Tum Ek Gorakh Dhanda - Naz Khialvi
Qawal- Nusrat Fateh Ali Khan
মূল: - শায়ের নাজ খিয়ালভি
কাওয়াল: - নুছরাত ফাতেহ আলী খান
ভাবানুবাদ: - মাহতাব বাঙ্গালী
১ম অংশ
(হে খোদা)
কখনো এখানে খুঁজছি তোমায়, কখনো বা যাচ্ছি ওখানে
তোমায় ক্ষণিক দেখার তরেআমি জানা-অজানায় সবখানে ভ্রমণ করছি
তোমার সামান্য সাক্ষাতের তরে এ ফকিরী দশাও ক্ষান্ত হচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে স্ব-অস্তিত্ত্ব
তবে কেউ তোমার কৈবল্য ধামে কাউকে পৌঁছাতে বা নিজে পৌঁছতে পারছেনা
তুমি তো আছো সবখানেই, হ্যাঁ, তবে নেই কোথাও তোমার অস্তিত্ব
তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী
প্রত্যেক অণু-পরমাণুর রন্দ্রে রন্দ্রে তোমার ঝাঁকালো উপস্থিতি
তবে পণ্ডিতগণ বড়োই ক্লান্ত তুমি দেখতে কেমন বা কে তুমি তা ভেবে ভেবে
তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী
আমি তোমায় খুজেছিলাম মন্দিরে, মসজিদে, প্রত্যেক উপাসনালয়ে
তোমাকে পাইনি কোথাও; হ্যাঁ, তোমায় পেয়েছি আমি আমার বিশ্বাসের হৃদয়ে
তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী
তোমায় খুজেছিলাম তন্ন তন্ন করে সবজায়গায়, পাইনি কোথাও
এটি বড়োই বিড়ম্বনা যে- তুমি শুধু সেখানেই বিরাজমান যেখানে আছে বিশ্বাসীদের উপস্থিতি
তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী
যেখানে কেউ থাকেনা শুধু তুমি ছাড়া তখন কেন তুমি তোমায় প্রকাশ করোনা সেখানে
তোমার অস্তিত্বিত্বের এ প্রহেলিকা আমার বোধগম্যাতীত
তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী
তুমি পূজার বেদীতে দৃশ্যমান, সে বেদী জ্যোতিস্মান তোমার দ্যুতির কারণে
তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী
সে হয়তো কিছু পেয়েছে যে তোমার প্রগাঢ় প্রেমে মত্ত
আর নিজেকে করেছে সম্পূর্ণ নির্বাণ,
পায়নি কেউ তোমায় মন্দির বা কা'বা শরীফে
হয়তো তোমায় পাওয়া গিয়েছে তোমার প্রেমে স্ব-অস্তিত্ত্ব হারিয়ে ফেলা হৃদয়ে
মানব সৃষ্টির পর তুমি নিজেকে লুকিয়েছো রহস্যময় অন্দরে
আবার কোথাও কোথাও তুমি নিজেকে করেছো প্রকাশ স্ব-অস্তিত্বে, প্রেমিক হিসেবে
সে যদি তুমি না-ই বা হও তবে কেন এ অস্বীকার
এমনকি যদি না কেউ জানে তোমার অস্তিত্ব;
সে এক যাঁকে আমি স্বীকৃতি দিলাম আমার অস্তিত্বরূপে
যদি না সে তুমি হও তবে সে-বা কে?
যদি তুমি আমার ঐকান্তিক ধ্যানে না আসতে
তখন আমি কীভাবে বুঝতাম যে তুমিই খোদা
তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী
আমি বিস্ময়, বড়োই অভিভূত সে ধ্যানে যে - কে তুমি? কী ই বা তুমি?
যদি হাতড়িয়ে পাই তোমায় তুমি হয়ে যাও পাথুরে মূর্তি
আর না পেলে তুমি নিরাকার খোদা!
(তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী)
যে কিনা প্রজ্ঞা দ্বারা আবদ্ধ সে কীভাবে চিরস্থায়ী হয়?
