সে এসেছিল ধ্বংসের বার্তা নিয়ে,
হাতে ছিল খড়গ কৃপান,
মহাপ্রলয়ের সংকেত নিয়ে সে এসেছিল
ঝড়ের কেতন নাড়িয়ে হয়েছিল তার আবির্ভাব।
...
প্রেম অতি বিষম বস্তু যায় না তারে বোঝা,
বৃথাই শুধু কষ্ট করে মনের গভীরে খোঁজা।
প্রেম এখন বইয়ের পাতায় ইন্টারনেটের ব্লগে,
আধুনিক এই প্রেমের সংজ্ঞা বিশ্বায়নের যুগে।
...
রঙের মায়ায় ঝর্ণাধারায়
রাঙিয়ে দিয়ে যাও -
গভীর গোপন সুপ্ত জীবন
জাগিয়ে দিয়ে যাও।
...
দিগন্তে আঁধার নামলো, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো,
পাখির দল উড়ে চলেছে নিজের বাসায়
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
খোলা বাতায়নে বসে আমি নিষ্পলক চোখে
...
কুম্ভ মেলায় পূণ্য খোঁজে
শূন্য পকেটওয়ালারা,
ব্যাংকে যাদের ব্যালেন্স ভারী
তারাই দেশের রাজার রাজা।
...
তোমার গানের ভুবনজোড়া আসনখানি পাতা,
তোমার গান আকুল মনে জাগায় ব্যাকুলতা।
তোমার গানে দিন ফুরালো প্রভাত হলো রাতি,
অন্ধতামসী নিশার আঁধারে নিভিয়ে ঘরের বাতি।
...
হে পৃথিবী,
তুমি দিয়েছো উজাড় করে দু হাত ভরে
সব কিছু তোমার এই হতভাগ্যকে।
তোমার রূপ রস গন্ধ আকন্ঠ পান করে
...
ছোট্ট আমার মেয়ে,
বাড়িময় দাপিয়ে বেড়ায় আনন্দে নেচে গেয়ে।
পুতুল তার সাথী, সাথী ছবির বই,
স্কুলে পড়া করার সময় তার কই।
...
আমরা যা চাই
সে এসেছিল ধ্বংসের বার্তা নিয়ে,
হাতে ছিল খড়গ কৃপান,
মহাপ্রলয়ের সংকেত নিয়ে সে এসেছিল
ঝড়ের কেতন নাড়িয়ে হয়েছিল তার আবির্ভাব।
সে চেয়েছিল ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে
এই পচাগলা অবক্ষয়িত সমাজের মেরুদণ্ডটাকে।
আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে যেন
জন্ম নিতে পারে এক নতুন প্রাণ।
সে জন্মাক বারুদের বিষবাষ্পে নয়,
অনন্ত আকাশের প্রাণখোলা হাওয়ায়।
ঘৃণা, লোভ, লালসা, স্বার্থপরতা
যেন তাকে স্পর্শ না করতে পারে।
কিন্তু হায় সে পারল কই?
ঘুনধরা সমাজের উপরের মাচানে
বসে থাকা ওই মান্যগন্যিরা
মেরে তাড়িয়ে দিল তাকে,
বলল চাইনা ওই জীবন।
এই বেশ ভালো আছি
দুর্বল মনুষ্যত্বের রক্তশোষণ করে
কিছুটা খাচ্ছি বাকিটা ব্যাংকে রাখছি।