আমরা এই মানুষেরা এক ক্ষুদ্র এবং নির্জন গ্রহে সাময়িকভাবে এক সাধারনস্থানে
দূরের তারাদের পিছনেফেলে, উদাসীন সূর্যকে অতিক্রম করে
বিচরণ করি এক গন্তব্যের দিকে।
যেখানে সমস্ত নিদর্শন বলে দেয়
এটা সম্ভব এবং জরুরী যে আমরা শিখি এক সাহসী এবং বিস্ময়কর সত্যকে।
আর যখন এই সত্যের কাছে আসি
শান্তিসৃষ্টিকারী দিনে যখন আমাদের হাতের মুঠোটি খুলে ফেলি
বিরোধীতার বাঁধন থেকে
আর হাতের তালুকে শীতল করাবার জন্য বিশুদ্ধ বাতাসকে আহ্বান করি।
আর যখন এই সত্যের কাছে আসি
যখন পর্দা নেমে আসে জঘন্য সঙ্গীত মঞ্চে
ধূলোমাখা নোংরা মুখগুলো ঘষে ঘষে পরিষ্কার করি
যখন যুদ্ধক্ষেত্রে রণভূমিতে আমাদের অনন্য ছেলেদের –মেয়েদের
বিদেশী মাটিতে শুয়ে থাকা থেতলানো দেহগুলো
আর রক্তাক্ত ঘাস কোদাল দিয়ে চেছে পরিষ্কার করতে হবে না,
আর কোনদিনও।
যখন গীর্জার উন্মত্ততা, মন্দিরের যন্ত্রনার আর্তনাদের তীব্র শব্দ স্তব্ধ্ হবে
যখন পতাকাগুলো আনন্দে পত্ পত্ করে উঠবে
যখন পৃথিবীর নিশানাগুলো সোজা হয়ে মনোরম আর শীতল সমীরণে কম্পিত হবে
যখন আমরা এই সত্যের কাছে আসি
যখন আমরা আমাদের কাঁধ থেকে বন্দুক নামিয়ে রাখি
আর শান্তি চুক্তির পতাকা দিয়ে শিশুরা তাদের পুতুলের পোশাক তৈরী করে
যখন মৃত্যুফাঁদ ল্যান্ডমাইন(land mines) গুলোকে উপরে ফেলা হবে
আর বয়স্ক মানুষেরা শান্তির সাঁজে পদচারণা করবে,
যখন ধার্মিক উৎসবে পোড়া মাংসের গন্ধ থাকবে না,
আর ছেলেবেলার স্বপ্নগুলোকে ভংয়কর অবস্থার চাপে সপাটে ছুঁড়ে দেবে না।
যখন আমরা এই সত্যের কাছে আসি
তখন আমরা স্বীকার করি যে
পিরামিডের বিস্ময়কর পাথরগুলো ঠিকঠাক সাজানো নেই
ব্যবিলনের ঝুলন্ত সেতু চিরন্তন সৌন্দর্য বহন করে না।
আমাদের সংগ্রহের স্মৃতির মাঝে বিশাল কামানটির ওপর
পশ্চিমের অস্তগামী সূর্য আর নানা রং-এর বিচ্ছুরণ ঘটাবে না।
দানিয়ূব তাঁর নীল আত্মা নিয়ে ইওরোপে বয়ে যাবে না
ফুজি পর্বতের পবিত্র শিখর আর উদিত সূর্যের দিকে হাত বাড়াবে না
পিতা আমানজও নয় মাতা মিসিসিপিও নয়
যাদের আনুকূল্য ছাড়াই তার বেলাভূমি উরব্বর হবে
এরাই একমাত্র বিস্ময় থাকবে না পৃথিবীতে
যখন আমরা এই সত্যের কাছে আসি
আমরা এই মানুষেরা এই ক্ষুদ্র স্বজনহারা পৃথিবীর বাসিন্দা
যারা প্র্ত্যহ বোমা, ছুড়ি, ভোজালির সামনে দাঁড়াই
তবুও এই আঁধারে আবেদন করি একটু শান্তির জন্য
আমরা এই মানুষেরা সকল তুচ্ছ কারনে
যাদের মুখ থেকে দুষ্টক্ষত সৃষ্টিকারী শব্দ উচ্চারিত হয়
যা আমাদের অস্তিত্বকে সংকটে ফেলে দেয়
যদিও সেই মুখ থেকেই মধুর গীতিও সৃষ্টি হয়।
যা হৃদয়কে অবসন্ন, শিহরিত করে দেয়
আর দেহ সশ্রদ্ধ বিস্ময়ে শীতল হয়ে যায়।
আমরা এই ক্ষুদ্র ভাসমান গ্রহের মানুষেরা
যাদের হাত আত্মহারা হয়ে আঘাত করে
মূহুর্তে বাঁচার জন্য দূর্বল হয়ে যায়
আবার সেই হাতই কোমল পরশ দিয়ে সবল করে দেয়
যা ফলে টেঁরা ঘাড়ও নত হয়ে যায় খুশীতে।
আর গর্বিত পিঠ আনন্দে বেঁকে যায়
এমন জড়পিন্ডবৎ বিশৃঙ্খলতার মাঝে, এত অসংগতির মাঝেও
আমরা শিখেছি যে আমরা দানবও নই দেবতাও নই।
যখন আমরা এই সত্যের কাছে আসি
আমরা, এই মানুষেরা একগুঁয়ে অপ্রধৃষ্য ভাসমান দেহ
এই পৃথিবীতে সৃষ্টি করি এই পৃথিবী শক্তি,
এ পৃথিবীর উপযোগী এক বাতাবরন,
যেখানে প্রতিটি পুরুষ ও নারী স্বধীনভাবে বাঁচতে পারে
ভগবত ভক্তির কপটতা ছাড়াই
ক্রিয়াশক্তিহীন অথর্ব ভীতী ছাড়াই।।
যখন আমরা এই সত্যের কাছে আসি
আমরা অবশ্যই স্বকার করবো
যে আমরা সম্ভব, আমরা বিস্ময়
এই পৃথিবীর প্রকৃত এক বিস্ময়
এটা তখনই সম্ভব, কেবলমাত্র তখনই
যখন আমরা সেই সত্যের কাছে আসি।।
great translation like it great 10++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
Daarun hoyechhe aapnaar poem.....This is really amazing poem shared with wise idea. Thought is expressed well....10
অনুবাদের জন্য অসাধারণ শব্দ চয়ন ধন্যবাদ আপনাকে এমন অনুবাদ প্রকাশের জন্য