যে স্বজ্ঞায় আবির্ভুত সে কীভাবে নিরাকার খোদা হয়?
(তুমি বড়ই রহস্যময়ী, কৌশলী)
নির্ণয়ী তর্কে দার্শনিকরা তোমায় খুঁজে পায়না
সে সূক্ষ সূত্র গ্রন্থির তন্তুকে খোলার চেষ্টা করেছে
তবে কিছুতেই পাক খুলতে পারেনা
(তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী)
তুমি বলো যে- তুমি সন্ন্যাসী,
তুমি কোনো ঘরে থাকো না;
তবে এটি বিস্ময়কর যে- তুমি ভগ্ন হৃদয়ে বাস করো
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
তুমিহীনে যখন কেউ নয় উপস্থিত অস্তিত্বশীল
ও খোদা! তবে কেন এ শোরগোল, এত হাঙ্গামা তোমায় নিয়ে
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
তুমি কোথাও লুকাও না, তুমি কোনো ধর্মে নিজেকে প্রকাশ করনা
তুমি তোমার স্বর্গীয় চমক দেখাও তবে ধর্মে বর্ণে নয়, স্ব-অস্তিত্বে-পবিত্র শব্দে
তুমি ভিন্ন আচরণের উপাসনার দ্বন্দ্ব যুদ্ধ গুলোর সমাধান করনা
তুমি তোমার বাস্তব সত্যকে প্রকাশ করনা
আমি অভিভূত আমার হৃদয়ে তোমার প্রবেশ আর বসবাসের আয়োজন দেখে
যেখানে ইহকাল আর পরকাল তোমাকে স্থান দিতে পারেনা
সেখানে তুমি ধর্মীয় আরাধ্য জায়গায় অবস্থান করো
তুমি তোমার আকৃতি না দেখানোর জন্য প্রত্যেক জায়াগায় আছো ভিন্ন রূপান্তরে
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
আমার দ্বন্দ্বময় হৃদয় অধিকার নিয়েছে আগুন্তক রঙের
যা এঁকেছে অস্পষ্ট হতবিহ্বল ছবি
আমি বুঝিনা এসব দ্বান্দ্বিক গল্প কী
সময়ের শুরু থেকে কীসব খেলা তুমি বানিয়েছো আর খেলছো
তুমি আত্মাকে কয়েদি করে পুষছো শারীরিক জেলে
আর সেখানে রেখেছো মৃত্যু নামক অতন্দ্র প্রহরী কে
তুমি অনুমোদন করেছো কৌশলী পাখিকে উড়তে
আর ভাগ্যের ফাঁদ পেতে রেখেছো সব জায়গায়
শত সহস্র মুহূর্ত ধরে তুমি এ বিশ্বকে ভালোবেসেছো
আবার এর বিনাশ অভিসন্ধিও করেছো তুমি
যদিও বলা হয়ে থাকে যে, তুমি সন্ন্যাসী
তবে এখনো তুমি গাঢ় কুটুম্বিতার প্রচার করছো বিশ্বাসী হৃদয়ে
এটি মন্দ, ওটি ভালো, এটি নরক, ওটি স্বর্গ
দয়া করো আমায় যে- এসব জটিলতার কোনটি রাখবো আমি
বাবা আদম করেছেন অপরাধ তোমার কৌশলে
আর তুমি সাজা দিচ্ছো তাঁর সন্তানদের
এটিই কি তোমার ন্যায়বিচারের মাপকাঠি?
