মানুষের আদিম জাতি নাকি ছিল অসভ্য
খেত কাঁচা মাংস পুড়িয়ে; আগুনে ঝলসিয়ে
হোক তা অন্য মানুষের, পশু বা পাখি অথবা কীট পতঙ্গের
গুহার আভ্যন্তরে বসবাস তাদের, বন্য চলাফেরা
যেন উন্মাদ এক উলঙ্গ প্রাণী হাঁটছে দয়ামায়াহীন
আপন গোত্র ছাড়া পৃথিবীর সবি তার কাছে অচিন
আপন গুহার গোত্র ছাড়া ভাবে সবই তার শত্রু
তাই আপনার ছাড়া বাকি সবকে মেরে -
কাঁচা বা আগুনে ঝলসিয়ে খেত
মানুষের বর্তমান জাতি নাকি সভ্য!
খায় ভিন্নভাবে, সুন্দর বসনে থাকে সমতলে
নিজ ভূখণ্ডের সীমানার চারদিকে কাঁটাতার ব্যবহার করে
অন্য ভূখণ্ডের কেউ যাতে ঢুকতে না পারে
সীমানা পাহারায় জোয়ান ভায়েরা সদা থাকে সজাগ
অনুমতিহীনে কাঁটাতার পার হতে চাইলে করে গুলি
কাঁটাতার দাঁড়িয়ে থাকে জীবননাশের হুমকি স্তম্ভ রূপে
মৃতদেহ খায়না কেউ তবে গুম হয়ে যায়
মানুষের বর্তমান জাতি সভ্য তাই!
মানুষের আদিম জাতি নাকি ছিল অসভ্য
যদি তারা সন্ধান পেত অন্য গুহার
যদি তারা সন্ধান পেত তাদের মত অন্য জাতির
তখন তারা সম্মুখ লড়াইয়ে পরাজিত করত
আর নিজেদের শক্তি বলে পরাজিতদের ভৃত্য বানিয়ে রাখত
ক্ষুধার্তে মৃতদেহ বা কৃশকায় দাসদেহ আগুনে ঝলসিয়ে খেত
তারা অসভ্য ছিল তাই।
আর মানুষের বর্তমান জাতি নাকি সভ্য!
তাই পরাশক্তির শক্তিমত্তা প্রদর্শনে
পারমানবিকের অস্তিত্বে
অন্য সাম্রাজ্য দখলে লড়াই করে
গুঁড়িয়ে দেয় অন্যদের, উড়িয়ে দেয় বোমার তাণ্ডবী বাতাসে
ঝলসিয়ে দেয় আবালবৃদ্ধবণিতার দেহ
পরাজিত শিশু-নারীদের ধর্ষণে ধর্ষণে করে দেয় অস্তিত্তহীন দেহে
মানবতাকে ভৃত্যের কঠিন শেকলে আবদ্ধ রাখে সুচিন্তিত সভ্য বলে! ! !
-১০/০৪/১৮
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem