ গ্রহণ করার জন্যই কাল্বের এই আলোচনা।

আমাদের প্রধান ইবাদত নামাজ কি আমরা হুজুরি কাল্বে /একাগ্রচিত্তে পড়তে পারি? পৃথিবীর সকল কাজে মনোযোগ হতে চায় কিন্তু এই নামাজ ই সবথেকে কম মনোযোগে হয়ে থাকে। অমনযোগী কাজের কি মূল্যায়ন আছে? নামাজ হচ্ছে আকিমিছ ছালাতি লি জিক্রি আর আমাদের অন্তরে উদয় হল দুনিয়াবি সকল কথা বা কাজ। তাতে আমাদের আমলটাই বরবাদ হয়ে গেল।
এই কাল্বকে যে পবিত্র করতে হবে আর তা করতে হয় আল্লাহ র জিকির দিয়ে। যে কলব শুদ্ধ আর পবিত্র সেই কলবে আসে তাকওয়া। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারাই হেদায়াত প্রাপ্ত। আমরা এলেম শিখছি আর আমল করছি কিন্তু তাতে কি ইখলাছ থাকছে? ইখলাছ ছাড়া ইবাদত কি গ্রহণযোগ্য হবে? শয়তান চায় তার মত ইবাদত করি। ভুরি ভুরি ইবাদত করে বিশাল এক আবেদ আজও সমাজে ভুরি ভুরি কিন্তু নাই ইখলাছ। শয়তান ইখলাছ না থাকার কারনে আবেদ হয়েও চিরভিশপ্ত।
তার কাল্ব/কলব শুদ্ধ ছিল না বিধায় তার মধ্যে বাসা বেঁধে ছিল হিংসা লোভ অহংকার।তাইত এলেম আর আমল থাকার পরও উপকার না পেয়ে পেলো অভিশাপ আর হল ক্ষতিগ্রস্ত। আপনার রাশি রাশি আমল বরবাদ হচ্ছে শুধু মাত্র ইখলাছ না থাকার কারণে। পাত্র ছাড়া যেমন কিছু রাখা যায় না, তেম্নিতর বিশুদ্ধ ও পবিত্র কলব ছাড়া আমলের ছওয়াব জমা হয় না। যা অন্তরে জমা হয়ে মনে প্রভাব ফেলে তা কল্বি এলেম একমাত্র উপকারি এলেম। আখেরাতের জগত কলবের জগত আর পবিত্র কলব না থাকলে দুর্গন্ধে যেমন দূর দূর করে তাড়ায় ফেরেস্তা সকল তেম্নিতর আল্লাহ তার দিকে তাকায় কি করে?

1.ক্বাল্ব/মন/হৃদয় কিঃ
হাদিছঃ "নিশ্চয় মানুষের শরীরে একখণ্ড গোস্ত আছে, যা সংশোধিত হলে সমস্ত শরীর সংশোধিত হয়ে থাকে, কিন্তু যদি উহা দূষিত হুয়, তবে সমস্ত শরীর দূষিত হয়ে থাকে, সাবধান! উহা ক্বাল্ব! " শাব্দিক অর্থে ক্বাল্ব মানে উলটান পালটান। যেহেতু উলটা দিকে লটকানো তাই এর নাম ক্বাল্ব! দেহের মধ্যে সে হায়াতের কেন্দ্র। রক্তকে সারা দেহে সঞ্চালন করে সর্ব প্রকার অনুপ্রেরনা তৈরি করে। মানব স্বভাব পরিবর্তনীয়, জানোয়ারও ফেরেশ্তারা সকল সময় একই হালে থাকে। আল্লাহ পাক প্রতিদিন ই এক এক শাণে থাকেন যা ইন্সানের কাল্বে বিকশিত হয়।নেক কাজে রত থাকলে কাল্ব এর তরক্কি হয়ে বিভিন্ন হাল জাহির হয়।

