বহুকষ্টে এসেছিনু মোরা এই সুন্দর স্থানে,
(ছিলাম আমি আন্তর্জাতিক আদালতের দলে) ,
পর্বতরাজি সহানুভূতিশীল মোদের পানে।
এই পাহাড়ের পাথুরে দেশে অদ্ভুত উলটপুরান,
পাথরের মাঝে দেখি উর্বর এক স্থান।
জন্মে সেথায় পোস্তরাজি, আহা চণ্ডুসুখের মা!
পড়ন্ত রবি হালকা পবনে দিচ্ছে চুমু মোর গা।
হঠাৎ আমি চমকে দেখি...
কে ও শিখরে পর্বত সখি...
শ্বেতশোভিত, আলোকখচিত মাখি?
আতরমাখা বায়ু বয়...সে বুঝি আসে,
আমার জিহবা জড়খানি যখন সে মোর পাশে,
চিরযুবা স্বর্গীয় সে তরুণ করলো শুরু হেসে...
"আমি ছিলুম বসে ওই পাহাড়ের কোলে
আফিমপত্রের গন্ধে ঢুলুনি নেমেছিল মোর চোঁখে।
প্রতিদিনের মতোই লিখতে চেয়েছিলাম এক কবিতা,
বিষয়হারা এই স্বর্গ দিবসে এল না তার ছবিটা।
তাকিয়েছিলাম ঐ সম্মুখে ছলনাময়ী প্রান্তরে,
ধূসর বর্ণের ক্ষীণ আলোর অন্তরে।
ঐ ঊর্ধে হালকা মেঘে নীলে ঢাকা আকাশ,
অস্পষ্ট কালো পাখি উড়ে পাগলা যেন বাতাস।
কিন্তু হায় এল না তবু একটিবার,
আমার কবিতার বিষয় যেন অবাধ্য দুর্বার!
হঠাৎ শুনি তীক্ষ্ণ তীব্র সাইরেনের ডাক,
আমি ছুটেছি, বেড়েই চলছে তার হাঁক।
শব্দখানি ভালোবেসে ধরেছে মোরে জড়িয়ে,
বিষয়হীন কবিতা মম গেছে যে হারিয়ে।
ছুটছি আমি ছুটছি জোরে অন্ধসম পায়ে,
দুঃখে ভাগ্য বিয়োগ ঘটেছে পার্থিব এ দেহে,
পৌঁছে গেছি ঈশ্বরের চিরসবুজ স্বর্গীয় উদ্যানে।
এখনো আমি আসি এখানে দেখতে কবিতাখানা,
ব্যর্থ হাতে পালানো পদচিহ্ন খোদাই করেছিল একখানা,
বাতাস হয়ে পড়তে পারি তোমাদের সব মিথ্যা কাগজখানা।
বিদায় বন্ধু বেতনভোগী পুরাতন মম।"
ক্ষনিক স্বপন ভেঙে পেলাম স্বর্গানুভূতি,
আমিই সেই 'মহম্মদের মিরাজ'-এই আমার অনুভূতি।