ধুমধাম পড়ে গেছে গাঁয়ে,
চৌধুরীবাড়ীতে হবে পুতুলের বিয়ে,
চৌধুরীকন্যা অনেক ভেবেছে,
তার পুতুলের বিয়ে দিতে হবে,
ভালো পাত্র পাওয়া গেছে,
জাত, কুল, গোষ্ঠী মিলিয়ে।
সাত সকালে সানাই বাজছে,
লোকজন আসছে, যাচ্ছে।
এ গাঁয়ে হয়নি কখনো পুতুলের বিয়ে।
উৎসবের রেশ পড়ে গেছে সবার মনে,
জমিদার কন্যা আজ সুন্দর সেজেছে
তার পুতুলের বিয়ে দিতে হবে,
পুতুলকেও সাজিয়েছে সযতনে।
হঠাৎ দেখা গেলো আসেনিতো মিষ্টি,
খেলার সাথী ছুটে যায় আনন্দে,
আজ পুতুলের বিয়ে হবে চৌধুরীবাড়ীতে।
তার পর কেটে গেছে কত দিন, কত রাত,
চলে গেছে মাস, ঘুরে গেছে বছর,
পুতুলের বাড়ী পড়েছে ভেঙে,
আবর্জনার সাথে কেউ দিয়েছে ফেলে।
ছোট্ট পুতুল গেছে হারিয়ে।
পার হয়ে গেছে বহু বরষা, বহু বসন্ত,
এখনো মনে পড়ে সেই পুতুলের বিয়ে
চৌধুরী বাড়ীর দালানে।
জমিদার কন্যার নিজের বিয়ে হয়ে গেছে
বহু বছর আগে ধুমধাম করে
পুতুলের বিয়ের এক দশক পরে।
আর তো বাজবে না সানাই সেখানে,
খেলার পুতুল ভেঙে গেছে
খেলার শেষে,
নিশ্চিন্তে নিতান্ত অবহেলে।
খেলার সাথী গিয়েছিল হারিয়ে বহু বছরের তরে,
তবে বিধাতার দানে,
আবার এসেছে ফিরে,
চৌধুরী কন্যার মনের গভীরে।
এবার কি খেলার পুতুল আসবে ফিরে,
অশান্ত মনে আনন্দ আর শান্তি নিয়ে।
ছেলে বেলার সাথীর মতো,
তার পুতুল যায়নি হারিয়ে,
সে রয়েছে মনের গভীরে,
নতুন পুতুলের বিয়ে হবে
স্বপনের মাঝারে।
ছেলে বেলার সাথী যাবে মিষ্টি আনতে,
মিষ্টি মেয়ের জন্যে,
জমিদার বাড়ী উঠবে ভরে,
আনন্দে আর উৎসবে।
This is the fascinating picture of a young girl's imaginary play with her dolls. Beautifully portrayed!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
Revisiting the poem. It's a lovely story of a little girl's imaginary world, and the childhood friend's depiction of the gorgeous event! Thanks, Poet!