দুহাত ভিজে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে
বসে আছি জানালার ধারে
এই তো সেদিনের কথা,
কত কথা রেখে এসেছিল আমার কাছে...
...
অকাল বৃষ্টি আবার ঝরছে ঝমঝম
বুড়ো অর্থ বুঝতে আমি অক্ষম
নির্ঘুম মুহুর্তে নিশিডাক পাড়ে বিহঙ্গ
নিশ্চল কোকিল স্বস্তির পালক বিছানো প্রত্যঙ্গ
...
নামেনা বৃষ্টি আর চোরা স্রোতে সে যায় ভেসে
ওঠে না রামধনু, নেই জমাট মেঘ আকাশে
খেয়াল নেই আমিই সেই ছেঁকা খাই মাঝরাতে;
জানি উঠবে সূ্র্য্য, ফুটবে আলো খনিকের মধ্যে…
...
অকারন ভালোলাগা, নিছক
খাম-খেয়ালির ভিড়ে
জানালার ফাঁকে তাকানো চোখ অপেক্ষাই কিছু ভালবাসার;
দুচোখ ভরা তোমার হাসিমুখ্টা
...
তাই আমি গিয়ে দাঁড়াই,
দিগন্তের সেই দ্রাঘিমা রেখায়
ঠিক যতটা দূরে দাঁড়ালে
আমাকে আর
...
চিনচিনে অন্তঃস্থলে, বুকে পিঠে গোড়ালিতে
চিমটি কাটে কুহেলিকা..
তীব্র টেনশন রুপান্তরিত বহ্নিশিখা
মসৃণ ত্বকে হালকা ঘামের প্রলেপ
...
... বৃষ্টি: Eagerly Waiting! ! !
দুহাত ভিজে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে
বসে আছি জানালার ধারে
এই তো সেদিনের কথা,
কত কথা রেখে এসেছিল আমার কাছে...
ছুটে এল তার এলোচুলের গন্ধ!
ফুরফুরে বাতাসে স্নান করে আমার দিকে
সেদিনের পর যখনই তার স্পর্শে
নৌকো ভাসিয়েছি,
ওড়না উড়িয়ে উধাও দুঃস্বপ্নের মতো
টুকরো টুকরো মেঘ আর কুয়াশা যত
বলে গেছিল আসব, আবার আমি আসব
জমাট রক্ত ধুয়ে, সারিয়ে তুলব ক্ষত!
কই এখনও এলো না সে,
ব্যস্তবাগীশ রাজপথ ছেড়ে
শহরের কত গন্ধমাখা অলিগলি পথ ধরে
আমার সাথে হেঁটে বেড়াতি
চোখধাঁধানো রূপ দেখে থমকে দাঁড়াত গাড়ি!
বেসামাল ট্রাফিক পুলিশও ভাববে কত সুন্দর ছিল
তার শৈশবের দিন!
কই কখনও এলো না তো সে,
বলেছিল ভাসিয়ে দেবে ভন্ড স্বরলিপি!
যত অযোগ্যদের স্বপ্ন ছারকারের ঢিপি
রাজপথ আর ফুটপাথ এক করে দাও
বলেছিলে ডুবে যাবে বেহায়া উৎসব!
কলার ভেলা ভাসাবে শুধু কংক্রিটের পথে
আমি যে সোনারতরী সাজিয়ে বসে আছি!
কথার খেলাপ না করে তুমি আসবে তো বৃষ্টি?