2.লতিফা কি জেনে নেয়াঃ
মানুষ যখন তার অন্তরের ঐশ্বর্য্ সমপর্কে অবগত হয়-তখন একদিকে সে দেহকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে, দেহের জৈবিক ক্ষুধাকে বশে আনতে শেখে, অন্যদিকে তার দেহের মধ্যেই অনেকগুলো অদৃশ্য বন্দরে বাতি জ্বলে ওঠে। দেহের এই বন্দর গুলোকেই তরিকতের ভাষায় লতিফা বলে।(কপি)লতিফা মোট ১১টি /কাল্ব, রুহ ছির, খফি, আখফা, নফছ, আব, আতশ, খাক, বাদ ও খলা। কালব বাম স্তনের দুই আঙ্গুল নীচে হলদে রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। রুহ ডান স্তনের দুই আঙ্গুল নীচে লাল রঙের নুরের গোস্তের টুকরা।ছির বুকের কড়ায় দুই দুধের মাঝখানে সাদা রঙের নুরের গোস্তের টুকরা।খফি সেজদার জায়গায় কপালের মাঝখানে কালো রঙের নুরের গোস্তের টুকরা। আখফা মাথার তালুতে সবুজ রঙের নুরের গোস্তের টুকরা।নফস নাভি মূলে রংহীন বিশুদ্ধ হওয়ার পর উজ্জ্বল তারকার মতো নুরের গোস্তের টুকরা। আব সর্ব শরীররে পানির মতো জলীয় অংশ।আতশ সর্ব শরীরে তাপের/আগুনের অংশ।খাক সারা দেহে মাটির অংশ।বাদ বাতাসের অংশ।খালা সমস্ত শরীরের শূন্য জায়গা।

3.আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে কাল্বঃ
"বস্তুত চক্ষুতো অন্ধ হয় না কিন্তু ঐ ক্বলব অন্ধ হয় যে ক্বলব হলো বুকের মধ্যে।" (সুরা হজ্ব ৪৬)
রাসুল (সাঃ)ফরমান: "নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের শরীর বা আকৃতির দিকে তাকান না, বরং তিনি তোমাদের ক্বলবের (মন বা অন্তর)দিকেই তাকান।" অতপর রাসুল (সাঃ)ক্বলবকে দেখানোর জন্য স্বীয় আঙ্গুল দ্বারা নিজের বুকের দিকে ইশারা করলেন। (মুসলিম শরীফ)
ক্বলব সম্পর্কে রাসুল পাক (সাঃ)আরো বলেন: "ক্বলব হলো সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গেঁর বাদশা।" (মেরকাত শরীফ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৬২)
অর্থাৎ একটি দেশের বাদশাহ ভাল হলে দেশের প্রজারাও যেমন ভাল হতে বাধ্য হয়, তদপ্রু একটি মানুষের ক্বলব বা অন্তর ভাল হলে নিজের কাজ কমর্ও ভাল হয়ে যায়।
অপর দিকে একটি মানুষের ক্বলব খারাপ হলে তার কর্মকান্ডও খারাপ হয়ে যায়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছ:
‘‘তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ পড়ে গেছে। ফলে তারা বুঝে না।" (সুরা তওবা, আয়াত-৮৭)
পবিত্র কোরআনে অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে: "আমি তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ মেরে দিয়েছি। ফলে তারা শুনতে পায় না।" (সুরা আ'রাফ-১০০) ।
সেদিন (কিয়ামতের দিন)কোন অর্থ সম্পদ এবং সন্তান সন্ততি কোন কাজে আসবে না; সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সুস্হ বা পরিচ্ছন্ন ক্বলব নিয়ে আল্লাহর কাছে আসব। (সুরা শু'আরা ৮৮-৮৯)
যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার ক্বলবে(অন্তর বা মন)সৎপথ প্রদর্শন করেন। (সুরা-আত তাগাবুন-১১)
তাদের ক্বলবে(অন্তর বা মন)আল্লাহ ঈমানকে নির্ধারিত দিয়েছেন। (সুরা মুজাদালাহ-২২)
সেই পরম প্রকাশিত সুন্দর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দিদার লাভ করতে হলে মুরশীদের নিকট আনুগত্তের বিকল্প নেই বললেই চলে। দুনিয়ার লোভ ত্যাগ করে ওলী-আল্লাহ গনের সাহচর্যে থেকে নিজের চরিত্র ঠিক করে রাসুলুল্লাহ (দঃ)এর নীতি অনুযায়ী চললে দুনিয়াতে শান্তি আখেরাতেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারন ওলী-আল্লাহ গনের সান্নিধ্য ছাড়া চরিত্র ঠিক করা সম্ভব না কেও কখনো পারে নাই পারবেও না। সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আমাদের ক্বলব বা মন সুস্থ হয়ে যায়।এই জিকির এর ফায়েজ বা নূর পীরের মাধ্যমে এসে থাকে। আল্লাহ পাক তখন ইচ্ছা করলে এই ক্বলবের মধ্যেই এক জ্ঞান দান করেন। এই জ্ঞান কোন বই পত্র পড়ে বা শুনে অর্জন করা সম্ভব নয় । এই জন্য এই জ্ঞানকে ক্বলবী জ্ঞান বা আত্বিক জ্ঞান বলা হয়। (গাউছিয়া হোসাইনীয়া রেজভীয়া সুন্নীয়া জামিআ' মাদ্রাসা, সুনামগঞ্জ) ।