তুমি দুনিয়ার কর্তৃত্ব দিয়েছো মানুষকে
নির্দিষ্ট সময়ের প্রদর্শনী তুমি বানিয়েছো
তোমার পরিচয় প্রকাশের জন্য তুমি সব সৃষ্টি করেছো
আর তুমি নিজেকেই সকলের দৃষ্টির অগোচরে লুকিয়ে ফেলেছো
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
***
২য় অংশ
(হে খোদা)
প্রতিদিন তুমি নতুন নতুন ছবি আঁকো আবার তা মুছেও ফেলো
(সৃষ্টি করছো আবার ধ্বংসও করছো)
আমি জানি না কোন অপরাধে, প্রত্যাশায় তুমি এসব শাস্তি দিচ্ছো
মাঝে মাঝে তুমি নুড়িপাথরকে বানাওহীরক
আর হীরককে বানাও ধূলিকণা;
যে মানুষটি অনেক মৃত কে জীবন দিল
তুমি তাকেই আবার শূলীতে ঝুলিয়ে দিলে;
যে কিনা তোমায় দেখার তরে সিনাই পাহাড়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছিল
তোমার প্রত্যক্ষ আলোর ঝলকানিতে তুমি পাহাড়টিকে ছাইয়ে পরিণত করেছিলে;
তুমি ইচ্ছা করেছিলে ইব্রাহিম যাতে নিক্ষেপিত হয় নমরুদের আগুনে
আর তখনই তুমি সে আগুনকে তোমার ফুলের বাগানে পরিণত করেছিলে;
মাঝে মাঝে তুমি গভীর অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ কর তোমার প্রিয়জনের প্রিয়জনকে
আর প্রিয়জন ইয়াকুবকে সে বিরহ যন্ত্রনায় চোখের জ্যোতিহীন করেছিলে;
মিশরের বাজারে তুমি ইউসুফকে করেছিলে দাস
আবার তাঁকেই তুমি সে রাজ্যের করেছো সম্মানিত বাদশাহ;
যখন কেউ তার প্রজ্ঞাময় জ্ঞানের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে
তখনই তুমি তাঁর বিশ্বাসী কণ্ঠে এনেছো - আমিই সত্য
আর তোমার বিচারের বিধান সভায় রায়দিয়েছো- সে অবিশ্বাসী মুশরিক
তুমিই সে "আমিই সত্য" বলা মনসুরকে শূলীতে করেছো রক্তাক্ত;
সে ব্যক্তি সব কিছুই হারিয়েছে যাঁকে তুমিই দিয়েছো তোমাকে দেখার আশা
যদি কোনো রানঝা (প্রেমিক)তোমার সন্ধানে ভ্রমণ করে
তাকেই তুমি দ্বান্দ্বিক চলনে রেখেছো বেঁধে আর কাঁদিয়েছো;
যদি কেউ তোমার প্রত্যাশায় যাত্রা শুরু করে
তাকেই তুমি কোনো লায়লার জন্য মজনু (পাগল)করে বানিয়ে রেখেছো;
যদি তোমার জন্য সাসির মনে প্রেম জাগতে শুরু করে
তাকেই তুমি জলন্ত মরুভূমিতে দগ্ধ্ করেছো;
যদি সোহান তোমায় কল্পনা করে তার মাহীনভাল হিসেবে
তুমিই তাকে ক্রুদ্ধ ঢেউয়ে ডুবিয়ে মেরেছো;
যেখানে সকলে উদগ্রীব তোমার সাক্ষাতে
সেখানে তুমি তোমার খুশিতে মুহাম্মাদ-কে আরশে ডেকে এক রাতেই মিরাজ করিয়েছো;
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
(তোমার ছদ্মবেশ তুমিই
তোমার মাঝে তুমিই অবগুন্ঠন
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী)
যদিও তুমি নও তার মতো যা আমি বলি বা অনুমান করি
তবে আমি যা বলি বা বিশ্বাস করি তা-ই গ্রহণ করি
তবে এখনো পর্যন্ত আমার এক অভিযোগ রয়েছে
তুমি সব কিছুই দেখছো শান্তভাবে যখন তুমি সিংহাসনে বসো
মুহাম্মদ দৌহিত্র কারবালার ময়দানে দগ্ধ্ হল
তাঁর প্রভুভক্তির জন্য সে কত করুণভাবেই না রক্ত দিল
যদিও সে তিন দিন ধরে পিপাসায় কাতর ছিল
তাঁর শত্রুরা ছিল সকলের শত্রু
তবে এটিই মর্মান্তিক যে তুমি তাকে এক ফোঁটা জল দাওনি পিপাসা নিবারণের জন্য
প্রত্যেক অত্যাচারের অনুকূলে অত্যাচারীদের উত্তরাধিকার নিহিত
গতকাল যার মাথায় মুকুট ছিল আজকে আমি তাকে দেখছি হাতে ভিখেরির থালা নিয়ে ঘুরতে
যদি আমি জিজ্ঞেস করি- এসব আসলেই কী?
