কৈলাস মানস ভ্রমণকালে আমরা চিন অধ্যুষিত তিব্বতে প্রবেশ করলাম
আমরা জানি চিন খুবই উন্নত দেশ
বিশ্বের বড় বড় শক্তিকে সে চ্যালেঞ্জ জানায়
কৈলাস মানস সরোবর দর্শণেরসাথে সাথে
একটি অতি উন্নত দেশ দেখার সৌভাগ্যকে অস্বীকার করতে পারি না।
মনে মনে উত্তেজিতও বটে।
ফ্রেন্ডসিপ ব্রীজ পার করেআমাদেরকিছুটা পথ হেঁটে যেতে হবে
আমাদের জন্য বরাদ্দ একটি অত্যাধুনিক বাস অপেক্ষা করছে।
আমাদের হাতের ন্যাপস্যাকটি নিয়ে আমরা চলেছি
সহসা আমাদের সামনে কয়েকটি বালক-বালিকা দাঁড়িয়ে গেল
বালিকাদের মাথায় ঝাঁকরা পাটের ফেসোর মতো চুল
আর বালকগুলোর চুল যেন সজারুর কাঁটা
শিশুগুলো যেন অযত্ন আর অবহেলার প্রকাশ
এতদসত্ত্বেও ওদের ছিল সরল আরবুদ্ধিদীপ্ত চাহনি।
আমাকে হিন্দিতেই বলল- তিন ইয়ন দাও, তোমার ব্যাগ বাসে নিয়ে যাব।
আমি স্মিত হেসেওর নাক দেখিয়ে বললাম‘ওটা কি?
বুঝতে পেরে একটু হেসে বা হাতের উল্টো চেটো দিয়ে নাকটা মুছে নিল
ফলে যা এতক্ষন নাক আর ঠোঁটের মাঝখানে ছিল
সেটা এখন সমস্ত মুখমন্ডলে ছড়িয়ে গেল।
ওদের বয়স পাঁচ থেকে দশের মধ্যে
ওদের যে পেট ভরাবার দায় ওদেরই হাতে।
অবাক আমি এই সহস্রব্দে যে দেশ সভ্যতার চরমে পৌঁছেছে বলেদাবি করে
যে দেশের সামগ্রী সারা দুনিয়ায় রাজ করে
সেই দেশেরই পাঁচ বছরের একটি শিশুর নিজের ক্ষুধার অন্নের দায় নিজের নিতে হয়
ওরা তো পরমানু বোমা বোঝে না ওরা স্যাটেলাইটবোঝে না
ওরা তো আধুনিক সরঞ্জাম বোঝে না।
ওরা শুধু বোঝে খিদের সময় খাবার চাই।
কেন এই ভাবের ঘরে চুরি।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
This is very thought provoking poem. Abuse of children provoke thought and brings sadness.10
thanku for your valuable comments.