4.কাল্ব কে কে দখলে নিতে চায়
সাধারণত শয়তান আর নফস এই দুইজন মিলে একজন আরেকজনের পরিপুরক হয়ে মানব মনকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে। নিচের হাদিসগুলি দেখুনঃ

"শয়তান আদম সন্তানের দিলের উপর হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকে।মানুষ যখন জিকির করে তখন সে পসচাদপদ হয়, আর যখন মানুষ গাফেল হয়ে পড়ে, সে তখন ওয়াছ্বাছা নিক্ষেপ করতে থাকে"।.

"নিশ্চয় শয়তান মানুষের শিরায় শিরায় বিচরণ করে" ।

আদম সন্তানের জন্য শয়তান আর ফেরেস্তার স্পর্শ কার্যকর।শয়তান স্পর্শ করে বলে (অনুভুতি জাগায়)মন্দ কাজে লেগে যাও আর সত্য কে অবিশ্বাস করো; ফেরেস্তা স্পর্শ করে বলে ভালো কাজে লেগে যাও আর হক কে বিশ্বাস করো। শেষের অনুভূতিতে আলহামদুলিল্লাহ আর প্রথমটির অনুভুতি আসলে আয়ু'জুবিল্লাহি মানাশ শাইতোয়ানির র'য়াজিম পড়বে।

কোন কোন লোকের নিকট শয়তান এসে বলে কে অমুক অমুক বস্তু পয়দা করেছে ইত্তাদি; অবশেষে বলে কে তোমার প্রভুকে পয়দা করেছে? অরূপ ভাব উদয় হলে আল্লাহ র কাছে আশ্রয় চাও আর তা থেকে দূরে সরে পড়।

সকলের কাছেই জীনের একজন সঙ্গী আর ফেরেস্তার একজন সঙ্গী আছে। আমার কাছেও তা আছে; কিন্তু আল্লাহ তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করেছেন ফলে সে মুসলমান হয়ে গেছে; তাই আর সৎ কাজ ছাড়া কিছু আদেশ করে না।

নিশ্চয় শয়তান মানুষের শিরায় শিরায় বিচরণ করে।

প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্মের সাথে সাথে শয়তান তাকে স্পর্শ করে। তাই জনমের পর ই শিশুটি চিৎকার দিয়ে উথে।কেবল মাত্র হাজ্রত মারিয়াম আঃ আর হাজ্রত ঈসা আঃ এর বেতিক্রম ছিলেন।