তোমার উত্তর কিহবে যে, "বাছাধন! কেউ এসবের গোপনীয়তা সম্পর্কে জানতে পারে না! "
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
(তুমিইএকটি অভিভূত রাজ্য
তুমিই একটি দ্বান্দ্বিক জগত
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী)
প্রত্যেক জীবনে তুমি বর্তমান তবে কোথায় আমি জানিনা
আমি তোমার নাম শুনেছি তবে এর সঠিক ঠিকানা জানিনা
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
একদা যে হৃদয় আশা ছেড়ে দিয়েছে তা আবার দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেছে
যখন সে প্রত্যাশা চোখে আসে তখন তা অশ্রুতে পরিণত হয়
যখন কোনো ব্যক্তি আধ্যাত্মিক প্রেমে হারিয়ে যায়
তখন সে ধনী/পরিপূর্ণ হয় রাজার মত, মহাত্মার মত
এক চুল পরিমাণও ক্ষতি নেই যখন সে ধারালো ছুরির নীচে আসে
তবে ঐ ধনুক যা ন্যায় বিচারের মানদণ্ডের মতো শিশুর গলায় বিধেঁছে
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
(তুমি বড়োই নিরুদ্বেগ
তুমি এক লম্বা আষাঢ়ে গল্প
তুমি প্রহেলিকাময়ী, কৌশলী
তুমি দ্বান্দ্বিক উৎকণ্ঠা)
প্ৰত্যেক জায়গায় তুমি বড়োই সন্দেহের তাই তোমায় খুঁজছি
আমি তোমায় নিয়ে ধারণা, বিশ্বাস, চিন্তা চেতনা, পারিপার্শ্বিকতার বড়োই সন্দেহ ও অনৈক্য দেখি
আমি হয়েছি দূৰ্দৈব সমস্যার প্রতিমা
যখনই আমি সতর্কতার সাথে পৃথিবীর প্রতিবিম্ব অনুসন্ধান করি
আমি ক্ষণিক দৃষ্টিপাতে অসংখ্য অসঙ্গতি দেখি
আমি দেখি একটি জায়গা অসংখ্য ভাগে বিভক্ত
কোথাও কোথাও আমি কষ্টকর ধুম্র দেখি
কোথাও কোথাও আমি আশীর্বাদ - কৃপার মলিনতা দেখি
কোথাও আমি দেখি প্রাণবন্ত নদী আর নীরব পর্বতমালা
কোথাও কোথাও আমি পাই বনবনানী, মরুভুমি আর বাগান
এ ধরনের বিভক্তি আমাকে কাঁদায় আর আমার অন্তর রক্তকে জ্বালাতন করে
আমি এখানে কাউকে ধনী আবার কাউকে গরীব পেয়েছি
অথচ আমি এখানেই দেখেছি একটিমাত্র সূর্য আলো দেয় সকলকে
রাত যখন অলংকৃত মিলিয়ন নক্ষত্রমণ্ডলী দ্বারা
কোথাও আমি দেখি শুকনো মর্মন্তুদ সত্য ফুলের আবাস
আর কোথাও ফুটছে অসংখ্য মিথ্যা কাঁটা
কোথাও আমি দেখি শাম্স তাব্রিজের অতি কৃশময় জীবন যাপন
আর কোথাও দেখেছি সারমাদের গর্দান দ্বিখণ্ডিত হতে
রাত কী, সকালই-বা কী
এ আলো, এ অন্ধকার কী
সর্বোপরি আমিই তোমার প্রতিনিধি
কেন তুমি বলছো যে তোমারই-বা এ আমি কী
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
****
৩য় অংশ
(হে খোদা)
যে তোমায় দেখেছে সে তোমার আসলেই কী দেখেছে
তুমি প্রত্যেক পর্যবেক্ষণে অবগুন্ঠিত
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা (সকল উপাসনালয়)আর পান্থশালা
