তুমি তোমার বাগানে কাজ করো,
আমি পড়ি কবিতা আমার টেবিলে,
সময়টা একই - ঘুমভাঙা সকাল,
পৃথিবী শুধু জাগতে শুরু করেছে।
আমার গোলাপ, আমার জবা,
সজীব হতে শুরু করেছে।
তোমার ম্যাগনোলিয়া ডালপালা ছড়াতে শুরু করেছে,
টিউলিপ ছড়াচ্ছে রঙের শোভা।
মেঘেরা খেলা করে নীল আকাশে,
ওরা নিশ্চয়ই এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলাফেরা করে।
ওদের তো কেউ বেঁধে রাখতে পারবে না
দেশের সীমানা তৈরী করে!
ওরা তোমার বাগানের সুবাস নিয়ে আসে আমার বাগানে,
যদিও ওদেরকে কেউ বলে দেয়নি আমার ঠিকানা।
ওরা যেন অন্তরযামী,
ওরা যেন বুঝে যায় কে অপেক্ষা করে আছে।
অনেক দিন আগে একটি ছোট মেয়ে অপেক্ষা করতো,
যদিও বুঝতো না কেন সে অপেক্ষা করে,
দেরী হলে অভিমান হতো,
এক অবুঝ মেয়ের অভিমান,
তাই ছিল বড়ো দামী
আরেকজনের জন্যে!
কি আশ্চর্য্য, কেউ জানেনি কি এক নিবিড় আকর্ষণ!
একদিন সেই মেয়ে অভিমান করতে ভুলে গেলো,
সেই ছেলে আশা করতে ভুলে গেলো।
যদি আবার দেখা হয়,
সেই গ্রামটিতে, সেই সারি সারি বাড়ীগুলোর প্রাঙ্গনে,
সেই মেন্দীগাছের বেড়াগুলোর ধারে,
যেখানে শিউলি ছিল,
যেখানে দোলনা ছিল বাঁধা,
মেঘগুলো কি নেমে আসবে বর্ষা হয়ে,
ভিজিয়ে দেবে দুজনকে ঝরঝর ধারে,
চোখের জল আর বৃষ্টি যাবে মিলে একাকার হয়ে!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
একদিন সেই মেয়ে অভিমান করতে ভুলে গেলো, সেই ছেলে আশা করতে ভুলে গেলো।/// অনবদ্য প্রেমের লিখনি প্রেম ছিল গভীরের অগভীর তীরে প্রতীক্ষিত প্রহর অলংকরণের সাময়িক ব্যাঘাতে হয়তো নিমীলিত সূর্য শুভ সকাল আসবেই প্রেমের আকাশে