এক বেক্তি এসে বল্ল, ইয়া রাসুল আল্লাহ সঃ আমার দিলের মধ্যে এমন বস্তু/ওস্বয়াসা অনুভব করি যা মুখে উল্লেখ করার চেয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া অধিক ভালো।হুজুর সঃ বললেন শোকর আল্লাহ র তা কাজে পরিণত হয়নি।

উস্মান রাঃ বলেন, হুজুর সঃ শয়তান আমার আর আমার নামাজ ও কোরআন পাঠের মধ্যে পর্দা হয়ে দাঁড়ায় তাতে নামাজের মধ্যে আমার সন্দেহ এসে যায়।হাজ্রত সঃ বললেন এই শয়তানের নাম খেনজেব।যখন এর অনুভব পাও তখন আল্লাহ র কাছে আস্রয় চাও আর বাম দিকে ৩ বার থু থু ফেলবে।

প্রতিয়মান হচ্ছে যে, শয়তান আছে আর তার প্রভাব মানুষের উপর পড়ছে। এর বিভিন্ন সমাধানও বলা আছে। এই সমাধান না মেনে নিজের খামখেয়ালে চলে নিজের নফস আর এক বড় শয়তান হয়ে দাঁড়ালে কে তোমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাবে? শয়তান থেকে বাঁচার সবচে উত্তম পথ হলও জিকির।আর জিকিরের ফায়েজ কামেল অলি ছাড়া কে দেবে? ফায়েজ হল নুরের ধারা যা কামেল অলি মুরিদের দিকে ছেড়ে দেয়। পীর তার তাওয়াজ্জু দ্বারা দিলের মধ্যে জীবনী শক্তি, আবেক ও স্পন্দন সৃষ্টি করে আল্লাহ র মহব্বত ও মারেফাত/ তত্ত্ব ও তথ্য অনুধাবনের শক্তি প্রবল খাহেস জাগায়! পীর মুরিদের অবস্থা অনুযায়ী জিকির, মোরাকাবা আর মোশাহাদা র ছবক দ্বারা বাতেন সংশোধন করে থাকেন। সহজ ও অল্প সময়ে আল্লাহ র নৈকট্য লাভ কামেল পীরের বায়াত ছাড়া একেবারেই অসম্ভব! রোগের চিকিৎসক ডাক্তার আর রুহানি / বাতেনি রোগের চিকিৎসক পীর (অবশ্যই তা শরিয়াত মানা হক পীর হতে হবে))যারা এসব মানে না বা বেঙ্গ করে তাদের বেপারেই বলা হয় তাদের পীর শয়তান কারন তারা শয়তান দারা কম বেশী চালিত হচ্ছে!