কেউ এটিতে আর কেউ ওটিতে বিশ্বাস করে
ভিন্ন ভিন্ন উপাসনালয়ের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসী সব জায়গায় বিরাজমান
হে প্রিয় সব জায়গায় তোমার বসবাস
সব বিশ্বাসে তুমি নিখুঁতভাবে মিশে আছো
একমাত্র তুমিই তোমার এক ও অদ্বিতীয়তার সাক্ষী
কেউ কেউ তা অস্বীকারের দিকে নিচ্ছে
তবে সত্যটি তুমিই ভালোজানো
সকলের বিশ্বাস আর অবিশ্বাসে তুমিই থাকো বর্তমান
তোমার এক ও অদ্বিতীয়তা সে সৃষ্টিতে অন্তর্ভুক্ত করে
আর অন্যরা এ সব থেকে দূরেই থাকে
বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসী সকলেই তোমার মধ্যে সমর্পিত
সকলেই তোমার মধ্যে উৎসর্গকৃত অস্তিত্ব
যখন সকলে তোমার নামের প্রেমিক বা ভক্ত
তখন কেন এ যুদ্ধ রাম আর রহিম নিয়ে
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
তুমি থাকো সে মন্দিরে
তুমিই থাকো সে মসজিদে
তুমিই সে আসমানে এ ধরাতে
সে সব উপাসনালয়ে তুমিই আছো
সব জায়গায় তুমিই বিরাজমান
যেখানে একজনের বোধগম্যের অতীত বা পৌঁছা কষ্টকর
সেখানে তুমিই আছো
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
তুমিই অদ্বিতীয় প্রত্যেক রঙে
তুমি বড়োই রহস্যময়ী, কৌশলী
তুমিই আমাদের সন্ধানের, সার্বজনীন রঙের আর ঘ্রানের কেন্দ্রবিন্দু
তুমি সব সময় স্পষ্ট করে প্রকাশ করেছো যে তুমি সর্বত্র বিরাজমান-উপস্থিত
উন্মুক্ত ঘিরে থাকা সব শুধু তুমিই মিশে আছো
তুমি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় প্রেমাত্মা
তুমি আসমানের গৌরব, জমিনের সুন্দর
তুমি নিখুঁত প্রত্যাশার রন্দ্রে রন্দ্রে উভয়জগতের মালিক
তুমি চোখ দিয়েছিলে আর তা অশ্রু দিয়ে ধৌত করার সুযোগ দিয়েছো
এখন তুমি আমাদের নিদর্শন দাও তোমার প্রকাশের
আসো, বের হয়ে আসো, আমার সামনে তোমার পর্দা উঠাও
শুধুমাত্র ক্ষণিক সাক্ষাতের, ক্ষণিক আলাপচারিতার
নাজ, তার জপমালায় জপ করবে জায়গায় জায়গায়
রাস্তায় রাস্তায় যে, তার কোন সঙ্গী নেই, কেউ নেই
সে একা, সে এক, সে একক, আল্লাহও সেখানে আল্লাহও সেখানে
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু
-চট্টগ্রাম
(ভ্রান্তি প্রলাপে ক্ষমা প্রার্থী। যদিও অনুবাদটি অবিকল নয় এরপরেও এ গানটি আমি আমার মতো করেই বুঝার আর ভাবানুবাদ করার ক্ষুদ্র চেষ্ঠা করেছি)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
১৯৯৮ সালে খাঁ সাহেবের গাওয়া Virgin (USA) কতৃক রেকর্ডকৃত এই কাওয়ালীর একটি সিডি কিনেছিলাম ২০ ডলার দিয়ে। এই কাওয়ালীতে উচ্চারিত শব্দ এবং ভাব খুবই উচ্চ মার্গের। মাহাতাব ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। অসাধারণ অনুবাদ করেছেন।