দ্বিবিধা-মাধবী বন্দ্যোপাধ্যায়
অনেক সংগ্রামের পর, জীবনের এই পর্য্যায়েএসে
একটু স্থির হে বসেছেন ম্যাডাম
কিন্তু অতীত তো পিছু ছাড়ে না, মনে পড়ে
অতীতের পাওয়া না পাওয়াগুলো ভির করে নাড়া দেয় এই বর্তমানকেও
কিশোরী তখন ম্যাডাম একবার দ্বিবিধায় পড়েছিল
সেই কিশোরবেলা সংসারের যে অভাব হা করে গিলে খাচ্ছে
সেটা বুঝতে অসুবিধা ছিল না তার
তাই স্থির করে ফেলেছিল, কিছু রোজগার করবে
পাশের বাড়ির খেলার সাথী অরুণার মতো ঠোঙ্গা বানাবে।
আর মায়ের অতসুন্দর মুখখানি হাসি ফুটবে, গোমড়া হয়ে থাকার বদলে।
তাই ক্লাস এইট থেকে নাইনে ওঠার পর অনেক খাতা জমেছে
সেগুলো দিয়ে অনেক পাঁচ ছটাকি ঠোঙ্গা হবে
দোকানে দিলে কিছু টাকা হবে
ঠোঙ্গা করার তোর জোর দেখে বাবা বলল ‘ওসব কি হচ্ছে? '
আনন্দে বলে ফেলল ‘ঠোঙ্গা বাবা দোকানে দিলে কিছু টাকা দেবে'
বাবা আনন্দে জল ঢেলে দিল ‘তোমার ওসব করতে হবে না
বই নিয়ে পরতে বস অংক কর, ইংরাজী পড়, ওপরে তাকাও নীচে নয়'।
মেয়েটি বোঝে না উপর নিচ কাকে বলে
অভাবের কাছে মনে হয় কোনো উপর নিচ নেই।
সেদিন দ্বিবিধায় পড়েছিল ম্যাডাম
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
অভাবের কাছে মনে হয় কোনো উপর নিচ নেই// wow great exprssion ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়- Sukanta