5.বিভিন্ন হালের মানুষ কি কি
কলবের পরিছন্নতার নিরিখে মানব চরিত্রগুলু দেখুনঃ
ক) একাগ্র চিত্তের মানুষ(কাল্বে মুনির)এরাই সেই লোক যারা না দেখে মহান আল্লাহ কে ভয় করে এক চিত্তে তাঁর দিকে রুজু হয়।তাদের ই প্রতি আদেশ হবে, ছালামতির সাথে বেহেস্তে প্রবেশ করো।এই কাল্ব থেকে তউবার আবেগ, নেক আমল আর রিয়াজতের খাহেশ বাড়ে।
খ) নিরাপদ দিলের লোক(কাল্বে ছালিম)তারা যারা আল্লাহ ছাড়া সকল বস্তু তলব হতে নিরাপদ বা বিরত থাকে।তাঁরা আব্দ ও রবের সম্পর্ক বুঝে এলেম, আল্লাহ প্রাপ্তির পথ, ঐ পথে চলার বেকুল থাকে।কিয়ামতের দিন যখন ধন সম্পদ ও সন্তান সন্তদি কোন কাজেই আসবে না; সে দিন কাল্বে ছালিমদের বলা হবে ছালামতির সাথে জান্নাতে যাও।
গ) বিনয়ি দিলওয়াআ লোক(কাল্বে খাশে)এরা বিনয়ী আর বিনম্র ভাবে জিকির করে ইমান কে আর রুহকে তরতাজা করে রাখে। এরা সবসময়ই বিনীত ভঙ্গিতে মহান রবকে ডেকে তার কাছে দুনিয়ার কিছুই চায় না।
ঘ) কাল্বে মুত্মাআইন্না(শান্তিযুক্ত দিল) এরা হদায়েত প্রাপ্ত কাল্ব যারা এক দিলে আল্লাহ র দিকে রুজু থাকে।আল্লাহ র জিকিরে দিলের শান্তি ছাড়া অন্য কোন খেয়াল তাদের মধ্যে থাকে না।
কলবের অপরিছন্নতার নিরিখে মানব চরিত্রগুলি দেখুনঃ
ক) কাল্বে গাফেল/গাফেল দিলের মানুষ -এরা জিকির থেকে গাফেল থেকে সীমা অতিক্রমকারী মানুষ যারা শুধু নফছি খাহেশের অনুগামী।
খ) কাল্বে অছিম/গুনাহগার মানুষ-এরা গুনাহ গোপন করে চলে অথচ তাদের দিল সাক্ষ্য দিচ্ছে তারা গুনাহগার।
গ) কাল্বে মিরাজ/রুগ্ন দিলের মানুষ-এরা সকল সময় মিথ্যে বলে আর মিথ্যে ঈমানের দাবি করে।এই মিথ্যা একটা বড় রোগ যা বাড়তেই থাকে ফলে কঠিন আযাব তাদের জন্য নির্ধারণ করা আছে।
ঘ) কাল্বে জায়েগ বা ট্যারা দিলের মানুষ-এরা স্বাভাবিক না দেখে ট্যারা দিলে দেখে বা মূল্যায়ন করে।যদি কেও নিজের খারাপির কারনে অন্য কে সে ভাবে গণ্য করলে যা হয়।
উম) কাল্বে মারিন বা জং ধরা দিলের লোক -এমন কিছু লোক ো অবশ্যই আছে যারা ধর্মীয় িষয় া কোরআন হাদিছকে বেদলিল কিচ্ছা কাহিনি ভেবে থাকে।বলা যায় তাদের জং ধরা দিলে সত্য ঢুঁকে না।
চ) কাল্বে আ'মা বা অন্ধ দিল্বালা লোক-এদের চোখের দৃষ্টি অন্ধ না বরং এ্দের মনের দৃষ্টিতে অন্ধ।তাই হক বা নাহক দেখে না।
ছ) কাল্বে মাকনুন বা পর্দা ঢাকা দিল-সোজা পথে যারা আসে না তাদের দিলে পর্দা পড়া আর কর্ণে খিল মারা তাই তারা সোজা থেকে আরও ূরে সরে পরে।
জ) কাল্বে কাছি বা কঠিন দিল্বালা লোক-এদের মন কঠিন পাথরের থেকেও শক্ত। পাথর ভাংলে কিছু পরিমাণ ানি পাওয়াযায় কিন্তু গুনাহগারের মন আল্লাহ র ভয়ে কখনো াপে না আর কাঁদে না।
ঝ) কাল্বে মাখতুম বা মোহর মারা দিল-কাফির শ্রেণীর লোকগুলো োহোর ারা দিলের।তারা কখনো ঈমান আনবে না।
নিও) গালিজুল কাল্ব বা কঠোর হ্রদয়ের মানুষ = এসব লোকদের চেনা সহজ হয় কারন এদের আশপাশ থেকে মানুষ দ্রুত সরে পরে। বদ খাছিলত কোঠর মন একসাথে চলে।
ট) কাল্বে মোফাক্কাল বা তালা দেয়া দিলের মানুষ= এসব লোকদের অন্তরে নেকির কথা প্রবেশ করে না। নেক্কারের কথা বা কাজ এরা সব সময়ই এড়িয়ে চলে।

6.কাল্বের খারাপ অবস্থা থেকে বাঁচার উপায় কি?
অন্তর পাক্সাফ করতে হবে। এই পাক্সাফের কায়দা কানুন জানা খুব জরুরি। আর এই শাস্রত কে বলে ইল্মি তাছাউফ। বস্তু বা বিষয়ের জাহের ও বাতেন জেনে এলেম আমল ও এখলাছ অরজন করতে হবে। কঠোর রিয়াজত করে কম ঘুম, কম খাওয়া, কম মেলা মিশা, এভাবে ক্রমে ক্রমে এগিয়ে যাওয়া। রিয়াজত ও জিকির আরম্ভ করলে আস্তে আস্তে বদ খাছিলত গুলু দূর হয়ে ভাল খাছিলত মন্দের স্থানে পয়দা হতে থাকবে। এভাবে আল্লাহ র রহমতে দিলের মধ্যে আল্লাহ র রহমত ও আকর্ষণ জন্ম নিতে থাকবে। ক্রমান্বয়ে দিল আল্লহ র জন্য বেকারার হয়ে পড়বে। এদেরই খনিকের তরে জিকির ও খেয়াল কমতি ঘটলে মন ছটফট করে। এরাই সকাল ও সন্ধ্যায় আল্লহ র জিকিরে আর মোরাকাবায় অ মশাহাদায় বসে যায়। আল্লহ র রিজা ও লিকা অর্জন হতে থাকে। অন্তরের এলাকা সমুহ জিকির আর মোরাকাবায় মজবুত হতে থাকে। আল্লাহ ওয়ালার আমল ফলাফলের বস্তু নহে বরং নিয়ম মাফিক হওয়ার বস্তু। আল্লহ র মারিফাত ও মুহব্বত গালিব হয় এভাবেই।

7.পীরের দরকার কি?
তোমার বাতেন সংশোধনের পথ বলা হল কিন্তু তা দেখভাল কে করবে? কে বিভিন্ন রোগের রূহানী বেবস্থা পত্র দিবে? লাফে আর ফালে কেও বড় হয় না। একটা পরামর্শের লোক লাগে আর বাতেনি পরামর্শের উস্তাদ হোলও কামিল ওয়ালি বা কামিল পীর। সুন্নতে পায়রবীবিহীন শয়রিয়ত না মানা কোন বদ লোককে পীর ভেবে লাভ না হয়ে ক্ষতি হবে। পীর তমাকে পুড়ে পুড়ে খাঁটি সোনা বানাবে। সে তোমার হাল হাকিকত বুঝে সথিক পথ বলে দিবে। তাঁর ছোহবতের ফলে আল্লহ প্রাপ্তির পথ এভাবে সহজ হবে; মুরিদের দিলের মধে পীর নিক্ষেপ করে এক জীবনীশক্তি যা আবেগ ও স্পন্দনের দ্বারা মারিফাত তথা রুহানিয়াতের প্রবল খাহেশ জাগিয়ে তুলবে। হাল আর হাকিকত বুঝে বাতেন ধোলাই করে, তার ইচ্ছা শক্তি বা তাওাজ্জু ছুড়ে দেন যা স্থায়ী হয়ে পবিত্রতা লাভে দিলকে পূর্ণ করে। ভাই আপনার বাতেনের এলাকাগুলু কক্ষনো একাকি পরিষ্কার হয়ে বিকশিত হবে না। পীরের বায়াত অনেকে মনে করে সুন্নত। কেও কেও ওয়াজিব ও বলে থাকেন। কোরআন পাকে পীর ধরার বহু আয়াত আছে। বায়াতের ফলে ধর্মের বুনিয়াদ দিলের মধ্যে মজবুতি পায়; আমল, হেফাজত আর সংশোধন সহজ হয়ে জাহেরি ও বাতেনি দোষগুলি দূর হয়ে কামালত অর্জিত হয়।
মহাপণ্ডিত ও মহাবিদ্বান তুমি থাকলেও কামেল পীরের ছহবত ছাড়া দিল পবিত্র ও পরিপক্ক হবে না। মৌলানা রুমি দুঃখ করেই বলেছেনঃ "কথা বার্তা ছাড়, তরিকতপন্থী হও, আর কামেল পীরের কদমে লুটিয়ে পড়; যদি তুমি অপদার্থ, কঠিন, পাষাণ, পাথরও হও; তথাপি তুমি কামেল পীরের সংশ্রবে থেকে অমূল্য রতন সদৃশ হয়ে যাবে। যদি আল্লাহ কে চাও তবে অলিদের কা্ছে যাও।"

8.পীর ধরায় কোরআন পাকের আয়াত কি আছে?
পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথাঃ 'অলি' বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি । নিম্নে কিছু আয়াত শরিফের অর্থ পেশ করা হলঃ
হে মুমিনগণ! তোমরা অনুসরণ কর, আল্লাহ্ পাক এর, তাঁর রাসুল পাক (দঃ)এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা ধর্মীয় নেতা ।
— সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৫৯
স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম)নেতা সহ আহ্বান করব ।
— বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ৭১
মুমিন পুরুষ ও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেক কতেকের বন্ধু ।
— সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ৭১
তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে ।
— সুরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ৭১
অনুসরন কর তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত ।
— সুরাঃ ইয়াসিন, আয়াতঃ ২১
যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছে তাঁর পথ অনুস্মরণ কর
— সুরাঃ লোকমান, আয়াতঃ ১৫
জিকির সম্বন্ধে তোমাদের জানা না থাকলে জিনি জানেন তাঁর নিকট হতে জেনে নাও ।
— সুরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৭
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (ছাদেকিন)সত্যবাদী গণের সঙ্গী হয়ে যাও ।
— সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ১১৯
নিশ্চয়ই আল্লাহ্পাকের রহমত(মুহসিনিন)আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী।
— সুরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ৫৬
আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথ প্রাপ্ত হয় এবং তিনি (আল্লাহ্)যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তাঁর জন্য কোন পথপ্রদর্শনকারী (মুরশিদ)পাবে না ।
— সুরাঃ কাহাফ, আয়াতঃ ১৭
সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর অলিগণের কোন ভয় নেই, এবং তারা কোন বিষয় এ চিন্তিতও নহে । তাঁদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্তন হয় না, উহাই মহা সাফল্য ।
— সুরাঃ ইউনুছ, আয়াতঃ ৬২-৬৪
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ পাককে ভয় কর, এবং তাকে পাবার জন্য (নৈকট্য লাভের)অছিলা তালাশ কর ।
— সুরাঃ মায়েদা, আয়াতঃ ৩৫

যে সব সুত্র থেকে সহায়তা নিয়েছিঃ
১। ছিরাজুছ ছালিকিন,
২। ছুন্নি পিডিয়া,
৪। গাউছিয়া হোসাইনীয়া রেজভীয়া সুন্নীয়া জামিআ' মাদ্রাসা, সুনামগঞ্জ।
৫। তরীকায়ে আহমদিয়া, আলহাজ সুফি আব্দুর রাজ্জাক প্রণীত।

Monday, April 2, 2018
Topic(s) of this poem: mystical philosophy
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Rhymer Rhymer

Rhymer Rhymer

DHAKA Tangail, BANGLADESH
Close
Error Success